প্রেগনেন্সি ডেঞ্জার সাইন!

একটা মানুষের শরীরের মধ্যে আরেকটা মানুষকে ধারণ করা চাট্টিখানি কোনো ব্যাপার না! ছোট্ট জানটা তিল তিল করে বেড়ে উঠার সাথে সাথে মায়েদের শরীরে কত রকমের যে পরিবর্তন হয়। এবং এই পরিবর্তনের সাথে হাত ধরাধরি করে আসে নানান রকমের অস্বস্তি। সারাক্ষণই কেমন না কেমন লাগতেই থাকে। এত এত সমস্যা যে কোনটা ডক্টরকে বলবো আর কোনটা বলবো না— এই চিন্তায় মায়েরা প্রায়ই দিশেহারা বোধ করেন।

লো-রিক্স প্রেগনেন্সিতে টুকটাক বেশিরভাগ অস্বস্তিই স্বাভাবিক ধরা হয়। তবে, নিম্ন লিখিত ব্যাপারগুলা যদি প্রেগনেন্সি চলাকালীন আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তাহলে দেরী না করে দ্রুতই আপনার ডক্টরের সাথে কনসাল্ট করবেন, অথবা হসপিটালের ইমার্জেন্সিতে চলে যাবেন। 

গর্ভাবস্থায় বিপদচিহ্ন

► পেট ব্যথা, বিশেষ করে হঠাৎ তীক্ষ্ণ, তীব্র, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা। 

► ভ্যাজাইনা বা যোনিপথে রক্তপাত। 

► একটানা বমি, বিশেষ করে প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাসের পরেও। 

► উচ্চ মাত্রার জ্বর ও অসুস্থতা। 

► প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা বা প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া। 

► যোনিপথ থেকে অস্বাভাবিক কোনো তরল বের হওয়া, যোনিপথে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা দুর্গন্ধ (বিশেষ করে মাছের আঁশটে গন্ধের মতো)। 

► বাচ্চার নড়াচড়া হঠাৎ কমে যাওয়া, বা একদম বন্ধ হয়ে যাওয়া। 

► মাথা ঘোরা, বিশেষ করে যদি সঙ্গে মাথাব্যথা বা চোখে ঝাপসা দেখা যায়। 

► শরীরে এক্সেসিভ সোয়েলিং বা অতিরিক্ত ফোলাভাব, বিশেষ করে মুখে, হাতের বাহুতে বা পায়ে। 

► হাঁটুর পেছনে বা পায়ের পিছনের মাংসল অংশের কোনো স্থানে লালচে, গরম, ও ব্যথা হওয়া। 

► যোনিপথ দিয়ে হঠাৎ করে অনেকখানি পানি বের হওয়া। 

► যোনিপথ দিয়ে যেকোনো কিছু বের হওয়া (যেমন: পানির থলে বা ঠিসি, আম্বিলিক্যাল কর্ড, বাচ্চার হাত-পা, ইত্যাদি যেকোনো কিছু)। 

দু’আ করি আল্লাহ্ রব্বুল ‘আলামিন প্রত্যেকটা মায়ের প্রেগনেন্সি জার্নি নিরাপদ করুন, খায়ের ও আফিয়াতের সাথে  সহজ ও সুন্দর করে দিন। আল্লাহুম্মা আমিন। 

আমাতুল্লাহ অদ্রি

চাইল্ডবার্থ এডুকেটর (আমানিবার্থ)
ডুলা ট্রেইনি (মাতৃত্ব)

রেফারেন্স:

[১] Al Hajjar, A. (2018). AMANI Birth Teacher’s Guide (pp. 38). AMANI Inc.

সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছেঃ জুলাই ২৪, ২০২৫