১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন বিশ্বের অর্ধেকের বেশি ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ জানে না তাদের ডায়াবেটিস আছে। 

এই কথা এটাই নির্দেশ করে যে ডায়াবেটিস বিষয়ে আমাদের দরকারি সচেতনতা নেই, যার কারণে শরীরে ডায়াবেটিসের উপসর্গ দেখা দেয়ার পরেও সাধারণ মানুষরা তাদের রক্ত পরীক্ষা করেন না। 

পুরুষদের তুলনায় নারীদের ডায়াবেটিস হওয়ার হার কম হলেও এটা নিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই। দিন দিন আমরা যে ধরনের লাইফ স্টাইলে অভ্যস্থ হচ্ছি, এতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা বাড়ছে। 

নিচের কয়েকটি বিষয়ে সচেতনতার জন্য আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

  1. পারিবারিকভাবে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে কিনা চেক করে দেখুন। আপনার বাবা বা মায়ের কারো ডায়াবেটিস থাকলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। 
  2. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার জন্য এটা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করুন। বাংলাদেশী খাদ্যাভাসে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বেশির ভাগই কার্বোহাইড্রেট সংক্রান্ত খাবার, যেখানে প্রোটিনের উপস্থিতি কম । কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের তুলনায় আমাদের শারীরিক পরিশ্রম কম হচ্ছে কিনা বিষয়টা খেয়াল করুন । শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ান , সামর্থ্য থাকলে জিমনেসিয়ামে সময় দিন। 
  3. প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা হাটুন। 
  4. আমরা সবাই ক্যালোরি ইনটেক নিয়ে সচেতন, কিন্তু প্রতিদিন কি পরিমান প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত সেটা নিয়ে আমাদের সচেতনতা কম। স্বাভাবিক সুস্থতার জন্য আপনার ওজনের সমপরিমাণ গ্রামের প্রোটিন গ্রহণ করুন অর্থাৎ আপনার ওজন ৭০ কেজি হলে প্রতিদিন 70 গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করুন।
  5. প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করুন, নিশ্চিত হন আপনার রক্তে শর্করা বা সুগারের পরিমাণ পরিমিত মাত্রায় আছে
  6. কনসিভ করে থাকলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতন হোন। 
  7. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে এটা সম্পর্কে জানুন, একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আনুন। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন, গর্ভকালীন বাকি সময় এবং সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে এই ডায়াবেটিসের কি ভূমিকা আছে সেটা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখুন।

গর্ভবতী মায়েরা প্রিনাটাল কোর্সে জয়েন করুন। কোর্সের ১৬টা ক্লাসে যা শিখবেন:

  • কিভাবে একটা হেলদি প্রেগনেন্সি নিশ্চিত করা যায়,
  • খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে,
  • গর্ভাবস্থায় কেমন পুষ্টি দরকার,
  • কি ধরনের ব্যায়াম করবেন,
  • গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে গেলে কিভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করবেন ইত্যাদি আরো নানা বিষয়। 

১৯৯০ টাকার এই কোর্স হতে পারে গর্ভাবস্থায় আপনার অন্যতম সেরা বিনিয়োগ! এই নভেম্বরে ৫০০ টাকা ছাড়ে ভর্তি হতে পারেন জানুয়ারি ২০২৫ ব্যাচে!

আপনার সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ থাকুক এরকম ইচ্ছা যদি থাকে তাহলে নিজের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আনুন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে জানুন শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ান। সুস্থ প্রজন্মের বিকাশের শুরু আপনার থেকেই হোক

লেখাটি রিভিউ করেছেন –

ডাঃ সাবেরিনা সালাম সারাহ
MBBS, PGT (Pediatrics), Medical Officer, Pediatrics & Neonatology Department, Bangladesh Specialized Hospitalå