শিশুদের বয়সানুযায়ী তাদের মাঝে কিছু চাহিদা তৈরী হতে থাকে। এই চাহিদাগুলো যেমন শারীরিকভাবে বাড়ে তেমনি মানসিকভাবেও বাড়ে। শারীরিক চাহিদাগুলো তাদের বাড়ন্ত বয়সে খালি চোখেই দেখা যায়। যেমন, তাদের গাছে উঠে যাওয়ার প্রবণতা, তাদের সাইকেলে চড়া শিখা, তাদের ক্রিকেট ব্যাট ও বল ব্যাবহার করার কৌশল তৈরী হওয়া ইত্যাদি।
মানসিক চাহিদাগুলোর কথা যদি বলি, তাহলে দেখা যায়, বাচ্চারা নানা বয়সে নানারকম প্রশ্ন করতে থাকে। বিশেষ করে ৪-৮ বছর বয়সী বাচ্চাদের মাঝে নানারকম বিষয় নিয়ে নানারকম কৌতুহল কাজ করতে থাকে। এসব প্রশ্নের সবথেকে উল্লেখযোগ্য ধরণটা হলো- এটা কী? ওটা এমন কেন? সেটা তেমন হলো কীভাবে? এটা করতে কতোক্ষণ লাগে?
এই প্রশ্নগুলোকে বিভক্ত করলে দেখা যায়, কোন জিনিসের প্রতি কৌতুহলটা তাদের মাঝে “কী, কেন, কীভাবে” রূপে কাজ করে। কোন বিষয়ের সময়, আকার, পরিমাণ সম্পর্কে তাদের কৌতুহল কাজ করে। ঠিক এই কৌতুহলটাকে কাজে লাগিয়েই তাদেরকে সাধারণ জ্ঞান, শব্দার্থ, দুআ, বিভিন্ন বস্তু (যেমন কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ), ব্যবহার্য জিনিসপাতি (যেমন পেষ্ট, লোশন, অয়েন্টমেন্টের আলাদা আলাদা ব্যবহার) শিখিয়ে দেয়া যায়। তারা “কী, কোনটা, কেন” প্রশ্ন করতে সেখার আগেই তাদেরকে এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়াতে অভ্যস্ত করে তুলা।
যেমন, কাক হলো বাংলা। আরবিতে বলে غراب (গুরাবুন), ইংরেজিতে বলে Crow। তাদেরকে এই কথাটি একবার বলে দিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কাক আরবিতে কী? তারা উত্তর দিবে “গুরাবুন”। যদি আটকে যায় তাহলে নিজেই বলবেন, “কাক আরবিতে গুরাবুন”। আবার জিজ্ঞেস করবেন, “গুরাবুন বাংলাতে কী?” তারা বলবে, কাক। যদি আটকে যায় তাহলে নিজেই বলবেন, গুরাবুন বাংলাতে কাক।
এভাবে দুয়েকবার বলে দিলে তারা নিজেরাই প্রশ্নের সাথে সাথে উত্তর দিতে থাকবে। আবার, যদি বর্ণ/Letter/হরফের সাথে তারা পরিচিত থাকে তাহলে বানানটাও একই পদ্ধতিতে শিখিয়ে দিতে পারেন। এভাবে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের প্রচেষ্টাতেই যেকোন শব্দার্থ তারা শিখে নিতে পারবে, বারকাল্লাহ।
একই পদ্ধতিতে ব্যবহার্য জিনিসপাতি, যন্ত্রাংশ, দুআ, সাধারণ জ্ঞানের পাঠগুলো তাদেরকে খেলার মতোই পড়াতে পারবেন। তাদের কাছে পড়াশুনা হয়ে উঠবে খেলাধুলার মতোই আনন্দের, তৃপ্তির, পড়াশুনার গতিও বাড়বে।