লেবার রুমে হাজব্যান্ডের উপস্থিতির আদ্যোপান্ত

সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়াটি শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মিলিত প্রয়াসে, কিন্তু গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব- এই কাজগুলো প্রাকৃতিকভাবেই একজন নারীর জন্য নির্ধারিত। তবে এখানে স্বামীর ভূমিকাও কম নয়। স্ত্রীর শারীরিক মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে স্বামীও তার নিজের দায়িত্বটুকু পালন করে যান। 

সন্তান প্রসবজনিত বিভিন্ন আলাপচারিতায় একটি ব্যাপার নিয়ে প্রায়শই বেশ জোরালো বক্তব্য শোনা যায়। সেটি হচ্ছে, স্ত্রীর লেবার / প্রসবকালে সেখানে হাজব্যান্ড এর উপস্থিত থাকা উচিত/ দরকার কি না? এই ইস্যুর পক্ষে – বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেবার আগে কিছু ব্যাপারে আলোকপাত করতেই আজকের লেখা।

লেবারের রুমে স্বামী উপস্থিত থাকার সুবিধা

১। একজন স্বামী তার স্ত্রীর সবচে কাছের মানুষ। লেবারের মতন কঠিন পরিস্থিতিতে যদি স্ত্রীর পাশে স্বামী উপস্থিত থাকেন, স্বাভাবিকভাবেই এতে স্ত্রীর মনোবল বেড়ে যাবে, যা লেবারে থাকা মা-কে লেবারের সাথে মানিয়ে নিয়ে (cope with) করতে অনেকখানি সাহায্য করবে। 

২। লেবারে একজন নারী প্রচণ্ড রকমের শারীরিক ও মানসিক ধকলের মধ্যে থাকেন। সন্তান জন্মদানের এই কঠিন প্রক্রিয়াটি যখন স্বামী নিজেও কাছ থেকে দেখবেন, আশা করা যায় তিনি স্ত্রীর প্রতি আরও বেশী সংবেদশীল ও শ্রদ্ধাশীল হবেন। যা তাদেরকে তাদের দাম্পত্যকে সুন্দর করতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

৩। সন্তানের সাথে মায়ের বন্ধনটা খুব দৃঢ় হয় কারণ সন্তানের সাথে মায়ের শারীরিক ও মানসিক যোগাযোগ সবচে বেশি থাকে। অপরদিকে বাবারা সন্তানের সাথে এটাচড হন সময়ের সাথে সাথে, ধীরে ধীরে। 

ধারণা করা হয়, লেবার রুমে সন্তান জন্মের প্রক্রিয়ায় যদি বাবা নিজেও সামিল থাকেন, তাহলে সন্তানের সাথে বাবার বন্ডিংটাও দ্রুত তৈরি হবে।

লেবার রুমে হাজবেন্ড উপস্থিত থাকলে কী কী অসুবিধা হতে পারে?

১। লেবার মানেই বেশ সেন্সিটিভ একটা সময়। প্রসূতি মায়ের শরীরের প্রতিটি পরিবর্তন খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল রাখতে হয় ও সেই মতে প্রসব প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হয়। প্রসব সেবাদানকারী নার্স/ ডাক্তার/ মিডওয়াইফ/ দৌলা- যে-ই এই কাজে থাকেন না কেন- তিনি / তারা তাদের সমস্ত মনোযোগ এই কাজে নিবদ্ধ রাখেন। 

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, রোগী ছাড়া বাইরের কেউ উপস্থিত থাকলে তাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হয় যা সিদ্ধান্ত গ্রহনে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। এটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার।

২। লেবারে সাধারণত শারীরিক কষ্ট খুব বেশি হয়। প্রায়ই দেখা যায় নরমাল ডেলিভারিরত অবস্থায়ও কষ্টে প্রসূতি মা সিজারে যেতে চান। আর হাজবেন্ড যদি পাশে থাকেন, তিনি যে স্ত্রীর কষ্ট দেখে আরও বেশি অস্থির হয়ে যাবেন, সেটা বলাই বাহুল্য। 

আর অস্থিরতা থেকে ভুল সিদ্ধান্ত বা ভুল আচরণ করে ফেলা অসম্ভব নয়। লেবারে নিশ্চয় এগুলো কাম্য নয়। 

৩। লেবার রুমের কাজটি বেশ জটিল। লেবারে থাকা মায়ের ব্লিডিং, পানি ভাঙা ইত্যাদি সারা বিছানায় ছড়িয়ে যায়। হতেই পারে যে, স্বামীর এগুলো চোখে পড়লে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করতে পারেন। যেখানে সবাই প্রসুতিকে নিয়ে ব্যাস্ত, সেখানে হাজবেন্ড এর জন্য বাড়তি মনোযোগ দেয়াটা কিছুটা ঝামেলার বটে।

৪। আমাদের দেশের অনেক হাস্পাতালেই লেবার রুমের পরিবেশ অনেক বেশি আরামদায়ক হয়না। সেখানে প্রসূতি যদিওবা তার কাজ শেষ করতে পারেন কিন্তু একজন স্বামীর উপস্থিতি একটু বাহুল্য বলে মনে হতে পারে। কিংবা, স্বামীর যদি দীর্ঘক্ষণ লেবার রুমে থাকতে অসুবিধা হয়, তখন তিনি একটু দূর থেকে সঙ্গ দিতে পারবেন- এমন পরিবেশ থাকে না। 

আবার যে নার্স বা ডাক্তার লেবার সামলাচ্ছেন, তিনি নিজেও ব্যাক্তিগত, ধর্মীয়, জেন্ডার ইস্যুর কারণে প্রসূতির স্বামীর সামনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না। কারণ দেশের হাসপাতালগুলোর লেবার রুমে একসাথে একাধিক প্রসূতী নারী লেবার সামলান। সব মিলিয়ে লেবার রুমের অবকাঠামোগত কারণে নানান রকম ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।

৫। সন্তান জন্মদানকারী মা নিজেই যেখানে লেবার সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না, সেখানে তার হাজবেন্ড এই বিষয়ে খুব জানেন- এটা আশা করা বোকামি। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হাজবেন্ডরা যতই দায়িত্বশীল হন না কেন, এই ব্যাপারগুলোতে বেশ আনাড়ি হয়ে থাকেন।

এরকম আনাড়ি একজন মানুষ লেবার রুমে থাকলে আসলে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবেন না। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও খুব একটা অংশ নিতে পারবেন না। বরং ক্রিটিকাল সিদ্ধান্তে ভড়কে যাবার সম্ভাবনাই বেশি। আর এরকম হল সেটি লেবারে থাকে মায়ের জন্য আরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 

লেবার রুমে হাজবেন্ড উপস্থিত থাকার আগের চেক লিস্ট

লেবার রুমে হাজব্যান্ড এর উপস্থিতি নিয়ে নানান সুবিধা অসুবিধা আছে। বর্তমানে অনেক নারীরাই লেবারে তাদের স্বামীর উপস্থিতি কামনা করেন, অনেক সচেতন স্বামী স্ত্রীর সাথে লেবারে থাকতে চান। তাদের প্রস্তুতির জন্য ছোট একটা চেকলিস্ট এখানে দিচ্ছি

১। হবু বাবা- মা আগে থেকেই নিজেরা কথা বলে রাখতে হবে যে হাজব্যান্ড লেবার রুমে থাকতে চান। এতে করে দুজনেই মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকবেন। এছাড়া হাজবেন্ড তার কর্মস্থল থেকে আগেই ছুটি নিয়ে রাখতে পারবেন। হুট করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা।

২। যখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যাবে যে হাজবেন্ড লেবার রুমে থাকবেন, তখন হাজবেন্ড অবশ্যই লেবার সম্পর্কিত/ নর্মাল বা সিজারিয়ান ডেলিভারি সংক্রান্ত কিছু ব্যাসিক পড়াশোনা করে নেবেন। যেমন নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান সেকশনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন, লেবারের স্টেজে কিভাবে হবু মা-কে সাহায্য করা যায় সেটা জানবেন, সিজারে ওটি রুমের করনীয়- বর্জনীয় জানবেন ইত্যাদি। 

এই কাজের জন্য মাতৃত্বের প্রিনাটাল কোর্স সবচেয়প কার্যকরী হবে আশা করা যায়। এই কোর্সটা মূলত কাপল কোর্স - যেখানে স্বামী স্ত্রী দুজনেই ক্লাস করেন, ১৬টা ক্লাসে প্রেগনেন্সির আদ্যোপান্ত জানেন। এই কোর্সের ক্লাস করা হাজবেন্ড তখন নিজেই স্ত্রীর কাছে থেকে বেসিক সাপোর্ট দিতে পারবেন বলে আশা করা যায়।

৩। যেই হাস্পাতালে ডেলিভারি করানোর ইচ্ছে , সেই হাস্পাতালে আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রাখতে হবে যে সেখানে লেবার রুমে হাজবেন্ড এর উপস্থিতি অনুমোদিত কিনা। কেননা বাংলাদেশে এখনো এই ফ্যাসিলিটি সব হাস্পাতালে গড়ে উঠেনি। তাই আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রাখা জরুরী। 

৪। হাজবেন্ড এর উপস্থিতির বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত হতে হবে, তার নিজের মানসিক শক্তি, ধৈর্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা ভালো থাকতে হবে। কারোর বা কোন কিছুর চাপে পড়ে অনিচ্ছায় দুর্বল মানসিকতার কেউ লেবার রুমে থাকাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।  

লেবার রুমে হাজব্যান্ড এর উপস্থিতির যেসব সুবিধা আছে সেগুলো পেতে চাইলে এবং অসুবিধাগুলো থেকে নিরাপদ থাকতে চাইলে উপরের চেকলিস্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

লেবারের হাজব্যান্ডের কি আইন করে বাধ্যতামূলক করা উচিত?

মায়েদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন নিজেদের ব্যাক্তিগত আবেগ এবং অভিজ্ঞতায় অনেক সময় দাবি করে বসেন যে, দেশে আইন করে এই ব্যাপারটা বাধ্যতামূলক করে দেয়া উচিত। অনেকেই আবার বিদেশের কালচার দেখেও উৎসাহিত হন।

অনেক স্ত্রীর ধারণা এতে করে স্ত্রীদের কষ্ট দেখে স্বামীরা সংবেদনশীল হবেন। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে, বিদেশেও যেসব স্বামীরা লেবার রুমে স্ত্রীকে সঙ্গ দিয়েছেন, তাদের সবার সংসার যে এই কারনেই সুখের হয়েছে, তা কিন্তু নয়। অনেকেরই বিচ্ছেদ হয়েছে। দাম্পত্য অনেক বড় একটি বিষয়।

আর, আদৌ বাংলাদেশের পারিবারিক, আর্থ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোতে এই দাবির কোন বাস্তবিক উপযোগিতা আছে কিনা- এটি বেশ ভেবে দেখার বিষয়।

তাছাড়া কোন একটি আইন পাশের জন্য সেই বিষয়ের সার্বিক প্রয়োজনীয়তা যাচাই করা হয়, যা এক্ষেত্রে এখনো ততটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলেই প্রতীয়মান হয়।

তাই হাজব্যান্ড লেবার রুমে থাকার চেয়েও জরুরী হবু মায়ের সাথে একজন দক্ষ সাপোর্ট পারসন/ দৌলার উপস্থিতি।  

দেশে কোন হাসপাতালে স্বামী উপস্থিত থাকতে পারে?

মাতৃত্ব ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন আলোচনার ভিত্তিতে আমরা জেনেছি, দেশের কিছু হাসপাতালগুলোতে ডেলিভারি বা বাচ্চা বের হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বামীকে প্রসূতি মায়ের সাথে অবস্থান করতে দেয়।

  1. পপুলার ডায়াগনস্টিক লিঃ, ঢাকায় ডাক্তার ছন্দা মজুমদার
  2. ইউনাইটেড হসপিটাল, ঢাকায় ডাক্তার নুসরাত জাহান
  3. ইম্পালস হসপিটাল, তেজগাঁও, ডক্টর সংযুক্তা সাহা
  4. সেন্ট্রাল হাসপাতাল ঢাকায় ডাক্তার তাবাস্সুম পারভীন
  5. বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল এ ডাক্তার শামীমা নারগিস
  6. আল মানার হাসপাতাল, ঢাকায় ডাক্তার নিলুফার পারভীন
  7. মাদার কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
  8. মনোয়ারা হাসপাতাল, ঢাকা (ডাক্তারের উপর নির্ভর করবে)
  9. স্কয়ার হসপিটাল, পান্থপথ, ঢাকা। ডাক্তার ফারজানা রশীদ।

এই তালিকায় আমরা কেবল ঢাকার তথ্য জেনেছি। এর বাইরে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন

লেবার রুমে হাজব্যান্ড এর উপস্থিতি নিয়ে কিছু বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

১। লেবার রুমে হাজবেন্ড এর উপস্থিতি কি দাম্পত্যের জন্য সত্যিই সহায়ক?

জি, সহায়ক। তবে এটা খুব নিশ্চিত/ দীর্ঘমেয়াদী কিছু না। লেবার রুমের বাইরেও হাজব্যান্ডের প্রচুর দায়িত্ব থাকে যেগুলো সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমে দাম্পত্য সুন্দর করা যায়। 

২। হাজব্যান্ডকে কি তবে একদমই এলাউ করা ঠিক না?

প্রসবকালে লেবার রুমে কাকে এলাউ করা হবে বা হবে না সেটা আসলে নির্ভর করে সেই নির্দিষ্ট পরিবারের উপর। স্বামী স্ত্রীর নিজেদের ইচ্ছা ও অবস্থা বুঝে এই সিধান্ত নেয়া দরকার। যদি হাজবেন্ড আগ্রহী হন, যোগ্য হন এবং হাস্পাতালে পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা থাকে, তবে অবশ্যই হাজব্যান্ড থাকতে পারবেন। নইলে এই চিন্তা বাদ দেয়াই উত্তম।

৩। লেবার রুমে কি কেউই থাকতে পারবে না?

লেবার রুমে হবু মায়ের সাথে একজন সাপোর্ট পারসন থাকা খুবই দরকার। আমাদের দেশে সেই সাপোর্ট পারসন হিসেবে হবু মায়ের নিকটাত্মীয় নারীরাই থেকেছেন। বর্তমানে দৌলা সেবা নিচ্ছেন অনেকে। 

সুতরাং, লেবার রুমে অবশ্যই একজন সাপোর্ট পারসন দরকার, তবে সেটা কে হবেন তা নিজেরা ঠিক করে নেবেন। 

পুরুষদের মতামত

 লেবার রুম/ অপেরেশেন থিয়েটারে হাজবেন্ড এর উপস্থিতি নিয়ে বেশীরভাগ মতামত নারীদের। তারা চান তাদের কঠিন সময়টুকুতে হাজব্যান্ড পাশে থাকুক। কিন্তু এই ব্যাপারে পুরুষদের মতামত কী, এটাও জানা থাকা দরকার, কারণ সাপোর্ট পারসন হওয়া খুব সহজ কাজ নয়।

এই ব্যাপারে মাতৃত্বের রিসার্চ বলছে, স্ত্রীর প্রতি সহানুভুতি আছে এমন দায়িত্বশীল অনেক পুরুষই লেবার রুমে থাকার জন্য আগ্রহ বোধ করেন। 

তবে, অনেকেই আবার স্ত্রীকে ভালোবাসা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে অনাগ্রহী হতে পারেন কেননা লেবারের সময় মানসিকভাবে দৃঢ় থাকার মতন মনোবল অনেক স্বামীরই থাকেনা। তাই তারা চান দক্ষ ডাক্তার/ নার্স/ দৌলার কাছেই স্ত্রীর লেবার নিরাপদে চলুক।

আবার, আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, একজন মা যখন লেবারে থাকেন, তখন কিন্তু লেবার রুমের বাইরেও নানান রকম কাজ থাকে। হাসপাতালের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা, অনাগত সন্তানের জন্য কিছু প্রস্তুতি অথবা হবু মায়ের জন্য জরুরী দরকারের সব কিছু যোগাড় করে রাখা, সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর সন্তানকে স্বাগত জানানোর কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। 

এইসবকিছুর জন্যও একজনকে প্রস্তুত থাকতে হয়। লেবার রুমে যদি হাজবেন্ড উয়াইফ দুজনই কাহিল হয়ে পরেন, তবে বাদবাকি কাজগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, যা কাম্য নয়। 

পরিশেষে এটা বলা যায় যে, লেবার রুমে মায়ের সাথে একজন সাপোর্ট পারসন থাকা খুব খুব দরকার। তবে সেটা যে হাজব্যান্ডই হতে হবেন , তা নয়, বরং লেবার নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন, মা যার সাথে সহজবোধ করবেন, সেরকম যে কেউই হতে পারেন। 

স্বামী যদি এই সাপোর্ট রোল প্লে করতে চান, তবে তার প্রিনাটাল নলেজ থাকা জরুরী, একই সাথে মানসিক প্রস্তুতি, লেবার রুমের পরিস্থিতিতে নিজে দৃঢ় থাকার সক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা থাকা দরকার।

আর পুরো বিষয়টায় হাসপাতাল ও সেবাদানকারী ডাক্তার বা মিডওয়াইফের সম্মতি জরুরী। আমরা আশা করতে পারি, সময়ের সাথে সাথে  আমাদের দেশেও প্রিনাটাল নলেজ সবার কাছে পৌঁছে যাবে এবং লেবার রুমে হাজবেন্ড এর উপস্থিতির অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। 

তথ্যসূত্র

১।Does A Father Have A Right To Be In The Delivery Room During The Birth Of His Child?

২। How it became almost mandatory for dads to attend the birth

সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছেঃ অক্টোবর ৩১, ২০২৫