বাচ্চার জন্মের পর থাইরয়েড টেস্ট করা একটা ম্যান্ডেটরি বিষয়। যাদেরই বাচ্চা হচ্ছে, হবে, ৫ম দিনের মধ্যে নিজ উদ্যোগে বিলিরুবিনের সাথে সাথে থাইরয়েড টেস্ট করিয়ে নিবেন। ডাক্তার না বললেও আপনারা রিকুয়েষ্ট করে করাবেন।

থাইরয়েডের সমস্যা যত দ্রুত ডায়াগনোসিস হবে তত দ্রুত বাচ্চা ট্রিটমেন্ট পাবে, সুস্থ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। আর ট্রিটমেন্ট দেরীতে শুরু হলে বাচ্চা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভবনা প্রবল।

১ বছর পরে ট্রিটমেন্ট শুরু হলে তখন ফিজিক্যাল গ্রোথ হবে, কিন্তু মেন্টাল গ্রোথ হবেনা। বাবা বা মা যেনো কোনো একজনের থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে, বা পরিবারের কারো থাকলে বা টোটালি না থাকলেও এমন সমস্যা হতে পারে।

ছোট্ট একটা টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

কিছু লক্ষন দেখে বোঝা যেতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা।

১) স্কিন ড্রাই,খসখসে হওয়া।
২) গ্রোথ ঠিক মত না হওয়া।(ওজন + উচ্চতা)
৩)ঘুম ভাব বেশী থাকা।
৪)কন্সটিপিশন বা পটি না হওয়া।
৫)গায়ের রং কালো হওয়া।
৬) দুচোখের মধ্যের অংশে নাকটা চ্যাপ্টা হয়ে চোখের দুরত্ব বেশী হওয়া।
৭) কান্না করলে ফ্যাসফ্যাসে আজওয়াজ হওয়া।
৮)দীর্ঘদিন জন্ডিস থাকা।

এগুলো সহ আরো নানা উপসর্গ থাকে।

যাদের বাচ্চাদের থাইরয়েডের সমস্যা তারা অবশ্যই একজন পিডিয়াট্রিক এনড্রোকাইনোলজিস্ট দেখাবেন। ঢাকায় শাহবাগে পিজিতে দেখাতে পারেন। অথবা এর সেগুনবাগিচার বারডেম হাসপাতালে দেখাতে পারেন।

বারডেম এ যে কয়েকজন আছেন তার মধ্যে ফৌজিয়া মহসিন ম্যাম বেস্ট।কিন্তু উনার সিরিয়াল পাওয়া টাফ।ওখানে আরো কয়েকজন আছেন তাদের কেও দেখাতে পারেন।

ফৌজিয়া ম্যামের ফি ৫০০ টাকা। অন্য দের ৩০০/৪০০ এমন।

আর যদি ফিনানশিয়াল ইস্যু না থাকে তাহলে ইউনাইটেড হসপিটালের সুরাইয়া বেগম ম্যামকে দেখাতে পারেন। উনি একজন অসম্ভব ভালো মানুষ।

আর টেস্ট করতে tsh,Ft3,Ft4 ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভেদে কমবেশী হতে পারে। তবে মোটামুটি ২ হাজার লাগবে।

এই তো! আর কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে প্রশ্ন করতে পারেন। অথবা মাতৃত্ব ফেসবুক গ্রুপ (মেয়েদর জন্য) বা টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রশ্ন করতে পারেন।

লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
হ্যানা