সন্তান লালন-পালন সব যুগেই একটা চ্যালেঞ্জ। এজন্য কোরআনে সূরা লোকমানে আমরা দেখি, জ্ঞানী লোকমান রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ছেলেকে বিভিন্ন উপদেশ দিচ্ছেন।
তবে বর্তমান সময়ে সুসন্তান গড়ে তোলার এই চ্যালেঞ্জ ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। এমন এক সময়ে আমরা বাবা মায়েরা আছি, যখন সন্তানকে শাসন করা যায় না, বকা দেওয়া যায় না। আমাদেরকে জানানো হচ্ছে, শাসন মানসিক বিকাশের অন্তরায়।
আরবি ভাষায় প্যারেন্টিং এর কাছাকাছি শব্দ হলো তারবিয়াহ। শব্দগতভাবে এর অর্থ হল কোন কিছুকে বিকশিত করা, সুন্দর করা, প্রশিক্ষণ দেয়া। সম্ভবত এই শব্দটা বড় ছোট সবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব।
থিওরিটিক্যালি চিন্তা করলে প্যারেন্টিং বা তারবিয়াহ’র মূল লক্ষ্য যেখানে সন্তানকে প্রশিক্ষিত করে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা (Proactive approach), সেখানে বর্তমান সময়ের বাবা মায়েরা বিভিন্ন জটিলতা সমাধানে ব্যস্ত (Reactive approach)।
যেসব প্রশ্ন আমাদের তাড়া করে সেগুলো এরকমঃ
- বাচ্চাদের device consumption বা ডিজিটাল আসক্তি কিভাবে কমানো যায়
- বাচ্চা কথা শোনে না, কিভাবে কথা শোনানো যায়
- মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত না করে কিভাবে শাসন করা যায়
- ডিপ্রেশনে আক্রান্ত বাচ্চাকে কিভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়
- যুগের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মাঝে বাচ্চাকে কিভাবে ভালো মুসলিম বানানো যায়
আমাদের সন্তান প্রতিপালন কার্যক্রমে Proactive এবং Reactive দুই ধরনের অ্যাপ্রোচের মাঝখানে কিভাবে ব্যালেন্স করা যাবে এটা নিয়ে কথা বলতে আসবেন ডক্টর সাঈদ-আল-জামী ও তাঁর আহলিয়া উম্মু ‘আবদিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ এই দম্পতিকে আল্লাহ আট সন্তান দ্বারা সুশোভিত করেছেন এবং তাঁরাও যথাযথ তারবিয়াহ’র মাধ্যমে সন্তানদেরকে উপযুক্ত মুসলিম ও মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেতনতার কাজ করে চলেছেন।
বিগত ১ অক্টোবর ২০২৩, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় এই দম্পতির সাথে কথা বলেছেন মাতৃত্ব সঞ্চালক ইসরাত জাহান এবং তার হাজবেন্ড নেজাম উদ্দিন।