ভুল ধারণা ১. শিশুর জন্মের সাথে সাথে তার মুখে মধু/মিছরি দিতে হয় !
সঠিক: শিশুর জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (প্রথম ১ ঘন্টার মধ্যে) মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে। মধু/চিনি/মিছরি শিশুর জন্যে ক্ষতিকর।
ভুল ধারণা ২. সিজারিয়ান ডেলিভারিতে মায়ের বুকে দুধ আসে না/দেরিতে আসে !
সঠিক: নরমাল/সিজারিয়ান যেভাবেই শিশুর জন্মগ্রহণ করুক সদ্যজাত শিশুকে যত তাড়াতাড়ি সঠিক পদ্ধতিতে মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা সম্ভব হবে মায়ের বুকে তত তাড়াতাড়ি দুধ আসবে। কখন মায়ের দুধ আসবে তখন শিশুকে খাওয়াব এই আশায় বসে থেকে সময় নষ্ট করা বোকামি। মা শয্যাশায়ী হলে দুধ খাওয়ানোর জন্যে উপস্থিত ডাক্তার/নার্সের সাহায্য নিতে হবে।
ভুল ধারণা ৩. মায়ের স্তন ছোট হলে শিশুর জন্য দুধ কম তৈরি হয় !
সঠিক: মায়ের স্তনের আকার/আকৃতি দুধ তৈরির ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলে না।
ভুল ধারণা ৪. অতিরিক্ত গরম আবহাওয়াতে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পানি খাওয়ানো প্রয়োজন !
সঠিক: শিশুর বয়স ৬ মাস হওয়ার আগে এক ফোঁটা পানিরও প্রয়োজন নেই। তবে ৬ মাসের বেশি বয়স হলে অবশ্যই অল্প অল্প করে বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।
ভুল ধারণা ৫. মা গোসলের সাথে সাথে শিশুকে দুধ খাওয়ালে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে !
সঠিক: গোসলের আগে/পরে যেকোন অবস্থায় মায়ের দুধ শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে না।
ভুল ধারণা ৬. মায়ের নিপ্ল খাটো/সমতল/ভিতরে ঢুকানো হলে শিশুকে দুধ খাওয়ানো অসম্ভব !
সঠিক: মায়ের নিপ্ল খাটো/সমতল/ভিতরে ঢুকানো হলেও শিশুকে দুধ খাওয়ানো সম্ভব।
ভুল ধারণা ৭. শিশু একবার মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে আর কখনও তাকে খাওয়ানো সম্ভব নয় !
সঠিক: পূণরায় শিশুকে দুধ খাওয়ানোর প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল হলেও অসম্ভব নয়। তবে শিশুর বয়স যত কম থাকবে প্রক্রিয়াটি তত সহজ হবে।
ভুল ধারণা ৮. মায়ের স্তনে পূর্বে কোন অস্ত্রপচার হলে শিশুকে সেই স্তনের দুধ খাওয়ানো উচিৎ নয় !
সঠিক: পূর্বে সংঘটিত অস্ত্রপচারের ফলে মায়ের স্তনের ক্ষতির পরিমাণ দেখে মায়ের দুধ খাওয়ানোর সম্ভব/উচিৎ কি না নির্ধারণ করা যায়।
ভুল ধারণা ৯. তিতা/ঝাল/টক স্বাদের খাবার খেলে মায়ের দুধ কমে যায় !
সঠিক: বিভিন্ন স্বাদের খাবার খেলে মায়ের রুচি নষ্ট হয় না। এক্ষেত্রে মায়ের দুধ কমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
ভুল ধারণা ১০. মা অসুস্থ থাকলে শিশুকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখা উচিৎ !
সঠিক: মায়ের অসুস্থতার সময় শিশুকে বেশি বেশি দুধ খাওয়াতে হবে। এসময় মায়ের দুধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
ভুল ধারণা ১১. মা ব্রেস্ট পাম্প করলে শিশু দুধ পাবে না।
সঠিক: নিয়ম মেনে পাম্প ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হয় না। ভুল নিয়মে পাম্প করলে ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে, ল্যাকটেশন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিৎ।
সৌজন্যেঃ ল্যাকটেশন কেয়ার, বাংলাদেশ
ফটোক্রেডিটঃ aboutislam.net