ডিপ্রেশন সহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা লাঘবে তালবিনার (বার্লির পরিজ) ব্যবহার সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি। আজ আলোচনা করবো কত রকম উপায়ে তালবিনা প্রস্তুত করা যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন শপে তালবিনা পাউডার কিনতে পাওয়া যায় যেটা চাইলে রান্নার ঝামেলা ছাড়াই কেবলমাত্র পানিতে গুলিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে সাথে দুধ ও মধু দেওয়ার ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
রেসিপি- ১: অরিজিনাল তালবিনা (বার্লি পরিজ)
একটি পাত্রে দেড় কাপ পানি বা দুধ (অনেকে অর্ধেক পানি, অর্ধেক দুধ ব্যবহার করে থাকেন) জাল দিয়ে তাতে এক বা দুই টেবিল চামচ তালবিনা বা বার্লির ময়দা এড করতে হবে। এরপর ১০-১৫ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করতে হবে। দেখতে দইয়ের মতো ঘনত্বের হলে তাতে পরিমাণমতো মধু, চাইলে কিছু ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে একটু নেড়ে নামিয়ে ফেললেই তৈরি হয়ে যাবে এই পুষ্টিকর তালবিনা।
কেউ চাইলে মধুর বদলে লবণ বা চিনিও ব্যবহার করতে পারে, তবে এতে সাধারণত মধুই ব্যবহৃত হয় এবং সেটাই উত্তম।
বার্লির ময়দা ব্যবহার না করে গোটা বার্লি দিয়েও তালবিনা বানানো যায়। কিন্তু এতে সময় বেশি লাগে (আনুমানিক ৪০-৪৫ মিনিট)। এক্ষেত্রে রান্নার পূর্বে বার্লি অন্তত ৪-৫ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়।
রেসিপি-২: ইয়েমেনি সুপ
এর জন্য দরকার- ১ কাপ তালবিনা পাউডার, ১/২ কাপ মশুর ডাল, ৬ কাপ পানি, ৩টি ছোট পেয়াজ (কুচি করা কাটা), ২ টেবল চামচ জলপাই তেল, ১ চা চামচ হলুদ, ১/২ চা চামচ গোলমরিচের গুড়া, ১ কাপ ছোলা রান্না, ১/২ কাপ রান্না গরুর গোশত ছোট করে কাটা।
বাদামী না হওয়া পর্যন্ত জলপাইয়ের তেলে পেয়াজ ভেজে নিতে হবে। একটা সসপ্যানে ছোলা আর গোশত ছাড়া বাকি সবকিছু মিশিয়ে একবার ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার জ্বাল কমিয়ে হালকা আঁচে দেড় ঘন্টা রাখবো। হালকা নাড়তে হবে। রান্নার শেষে ছোলা এবং গোশত মিশিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করলেই খাবারটি তৈরি হয়ে যাবে।
রেসিপি-৩: তালবিনার লাড্ডু
প্রথমে একটি বাটিতে তালবিনা পাউডার ১ টেবিল চামচ ও সমপরিমাণ গুঁড়া দুধ নিতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে দুটিকে মিশিয়ে নিতে হবে, মাখা মাখা হতে হবে। এর মধ্যে এক চা চামচ নারকেল তেল বা ঘি এবং দুই চা চামচ মধু দিয়ে আবার মিশিয়ে ফেলতে হবে (মধু না থাকলে দুই চা চামচ চিনি বা গুড়)। হাতের তালুতে গোল গোল করে উপরে মাওয়া বা গুঁড়ো দুধ ছিটিয়ে প্রায় ৫-৬টি মাঝারি সাইজের লাড্ডু তৈরি করা সম্ভব।
এর সাথে পছন্দ অনুযায়ী কোড়ানো নারকেল, বাদাম গুঁড়া, তিল ইত্যাদি যোগ করা যেতে পারে।
রেসিপি-৪: তালবিনা জুস
দুই / তিন টেবিল চামচ তালবিনা পাউডার এক গ্লাস নরমাল পানিতে নিয়ে তাতে দুই / তিন টেবিল চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া খুবই মজাদার।
রেসিপি-৫: তালবিনা ডেজার্ট
সমপরিমাণ দুধ বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো করে খাওয়া যায়। সাথে পরিমাণমতো চিনি, মধু বা গুড় মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে ।
রেসিপি-৬: শিশু খাদ্য
চাল বা গমের সুজির পুষ্টিকর বিকল্প হিসেবে বাচ্চাদের রান্না করে খাওয়ানো যায়। আশঁ জাতীয় খাবার, ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি মেটাতে উঠতি বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
Recipe credit: Team Nashita, Shorobor, Halal Recipes