PCOS (পিসিওএস) হলো নারীদের হরমোন সংক্রান্ত একটি জটিল সমস্যার নাম, যা তাদের প্রজনন ক্ষমতার মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। গোটা পৃথিবীতে ২ থেকে ২৬ শতাংশ নারী এ সমস্যায় ভুগছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও এর ব্যাপক বিস্তার দেখা যাচ্ছে, যা একটি উদ্বেগের বিষয়। আরো ভয়ের কারণ হল এই, এ রোগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ নারীই তার শরীরে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন না!

PCOS কি?

PCOS এর পুরো নাম হল- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। এটি মূলত অনেকগুলো অস্বাভাবিক লক্ষণের সমন্বয়, যা নারীর ওভারি (ডিম্বাশয়) তথা প্রজননতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।

পলিসিস্টিক (Polycystic) কথাটির হলো অনেকগুলো সিস্ট বা তরলে পূর্ন ছোট ছোট থলের মত অংশ, যা ওভারি জুড়ে থাকে। এই থলেগুলো (আসল নাম ফলিকল) এক একটি অপরিপক্ক ডিম্বাণু বহনকারী ছিল, কিন্তু প্রয়োজনীয় হরমোনের অভাবে তা আর পরিণত (ওভুলেশন) হতে না পেরে সিস্ট আকারে জমতে থাকে। এর ফলে শরীরে এন্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। মাসিকের চক্রেও অনিয়ম দেখা যায়। 

কেন হয় PCOS? 

ঠিক কি কারণে PCOS হয় তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। মূল কারণ অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন উৎপাদন, কিন্তু তার জন্য কি কি দায়ী সে বিষয়ে এখনো গবেষণা চলছে। 

  • জীনগত: অনেকে মনে করেন যে, এর কারণ জেনেটিক হতে পারে, অর্থাৎ বংশগত কারণে এই সমস্যা আসতে পারে। এর স্বপক্ষে বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল রয়েছে।
  • ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স: অর্থাৎ শরীরের কোষগুলোর যথাযথভাবে ইনসুলিন ব্যবহারে অক্ষমতা। প্রায় ৭০% PCOS আক্রান্ত নারীর এটি আছে। ইনসুলিন ব্যবহার করতে না পারায় রক্তে এর পরিমাণ ও সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থাই আবার এন্ড্রোজেন উৎপাদন করতে  সহায়ক।
  • ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ: গবেষণায় দেখা গেছে PCOS হওয়া নারীদের শরীরে ইনফ্লামেশন বেশি হয়, যা আবার এন্ড্রোজেন উৎপাদন আরো বাড়িয়ে দেয়।
  • স্থূলতা: এটির কারণে শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও ইনফ্লামেশন বৃদ্ধি পায়। সাথে ডায়বেটিস ও বিভিন্ন হার্টের অসুখ হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। 
  • এ ছাড়া, খাবারে নানা ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ, আমাদের অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস ইত্যাদি উপরের নিয়ামক গুলো বাড়িয়ে দিয়ে PCOS হওয়ার কারণ হতে পারে।

PCOS এর লক্ষণসমূহ

কোন কোন ক্ষেত্রে মাসিকচক্র শুরু হওয়ার বয়স থেকেই কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যায়। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত ওজন হয়ে যাওয়ার পর কিংবা গর্ভধারণে সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার পর এসব লক্ষণ ধরা দেয়।

সব সময় যে PCOS এর লক্ষণ বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় তা নয়। আবার অনেকসময়ই এই সমস্যার লক্ষণগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। যেমন – 

  • অনিয়মিত মাসিক, বছরে ৮টিরও কম হতে পারে, 
  • কারো কারো মাসিক শুরু হওয়ার পর আবার বন্ধ হয়ে  যেতে পারে
  • মাসিকে স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষয়
  • শরীরের নানা অংশে, বিশেষ করে মুখে লোম গজানো (হারসুইটিজম) 
  • চুলের ঘনত্ব বেশ কমে যাওয়া, অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের মত হালকা টাক দেখা যায়
  • হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া এবং উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা
  • ব্রণর বাড়াবাড়ি (একনে)
  • সন্তান গ্রহণে অক্ষমতা (ইনফার্টিলিটি)
  • পেলভিক পেন বা শরীরের নিম্নাঙ্গে মাঝে-মাঝেই যন্ত্রণা হওয়া
  • মাথা ব্যাথা
  • শরীরের কোন কোন অংশ কালো হয়ে যাওয়া, যেমন- গলা, বগল ইত্যাদি
  • হঠাৎ করে ত্বক তেলতেলে হয়ে যাওয়া
  • অকারণ মুড সুইং

এরকম কিছু-কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে যে, আপনি হয়তো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যায় ভুগছেন।

উপরে লেখা লক্ষণগুলোর মধ্যে থেকে যদি আপনি দুটিও নিজের মধ্যে দেখতে পান, তা হলে দেরি না করে সঙ্গে-সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এছাড়াও মনে করে থাইরয়েড টেস্ট করাবেন এবং ব্লাড সুগারও একবার পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। PCOS থাকলে রক্তে সুগারের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। 

ডাক্তার আপনাকে প্রথমে লক্ষণ গুলোর কথা জিজ্ঞেস করবেন। তার নিজ হাতে পেলভিক টেস্ট করে দেখতে পারেন। এন্ড্রোজেন সহ আরো বিভিন্ন ব্লাড টেস্ট করতে বলতে পারেন। সবশেষে একটি আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্টের মাধ্যমে আপনার PCOS আছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। 

PCOS এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি

বুঝতেই পারছেন এর ফলে শুধুমাত্র মাসিকে সমস্যা হবে তা না, গর্ভধারণ করতেও সমস্যা হবে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ভবিষ্যতে-

  • মেটাবলিক সিন্ড্রোম (উচ্চ মাত্রার ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল, প্রেশার ইত্যাদি) যা পরবর্তীতে ডায়বেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
  • ঘুমের ভেতর শ্বাসকষ্ট (এপনিয়া) হতে পারে।
  • ক্যান্সার হতে পারে, বিশেষ করে জরায়ুতে।
  • ডিপ্রেশান ও এনজাইটি বেড়ে যেতে পারে।

PCOS এবং মাতৃত্ব

এর ফলে একে তো গর্ভধারণ করতেই সমস্যা হতে পারে, আর তা করতে সক্ষম হলেও প্রিম্যাচিউর ডেলিভারির ঝুঁকি দ্বিগুন হয়ে যায়। তাছাড়া, গর্ভকালীন সময়ে মিস্ক্যারেজ, ডায়বেটিস, হাই প্রেশার ইত্যাদির ঝুঁকিও থাকে। 

তবে আশার কথা হল ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ধ্যাত্ব থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া, জীবন যাত্রার মানে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ও ওজন কমানোর মাধ্যমে গর্ভধারণ করা ও গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকা যায়।

PCOS থেকে মুক্তি 

সাধারণত দু’ভাবে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। যদিও PCOS কোনদিনই পুরোপুরিভাবে নির্মূল হয় না, তবে নানা চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরে হরমোনাল ব্যালান্স ঠিক রাখার চেষ্টা করে থাকেন চিকিৎসকরা। তা ছাড়া এর চিকিৎসা করার আগে অনেকগুলো বিষয়ও মাথায় রাখতে হয়। 

যে মহিলা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত, তিনি ভবিষ্যতে প্রেগন্যান্সি চান কিনা, চাইলেও কতদিনের মধ্যে চান, তাঁর বয়স কত – এরকম অনেক বিষয়ই মাথায় রাখতে হয়। আবার ওভারিতে সিস্টের সংখ্যা কত, শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের মাত্রা কতটা বেশি, তার উপরেও এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। তা ছাড়া তার অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, বিশেষ করে তিনি ডায়াবেটিক কিনা বা তাঁর হার্টের অবস্থা কীরকম – এরকম অনেক দিক মাথায় রেখে তারপরই PCOS রোগীর চিকিৎসা শুরু করা হয়। 

সাধারণত, দু’ভাবে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয় –

১। ওষুধ

  • জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল: এই ওষুধগুলোর সাহায্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হয় এবং শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।
  • ফার্টিলিটি পিল: অনেক মহিলাই PCOS-এ আক্রান্ত হন কিন্তু তাঁরা এই সমস্যা দূর করে মা হতেও চান, তাঁদের কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতি অন্যরকম হয়।
  • ডায়বেটিস পিল: PCOS থাকলে যেহেতু রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তাই তা কমানোর জন্য ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

২। সার্জারি 

অনেক ক্ষেত্রে যখন ওষুধে কাজ হয় না, তখন সার্জারি করে সিস্ট বের করা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ খোলা থাকে না। সার্জারিরও আছে রকমভেদ, যেমন – সিস্ট এস্পিরেশন,ওয়েজ ডিসেকশন, ওভারিয়ান ড্রিলিং ইত্যাদি। তবে ওভারিয়ান ড্রিলিং (Ovarian Drilling) ই বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতি। এক্ষেত্রে সার্জারির মাধ্যমে ওভারিতে ছোট-ছোট ছিদ্র করে সিস্টের তরল বের করে দেওয়া হয় যাতে আর অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হতে না পারে।

PCOS ডায়েট

সত্যি কথা হল PCOS এর First Line treatment ই হোল ওজন নিয়ন্ত্রণ । তাই  আপনি ওষুধ খান কিংবা সার্জারি করান, PCOS কন্ট্রোল করতে গেলে কিন্তু আগে  নিজের ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। 

১। লো-কার্ব  

আপনার যদি PCOS-এর সমস্যা থাকে, তা হলে লো-কার্ব খাবার অর্থাৎ যে খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম, সেই ধরনের খাবার খান। এর ফলে আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়বে না, ফলে অযথা ওজনও বাড়বে না। 

২। দুগ্ধজাত খাবার বেশি নয় 

গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার যতটা সম্ভব কম খেলে ভাল। গরুর দুধের বদলে নারকেলের দুধ, আমন্ড দুধ, সয়াবিনের দুধ খেতে পারেন।

 ৩। প্রসেসড ফুড একদম নয় 

PCOS হলে প্রসেসড ফুড যেমন সসেজ, চিজ, যেকোনো ক্যানড খাবার একেবারেই চলবে না। এই খাবারগুলিতে চিনি, ফ্যাট, প্রেজারভেটিভ এবং অতিরিক্ত পরিমানে সোডিয়াম থাকে যা এমনিতেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর; আর PCOS থাকলে তো এই পদার্থগুলি সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

৪। মিষ্টি খাবেন না 

চিনি না খেলেই ভাল। অনেকেই চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন না। তারা মধু দিয়ে খেতে পারেন। বাড়িতে কোনও মিষ্টি খাবার তৈরি করতে চাইলে চিনির বদলে গুড় দিয়ে করুন। এছাড়া মিষ্টি, আইসক্রিম, চকোলেট ও কোমল পানীয় যতটা পারেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

৫। ঘরোয়া টোটকা 

কিছু ঘরোয়া টোটকাও ফলো করতে পারেন-

  • দারচিনি – এক গ্লাস গরম পানিতে বা চায়ে এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খান। এতে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর হয়। 
  • তিসি / ফ্ল্যাক্সসিড-  অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য, মানে যে কারণে PCOS দেখা যায়, তিসি তা কম করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে তিসি। দুই টেবিল চামচ তিসি হামানদিস্তায় পিষে নিয়ে সকালে খালি পেটে পানিতে বা ফলের রসে গুলে খেয়ে নিন, যতদিন না পর্যন্ত আপনি সুফল পাচ্ছেন। 
  • অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার- দুই চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে হয় খালি পেটে কয়েক মাস খান। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে খুব তাড়াতাড়ি ওজনও কমে। তবে অবশ্যই বোতলের গায়ে ‘উইথ মাদার’ কথাটি দেখে কিনবেন। না কিনতে পারলে লেবু পানিও হতে পারে বিকল্প।

PCOS ও লাইফস্টাইল 

অনিয়মিত জীবনযাপন কিন্তু PCOS এর একটা কারণ। কাজেই যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে নীচের দেওয়া বিষয়গুলি মাথায় রাখুন।

১। এক্সারসাইজ- নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ না করতে পারলে ক্ষতি নেই, বাড়িতেই ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। আর কিছু না হলে সকাল-বিকেল হাঁটুন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট।

২। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন-  ওজন যদি বাড়তে থাকে তা হলে কিন্তু সিস্ট হতে বাধ্য। কারণ, শরীরে মেদ জমে-জমেই হরমোন এর ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যার ফলশ্রুতিতে মাসিক অনিয়মিত হয় এবং সিস্টের সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ১০ শতাংশ ওজন কমানোর মাধ্যমেই এই রোগ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৩। নিয়মিত চেকআপ করান- PCOS কিন্তু কখনই সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয় না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। যতদিন নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখবেন এবং নিয়মিত ওষুধ খাবেন, ততদিনই PCOS নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই সমস্যা একবার কমে গেলেও কয়েকবছর পর আবার ফিরে আসতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের মত দীর্ঘ মেয়াদী রোগে আক্রান্ত হতে পারেন একথা মাথায় রাখবেন। তাই নিয়মিত চেক-আপ করানো এক্ষেত্রে খুবই জরুরি।

অতএব, ভয় না পেয়ে সচেতন হোন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলে শুধু PCOS-ই না, যেকোনো রোগ থেকেই বেঁচে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। 

লেখাটি রিভিউ করেছেন –

ডাঃ সাবরিনা আফরোজ
MBBS, MPH
লেকচারার, ঢাকা কমিউনিটি মেডিসিন কলেজ