আপনার বাচ্চার বয়স যদি ৩ মাস বা তার কম হয়, তবে ডায়রিয়া হওয়ামাত্র ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। যদি বাচ্চার বয়স ৩ মাসের বেশি হয় এবং ২৪ ঘন্টা পরও ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
এছাড়াও নিচের কোন একটি উপসর্গ দেখা গেলে জরুরী ডাক্তারের পরামর্শ নিন
=> একাধিকবার বমি হওয়া
=> পানিশূন্যতার লক্ষণ- যেমন মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ৬ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পায়খানা না হওয়া বা ডায়াপার শুকনো থাকা এবং কান্নার সময় চোখে পানি না আসা।
=> বাচ্চার পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া বা পায়খানার রং কালো হওয়া।
=> উচ্চমাত্রার জ্বর হওয়া- ৩ থেকে ৬ মাস বয়সী বাচ্চার জন্য ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রার জ্বর। ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী বাচ্চার জন্য ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার জ্বর। এছাড়াও ৩ মাসের কম বয়সী বাচ্চার জন্য জ্বর যদি ১০০.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা অতিক্রম করে, তবে অতি জরুরীভিত্তিতে ডাক্তার ডাকুন। এত অল্প বয়সে উচ্চমাত্রার জ্বর সাধারণত মারাত্মক ধরণের অসুখ বা সংক্রমনের ইঙ্গিত বহন করে।
বাচ্চাকে কিভাবে সংক্রমনজনিত ডায়রিয়া থেকে বাঁচাবেন
বারবার হাত ধোয়া আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী কৌশল। কারণ যেসব জীবানুর ফলে ডায়রিয়া হয়, তা সহজেই বাচ্চাকে দেখভালকারী মা বা তার আত্মীয়স্বজনদের হাত থেকে সহজেই বাচ্চার মুখ হয়ে তার পেটে পৌঁছায়। এছাড়াও বাচ্চার নিজের হাত থেকে মুখ হয়ে পেটে জীবানু পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে অল্প বয়সে জীবানুবাহী খেলনা বা অন্যান্য বস্তু ধরা এবং বারবার মুখে হাত দেয়ার অভ্যাস থেকে দূরে রাখুন।
বাচ্চার ময়লা কাঁথা বা ডায়াপার ধরার পর গরম পানি ও সাবান দিয়ে কমপক্ষে ১৫ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। বাচ্চার খাবার তৈরির আগে ও বাথরুম সারার পরও একই নিয়মে হাত ধৌত করুন এবং বাচ্চারও হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। বাসার সবাই মিলে বাচ্চাকে যত্ন নেবার পরিবর্তে কেবল মা হিসেবে নিজে বাচ্চার দেখভাল করুন। এতে পরিচ্ছন্নতাজনিত কৌশল পরিপালন সহজ হয় এবং বাচ্চার সুস্থ থাকার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
ছবিঃ BabyCenter
লেখাটি রিভিউ করেছেন –
ডাঃ সাবেরা সাঈদা খান
M.B.B.S (DU), MPH (Reproductive & Child Health)(NIPSOM),
Diploma in Ultrasonogram
Lecturer, Ibn Sina Medical College
Consultant Sonologist, Trust Medical Care