এখনকার সময়ে প্রেগন্যান্সিতে জ্যাস্টেশনাল ডায়াবেটিস অনেকটাই কমন। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশীয় জীবনযাত্রার ধরন, জেনেটিকস অনেকটাই দায়ী এর পিছনে। প্রথমবার প্রেগন্যান্সীতে ডায়াবেটিস থাকলে পরের প্রেগন্যান্সীগুলোতে থাকার সম্ভাবনা অনেকখানি। থাকবেই এমন কোন কথা নেই। তবে সম্ভাবনা বেশী থাকে। খারাপটাই ধরে নিয়েছিলাম, তাই দ্বিতীয়বারে খুব একটা অবাক হই নি। বাবা-মা দুইজনেরই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে। প্রেগন্যান্সীর শুরুতে যখন ফ্যামিলি মেডিকেল হিস্ট্রি নেয়া হয়, তখনই বলেছিলাম। তারউপর প্রথমবার ডায়াবেটিস থাকাতে দ্বিতীয়বার ১৮ সপ্তাহের দিকে একবার গ্লুকোজ টেষ্ট হলো। তখন নেগেটিভ এসেছে। ডাক্তার বলছিলো দেখো, এত খুশি হয়ো না। কারন প্রেগন্যান্সির ডেভেলপড স্টেজে এটা ব্যাক করতে পারে। করলোও। ২৬ সপ্তাহের গ্লুকোজ টলারেন্স টেষ্ট যথারীতি পজেটিভ।
আমার কাছে জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিসটা ভীষন স্ট্রেসফুল। কেউ কেউ হয়ত খুব স্বাভাবিকভাবে নেন। কিন্তু আমার কাছে আগাগোড়াই স্ট্রেসফুল। স্ট্রিক্ট ডায়েট মেইনটেইন করো, রেগুলার বাসায় কয়েকদফা ব্লাড টেষ্ট করো, নিয়মমাফিক ডায়াবেটিস হসপিটালে হাজিরা দাও, হাজারো ঝামেলা। তারউপর কিছু মানুষজনের তীর্যক মন্তব্য আছেই, ও আমরা তো ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে নিয়ে ফেলেছিলাম, তুমি পারো নি?
প্রথমে যেটা মাথায় রাখতে হবে, প্রত্যেকের শরীর আলাদা। একজনের ফর্মূলা আরেকজনের বেলায় কাজে দিবেই এমন কোন কথা নেই। একটা সময় জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস এত গুরুত্ব নিয়ে দেখা হতো না। বাচ্চা হতে যেয়ে মা মারা যাওয়া, বাচ্চা পেটে থাকতেই মারা যাওয়া, যেগুলো জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে, খুব কমন ছিলো। এখন এই ব্যাপারটাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। ২৪ সপ্তাহের পর রেগুলার গ্লুকোজ টেষ্ট করতে দেয়া হয়।
গ্লুকোজ টলারেন্স টেষ্ট তিনঘন্টার একটা ব্লাডটেষ্ট। আগের রাত থেকে ৮-১০ ঘন্টা খালিপেটে (ফাষ্টিং)থেকে পরদিন সকালে প্রথম ব্লাডটেষ্ট করা হয়। তারপর একটা অত্যন্ত তিতকুটে মিষ্টি ড্রিঙ্কস খেতে দেয়া হয়, যার একঘন্টার মাথায় দ্বিতীয় ব্লাডটেষ্ট হয়। তারও একঘন্টা পর তৃতীয় ব্লাডটেষ্ট। কপাল ভালো থাকলে সবগুলোর রেজাল্ট লিমিটের মধ্যে থাকবে। আমার গ্লুকোজ টলারেন্স টেষ্ট করে বাসায় আসার ঘন্টা তিনেকের মধ্যে ডাক্তার ফোন দিলো। তোমার টেষ্ট তো পজিটিভ এসেছে, তোমাকে ডায়াবেটিক ক্লিনিকে রেফার করে দিয়েছি। তোমার বাসায় ব্লাড টেষ্ট করার কিটস থাকলে এখন থেকেই টেষ্ট করা শুরু করে দাও।
জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস কিন্তু নরমাল টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে আলাদা। এর রেঞ্জও আলাদা। এর লিমিট টাইপ-২ এর থেকে বেশ কনজারভেটিভ। কারন এ ক্ষেত্রে মা’র সাথে সাথে বাচ্চাও এফেক্টেড হয়। কাজেই এই দুইটাকে মিলিয়ে ফেলার কারন নেই। এক এক দেশে এই রেঞ্জের ধরন কম-বেশী হতে পারে। জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিসের এই রেঞ্জটা কানাডায় আমার কাছে বেশ স্ট্রিক্ট মনে হয়েছে। এরা খুব সিরিয়াসলি এটা হ্যান্ডেল করে।
ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সপ্তাহখানেক পর ডায়াবেটিক ক্লিনিকে প্রথম এপয়েন্টমেন্ট পেলাম। উইমেন্স ক্লিনিকে সপ্তাহে দুইদিন স্পেশাল জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস পেশেন্টদের জন্য। এখানে এপয়েন্টমেন্ট মানে সারাদিনের ব্যাপার। সুঁই ফুটিয়ে ব্লাডটেষ্ট; ওজন, ব্লাড প্রেশার মাপা শেষ হলে একটারপর একটা সিরিয়াল। নার্স, ডায়েটিশান, ডাক্তার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে থাকো। ইন্সট্রাকশন দেয়াই থাকে, এইদিনগুলোতে সকালের ব্রেকফাষ্ট, স্ন্যাকস, দুপুরের খাবার সব সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। একবার যেহেতু আগে অভিজ্ঞতা ছিলোই, এবার জানা রাস্তায় হাঁটো।
গতবারের তুলনায় এইবার গ্লুকোজ টলারেন্স টেষ্টের ফাস্টিংয়ে লিমিটের বেশ উপরেই এসেছে। কাজেই প্রথম এপেয়ন্টমেন্টেই ডাক্তার বেডটাইম ইনসুলিন দিয়ে দিলো। তার যুক্তি হলো, তোমার তো প্রথমবারেও ফাষ্টিং ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হয় নি (ঘটনা সত্য। শেষের সপ্তাহ তিনেক ইনসুলিন নিয়েছিলাম। কিন্তু তাই বলে এত আগে!)। কাজেই এবারও যেহেতু হচ্ছে না, তুমি এখন থেকেই বেডটাইম ইনসুলিন শুরু করে দাও। ভয়ঙ্কর মন খারাপ হলো। কারন আমি সাধারনত কখনোই এই ব্যাপারে হেলাফেলা করি না। খুব মাপা ডায়েট, নিয়মমতো হাঁটাহাটি সবই করি। তারপরও সকালের খালিপেটে সুগার কখনোই কন্ট্রোলে আসে না। কারো কারো শরীরই এরকম। ইনসুলিন পেশেন্টদের ফাইলের উপর বড়বড় করে লাল কালিতে “হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সী” লেখা থাকতো। আমার ডায়েবেটিক ক্লিনিকে এপয়েন্টমেন্টের দিনগুলোতে মন খারাপ করে এই লাল কালির লেখার দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
প্রতিদিন চার বার (সকালে খালি পেটে, নাশতা খাওয়ার পর, দুপুরে লাঞ্চের পর, রাতের খাবারের পর) ব্লাড টেষ্ট শুরু করলাম। এক একবার এক এক আঙ্গুলে। মাইক্রোস্কোপের নীচে দেখলে হয়ত অসংখ্য ছোট ছোট ফুঁটার দাগ চোখে পড়তো। ডায়েটিশানের মিলিটারি ডায়েট শুরু করেছি। চেষ্টা করি ভাত একবেলা খেতে। কাপে মেপে মেপে ২/৩ কাপ ভাত খাই। আরো একটু ভাত নেয়ার জন্য হাত নিশপিশ করে, উপায় নাই। প্রথম দিকে খাবারে রুচি না থাকায় একদম খেতে পারি নি। যখন রুচি এসেছে, তখন এইসব মাপামাপি শুরু হয়েছে। মিষ্টি জিনিসে ব্যাপক আগ্রহ। ডাক্তারের বেঁধে দেওয়া সময়ের এক সপ্তাহ পর ইনসুলিন শুরু করেছি। মিরাকল হয় নি এর মধ্যে। এখনকার সময়ে ইনসুলিনগুলোতে তেমন ভীতিকর না। কলমের মতো একটা জিনিস, যার মাথায় নিডলটা সেট করতে হয়। পেট কিংবা থাইয়ের ফ্যাটি এরিয়াতে পুশ করতে হয়। নিডলে আমার ব্যাপক ভয়, যত সূক্ষ্মই হোক না কেন। কতদিন সূঁই হাতে নিয়ে বসে ছিলাম, চোখে পানি চলে আসছে। ইনসুলিন নেয়া শুরু করলাম।
প্রচুর প্রচুর হাঁটা হয়েছে। দুপুরে-রাতে খাওয়ার পরপরই হাঁটতে বের হতাম। আধাঘন্টা থেকে একঘন্টা হেঁটে এসে ব্লাড় টেষ্ট করলে রেঞ্জের ভেতর আসতো। একটু খাবার এদিক ওদিক হলে কিংবা হাঁটা কম হলেই সুগার আকাশে উঠে বসে থাকতো। চা-কফি এমনিতেই খাই না খুব একটা, এখন আরো নাই হয়ে গেলো। চিনি একদম বাদ। হোল হুইট রুটি শুরু করেছি। খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট একদম মেপে মেপে। ঘড়ি ধরে খাবার, স্ন্যাকস। যেহেতু এত মেপে খাওয়ার অভ্যাস নাই সারা বছর, একটু আধটু আধটু এদিক সেদিক হয়ই। আর ব্লাড টেষ্ট করার পরই মন খারাপ করা রেজাল্ট। গোটা ব্যাপারটাই এত স্ট্রেসফুল!
দাওয়াতে যাওয়া মানেই আরো মন খারাপ হওয়া। মজার মজার ডেজার্ট ছেড়ে দাও। জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ডেলিভারীর পর ভালো হয়ে যায়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে থেকেও যেতে পারে। কাজেই ভালো হয়ে গেলে কি কি মজার খাবার যেগুলো মিস করেছি, খাবো তারও লিষ্ট তৈরী করে ফেললাম। প্রচুর হেঁটেছি। বৃষ্টি বাদলায় ছাতা হাতে, এমনকি স্নোফলের ভিতরেও। বেশী বৈরী অবস্থায় বের হতে না পারলে বাসায় এক্সারসাইজের সাথে। মোটকথা তিনমাস সুপার এক্টিভ ছিলাম। এক্টিভনেস নরমাল ডেলিভারীর জন্য অনেক বেশী দরকার। আর এত এত মেপে খাওয়ায় প্রপার নিউট্রিশনে সহায়ক, যেটা হয়ত ডায়াবেটিস না থাকলে হতো না।
জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিসে স্ট্রেসের ব্যাপারটা আসলে একটা লুপের মতো। সুগার লেভেল বেশী আসলে দেখে স্ট্রেসড লাগতো, আবার স্ট্রেসের কারনে সুগার বেশী আসতো। এটা থেকে বের হতে পারিনি আমি। যেকারনে যথেষ্ট মেইনটেইন করার পরও কিছু সময় খাওয়ার পরও সুগার বেশী আসতো। কখনোই খাবার পরে বসে থাকিনি। খাওয়াটা শেষ হলেই হাঁটতে বের হতাম। ডেইলি এভারেজ ৩-৫ কিমি হেঁটেছি। তারপরও যখন মাঝেমাঝে বেশী আসতো, লাঞ্চ আর ডিনারের আগে ইনসুলিন সাজেষ্ট করলো ডাক্তার, অনডিমান্ড। এর পর হাঁটার পরিমান বাড়িয়েছি। কিন্তু খাওয়ার আগের ইনসুলিন নেই নি। দরকার পড়ে নি।
জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিসে সবচেয়ে রিস্কি ব্যাপার হলো, কন্ট্রোলড না হলেই বাচ্চা সাইজে বড় হয়ে যায়, নরমাল ডেলিভারী হয় না। তার থেকেও বড় ব্যাপার হলো ইনসুলিন নিতে হলে প্ল্যাসেন্ট ম্যাচিউরড হয়ে যায় আগে আগে, যেটা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তার পুরো ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন না, আগেই ইনডিউস করেন। যেটা আবার সি-সেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। ইনসুলিন শুরু করেছিলাম ৬ ইউনিট নিয়ে। সেটা বাড়তে বাড়তে চোখের পলকে ৪০ ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে। কারন কোনভাবে কন্ট্রোল হচ্ছে না। বেড টাইম স্ন্যাক্সস, ঘুমের টাইমিং চেইঞ্জ করে দেখলাম। কিছুতেই কিছু হয় না। ইনসুলিনের পরিমান আসলে কাস্টোমাইজড। এক একজনের শরীরের এক এক পরিমানে লাগে।
রিমোট পেশেন্ট মনিটরিং এর ব্যাবস্থা আছে ডায়াবেটিক ক্লিনিকে। সারাদিনের রিডিংগুলো ইনপুট দেই ওয়েবসাইটে, সেখান থেকে অটো ইন্সট্রাকশন আসে ডায়েট, ইনসুলিনের এমাউন্টের। দরকার মতো নার্সরা ম্যাসেজ রাখে, ফোন দেয়। জীবন অস্থির হয়ে গেলো। আর বিভিন্ন সময় ভয় লাগানো তো আছেই, দেখো, ঠিকমতো ইনসুলিনের ডোজ না বাড়ালে কিন্তু বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। তারউপর ডাক্তারের ভয় ধরানো যদি ইনডাকশনে না যেতে চাও, ফেটাল ডেথ কিন্তু হয়, ভেবে দেখো। কি যে অদ্ভুত সময় গেছে! যেভাবেই হোক ইনডাকশন এভয়েড করতে চেয়েছি। সি-সেকশনের ঝুঁকি বাড়ায় যখন। কাঁটাছেঁড়ায় আমার অনেক ভয়।
এন্ড স্টোরি, ইনডাকশন লাগে নি (প্রথমবার লেগেছিলো), নরমাল ডেলিভারী ছিলো। ডেলিভারীর পর ডায়াবেটিস নিল হয়েছে। ফলো-আপ ব্লাড টেষ্টের জন্য অপেক্ষা করছি। হ্যাপি এন্ডিং। যাদের জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য আমার টিপস (আমি যেহেতু ডাক্তার না, যেকোন ব্যাপার ডাক্তারের সাথে আলাপ করে নেবেন):
- জ্যাষ্টশনাল ডায়াবেটিসকে গুরুত্বের সাথে নিন। হেলাফেলা করবেন না। ডাক্তারের সাথে রেগুলার মনিটরিং এ থাকুন। হাই ব্লাড সুগার অনট্রিটেড থাকাটা মা-বাচ্চা দুইজনের জন্যই ক্ষতিকর।
- চিনি-মিষ্টিকে বিদায় দিন রেগুলার লাইফ থেকে। একদম বাদ।
- খাবারের ক্ষেত্রে ডায়েট চার্ট মেইনটেইন করুন। কার্বোহাইড্রেডের পরিমান কমান, প্রোটিনের পরিমান বাড়ান। ফল চার্ট অনুযায়ী খান। ফলে ন্যাচারাল সুগার হলেও তা কিন্তু সুগারই।
- যা ইচ্ছা মতন খাওয়া যায়, তা হলো সবজী। ভ্যারাইটিজ রকমের সবজী রাখুন ডায়েটে। প্লেটের অর্ধেক শুরুতেই সবজি, সালাদ দিয়ে ভর্তি করে ফেলুন।
- হেলদি স্ন্যাকস রাখুন সাথে। আমার কাছে সবচেয়ে সহজ মনে হয়েছে বাদাম। কয়েকরকম বাদাম মিলিয়ে একটা বক্সে রেখে দিতে পারেন। ক্ষিধা লাগলেই এক মুঠ বাদাম। প্রচুর পানি খান।
- হাঁটুন, হাঁটুন এবং হাঁটুন। হাঁটার কোন বিকল্প নাই। সাথে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। হাঁটতে হয় খাবার পরে, আর কোন ধরনের কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে হয়ে খাওয়ার আগে। বাসায় হাঁটার উপর বেশ কিছু এক্সারসাইজের মতো আছে, ইউটিউবের ভিডিও দেখে ট্রাই করতে পারেন। এরোবিক্স, ইয়োগা এগুলোও করতে পারেন।
- ইনসুলিন নিলে হাইপো গ্লাইসেমিয়া (ব্লাড সুগার কমে যাওয়া) সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
- শুয়ে বসে থাকেন কম। স্পেশালি খাওয়ার পর ভুলেও শুয়ে পড়বেন না। খাওয়ার পর পর হাঁটতে বের হন। না পারলেও এটলিষ্ট শুয়ে বসে থাকবেন না।
- এক্টিভ লাইফ লিড করুন। এক্টিভিটি বাড়ান। এই এক্টিভনেসই নরমাল ডেলিভারীতে ভীষন হেল্প করে।
- লাইফ স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করতে হবে। যতদূর সম্ভব স্ট্রেসফ্রী, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে থাকুন।
জ্যাষ্টেশনাল ডায়েবেটিসের পজিটিভ দিকগুলো (প্রপার ডায়েট, এক্টিভ লাইফ) নিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। আর ডেলিভারীর পর ডায়াবেটিস মুক্ত লাইফের স্বপ্ন দেখতে থাকুন!
জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস যাদের থাকে, তাদের সাধারনত পরবর্তী লাইফে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। তাই জ্যাষ্টেশনাল ডায়াবেটিস ভালো হলে গেলোও ভালো ডায়েট মেনে চলা, এক্টিভ থাকা সহ সারাবছর হেলদি লাইফষ্টাইল মেইনটেইন করার চেষ্টা করা উচিত।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ মমিফিক ডট কম
লেখাটি রিভিউ করেছেন –
ডাঃ সাবেরা সাঈদা খান
M.B.B.S (DU), MPH (Reproductive & Child Health)(NIPSOM),
Diploma in Ultrasonogram
Lecturer, Ibn Sina Medical College
Consultant Sonologist, Trust Medical Care