
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও আপনি এমন অসংখ্য মেয়ের, অসংখ্য মায়ের গল্প পাবেন যেখানে হাজব্যান্ড কারণে অকারণে গায়ে হাত তুলে। কেউ আবার ভাত, কাপড়ের খোটা দেয়।
অথচ মেয়েটা শিক্ষিতা, রূপে, গুণে অনন্যা।
সেইসব মেয়েরা, সেইসব মায়েরা দূখ পুষে।
সামাজিক স্বীকৃতি আর লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেও না।
আবার অনেকের হাজব্যান্ড দেদারসে পরকীয়া করে।
পরকীয়া করার সময় আবার নাম দেয় বউ আর আগের মতো সময় দেয় না।
বউয়ের চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে। বউ রগচটা হয়ে গেছে।
সেইসব বেশিরভাগ মায়েরা কি করে?
সন্তানের জন্য সয়ে যায়। একটা আস্ত জীবন বয়ে বেড়ায়। বুকের তলের দুখ গুলো টের পায় না কেউ।
নাড়ী ছেড়া সন্তান নাড়ীর গভীরের ক্ষত টের পায় না।
আহ! সন্তান!
কি নিদারুণ এক আবেগের নাম!
যার জন্য মার খাওয়া যায়…..
ভাতের খোটা, কাপড়ের খোটা হজম করা যায়….
অত্যাচার, অবহেলা সহ্য করা যায়….
যার দিকে তাকিয়ে নিজ ঘরে সন্ন্যাস যাপন করা যায়….
সন্তান! জম্ন দিলেই মা হওয়া যায়! কিন্তু জননী হওয়া যে বড় কঠিন কাজ!
আপনি যদি সেইসব মেয়েদের, সেইসব মায়েদের দলে না থাকেন তবে রবের নিকট শুকরিয়া করুন আর তাদের জন্য দোয়া করুন।
পারলে তাদের জন্য কিছু করুন।
আর যদি নিজেই তাদের একজন হোন তবে মানিয়ে নেয়ার নাম পরিবর্তন করে নিজের জন্য কিছু করুন।
মা হলেই মানিয়ে নিতেই হবে এই ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
আর অবশ্যই নিজের সন্তানকে সুশিক্ষা দিন।
আপনার সন্তান যেন অমানুষ না হয়ে মানুষ হয় সেই চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান যেন কারও দুখের কারণ না হয়।