আপনি এখন পূর্ণ চার মাসের গর্ভবতী এবং গর্ভধারণের পঞ্চম মাসে পড়েছেন! এখন যেহেতু গর্ভধারণের প্রায় অর্ধেকটা পথ আপনি পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন, আপনাকে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করতে হবে। আপনি যদি স্বাভাবিক প্রসব চান তাহলে এর প্রতি আগ্রহী ডাক্তার, কোন হাসপাতালে ডেলিভারি করাতে চান এসব ঠিক করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পছন্দের সাথে না মিললেও কোন একজন ডাক্তারের কাছেই বারবার যেতে হবে এমনটা নয়। আপনি গর্ভকালীন সময়ে নিজের চাহিদার সাথে মেলানোর জন্য একাধিকবার ডাক্তার পরিবর্তন করতে পারেন। এইসব গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিতে গিয়ে গর্ভাবস্থাকে আপনার আরও বেশি করে সত্যি মনে হবে। খুবই রোমাঞ্চকর এই অনুভূতি, সেই সাথে আপনি হয়ত আরেকটু বেশি উদ্বিগ্নও অনুভব করবেন কারণ প্রায় অর্ধেকটা পথ আপনি পাড় করে এসেছেন এবং হাতে এখনও প্রচুর কাজ বাকি! সবকিছু একা করতে যাবেন না, আশপাশের মানুষদের থেকে সাহায্য চান। এরপরও যদি দেখেন যে কোন কাজ বাদ রয়ে গেছে, বুঝবেন যে সেটা আসলেও ততটা জরুরী কিছু ছিল না!
আপনার শারীরিক পরিবর্তন
প্রতি সপ্তাহে আপনার বাচ্চার সাথে সাথে গর্ভফুলও বড় হচ্ছে এবং এর ওজন বাড়ছে। পূর্ণ গর্ভাবস্থার শেষে গর্ভফুলের ওজন হবে প্রায় ৫০০গ্রাম যা একটি পাস্তার প্যাকেটের সমান ভারী।
এসময় আপনার জরায়ু পেলভিস থেকে বের হয়ে উপর দিকে উঠতে থাকায় ধীরে ধীরে আপনার কোমরের স্বাভাবিক আকৃতিতে পরিবর্তন আসতে শুরু করবে । সেই সাথে আপনি আরও বেশি করে গর্ভবতী হিসাবে দৃশ্যমান হবেন। এই সময় অনেক মা-ই দেখতে সুন্দর হয়ে যান ও খুব চমৎকার অনুভব করেন। তাদের ত্বকে বাড়তি ঔজ্জল্য আসে । চুল পড়া কমে গিয়ে চুল আগের চেয়ে চকচকে ও ঘন হয়ে যায়। তবে একেক জনের গর্ভাবস্থা একেকরকম আর তাই অনেক মা দেখতে অনাকর্ষণীয় হয়ে পড়েন এবং শারীরিক পরিবর্তন, অনাগত সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ও এর ফলে সম্পর্কে তৈরি হওয়া টানাপোড়েনে পর্যুদস্ত হয়ে যান। ১০ জনে ১ জন নারী গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতায় ভোগেন এবং হরমোনজনিত কারণে ছোটখাট সমস্যাকেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেকসময় বেশি বড় মনে হয়। আপনি যদি ক্রমাগত ভারাক্রান্ত থাকেন ও উদ্বিগ্নতায় ভোগেন তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন, স্বামীর সাথে শেয়ার করতে পারেন ও আপনার আগে মা হয়েছেন এমন কোন বান্ধবী বা পরিচিতজনের থেকে পরামর্শ চাইতে পারেন। যদি বিশেষজ্ঞ পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন The Nafs Psychological & Spiritual wellness Center – এর সাথে।
এই সপ্তাহে আরও যে গর্ভকালীন লক্ষণগুলো আপনি দেখবেন তা হচ্ছে –
বাড়তি ক্ষুধা
বাড়তি ক্ষুধা বোধ করছেন ইদানিং? এর কারণ হচ্ছে আপনার বাড়ন্ত বাচ্চার পুষ্টি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষুধা লাগলে খাবেন তবে পেট ভরবে এমন পুষ্টিকর খাবার বেছে নিতে চেষ্টা করবেন যেমন উচ্চ আঁশযুক্ত, কম চর্বির উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে সাধারণত আধা থেকে এক কেজি ওজন বাড়া স্বাভাবিক। তবে হঠাত বেশি ওজন বেড়ে যাওয়া কোন সমস্যার লক্ষণও হতে পারে তাই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন বাড়লে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। গর্ভকালীন পুষ্টি ও ওজন বৃদ্ধি নিয়ে আরও জানতে পড়ুন আর্টিকেল প্রেগন্যান্সি ডায়েটের আদ্যপান্ত।
স্ট্রেচ মার্ক
আপনি হয়ত পেট, স্তন, উরুর ত্বকে লালচে রেখা দেখতে পারেন। গর্ভকালীন এই বিষয়টা হরমোন ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় চামড়ার প্রসারণের কারণে হয়। আপনার ওজন যদি একবারে বেশি না বেড়ে ধীরে ধীরে বাড়ে তাহলে পেটের বড় হওয়াও ধীরে ধীরে হবে, ফলে স্ট্রেচ মার্কও কম বোঝা যাবে। সন্তান প্রসবের পরবর্তী কয়েক মাসে আস্তে আস্তে এই রেখা হালকা হয়ে আসবে। বাজারে স্ট্রেচ মার্কের জন্য অনেকরকম ক্রীম পাওয়া যায় তবে সুগন্ধীবিহীন ময়েশ্চারাইজার আলতো করে রেখার জায়গায় দেয়াই সবচেয়ে ভালো হবে, সময়ের সাথে আপনিই এটা ফিকে হয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে মাথাব্যথা
হরমোন, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। এড়িয়ে চলা সম্ভব এমন কারণগুলো মাথাব্যথা শুরু হওয়ার আগেই থামিয়ে দিতে চেষ্টা করবেন। ব্যথা সহনীয় পর্যায়ে হলে সহ্য করাই ভালো হবে। আর নিতান্তই না পারলে যে কোন ওষুধ নেয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
বুকজ্বলা ও বদহজম
দিনের প্রধান খাবারগুলো খাওয়ার পর যদি বুকজ্বলা অনুভব করেন তাহলে খাওয়ার পরই শোয়া এড়িয়ে চলুন। এতে করে গ্যাস্ট্রিক তরল পাকস্থলীতেই থাকবে।
কোমর ব্যথা
গর্ভকালীন এই সমস্যায় আরাম পেতে কর্মক্ষেত্রে আরামদায়ক চেয়ার ও ঘরে বিছানায় শক্ত জাজিম ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে চেয়ারে বসার সময় কোমরের পেছনে কুশন ও তোষকের নিচে বোর্ড ব্যবহার করে এগুলোকে শক্ত করে নিতে পারেন। গর্ভকালীন ব্যয়াম লেখায় এই সমস্যা থেকে আরাম পাওয়ার জন্য ব্যয়ামের উল্লেখ পাবেন।
ক্লান্তি ও মাথাঘোরা
ডিহাইড্রেশন বা পানিস্বল্পতার কারণে এমনটা হতে পারে। তাই দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করে আর্দ্রতা নিশ্চিত করুন।
শারীরিক তরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
শরীরে বর্ধিত রক্তের পরিমাণের কারণে যোনিপথ থেকে বের হওয়া তরল, ঘাম, শ্লেষ্মা ইত্যাদির পরিমাণও বেড়ে যাবে।
স্তন ও পেট চুলকানো
আপনার বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে ত্বক প্রসারিত ও স্পর্শকাতর হচ্ছে। চুলকানোর অদম্য ইচ্ছাকে দমন করে রাখতে চেষ্টা করুন এবং ত্বকে আরামদায়ক কোন ক্রীম মাখুন।
স্তনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি
বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রস্তুতি হিসাবে হরমোন ও দুধ উৎপাদনকারী গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি হচ্ছে। এই সবকিছু ও সাথে বর্ধিত রক্ত স্তনের আকার প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে! যদিও স্তনের বৃদ্ধিই স্বাভাবিক তবে কোন মা হয়ত লক্ষণীয় পরিবর্তন নাও দেখতে পারেন বিশেষ করে যদি তার আগে থেকেই স্তনের আকৃতি বড় হয়।
অদ্ভূত সব স্বপ্ন
আজগুবি স্বপ্ন দেখে ঘুমের ব্যঘাত ঘটছে? এটা যেমন হরমোনজনিত কারণে হতে পারে তেমনই আপনার স্নায়ুবিক কারন ও পূর্বানুমান থেকেও হতে পারে।
বাচ্চার বৃদ্ধি
আপনার পেটের ভেতরের বাবুটা এখন একটা ডালিমের সমান বড়, মাশাল্লাহ। বাবুর দৈর্ঘ্য এখন প্রায় ৫.১২ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৪.৯৪ আউন্স।
আপনি হয়ত এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো তার হেঁচকি তোলার আওয়াজ অনুভব করতে পারবেন যদিও সে হয়ত আগেও এমনটা করেছে। বুকের দুধ বা ফিডার টেনে খাওয়ার জন্য আপনার বাবু এখন থেকেই চোষা ও গেলা চর্চা করছে। আসলে, জন্মের পর বেঁচে থাকার জন্য যে কাজগুলো তাকে করতে হবে সেগুলোতে সে জরায়ুতে থাকতেই দক্ষ হয়ে নিচ্ছে।
অবশেষে আপনার বাবুর হাত, পা তার মাথার অনুপাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। আপনার সোনামণি কিছুটা হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছে এখন যেহেতু তার চামড়ার নিচে চর্বি জমতে শুরু করেছে এবং ঘামগ্রন্থি তৈরি হচ্ছে। তার রাবারের মতো নরম কার্টিলেজ হাড়ে পরিণত হচ্ছে এবং এতে মাংস জমা হচ্ছে। তার আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাড়ীও আগের চেয়ে মজবুত ও মোটা হচ্ছে।
জানেন কি আপনার প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল এখন আপনার বাবুর সমান? এর মাধ্যমেই বাবুর কাছে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফ্যাট এবং অক্সিজেন পৌঁছে ও সেই সাথে মলমূত্র ও কার্বনডাইঅক্সাইড বের হয়ে যায়।
বাবুর নড়াচড়া কি অনুভব করেছেন এখনো? অনেক মা ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের মাঝে প্রথম নড়াচড়া টের পান তবে কেউ কেউ এর আগেও বুঝতে পারেন। শিহরিত হচ্ছেন? হয়ত পেটের ভেতর এমন অনুভব করতে পারেন যেন কিছু উড়ছে, গড়িয়ে যাচ্ছে বা বুদবুদ তৈরি হচ্ছে। আপনার বাবু যে সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে তা এ থেকেই বোঝা যাবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মাঝে এই নড়াচড়াগুলো আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আপনি হয়ত বাবুর লাথি, ঘুষিও বুঝতে পারবেন। তবে এতে কোন ব্যথা পাবেন না, শুধু ভীষণ অবাক হয়ে যেতে পারেন! ছোট্ট একটা পা যখন আস্তে করে লাথি দেয় আর এতে আপনার পেট নড়ে ওঠে তখন তা সত্যিই বিষ্ময়কর। এই অপার্থিব অনুভূতি আপনার স্বামীর সাথেও ভাগ করে নিন, উনাকে বলুন বাবু নড়ার সময় আপনার পেটের ওপর হাত রেখে অনুভব করতে। আগামী দিনগুলোতে হয়ত খেয়াল করবেন যে আপনি খাওয়ার পর, কোন জোরালো আওয়াজ শুনলে, পেটে হাত বুলিয়ে বাবুর সাথে কথা বললে, খুব করে ঘুমানোর চেষ্টা করলে আপনার বাবুটা নড়াচড়া শুরু করছে!
আপনার জন্য টিপস
স্বাস্থ্যকর খাবার
গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই হয়ত শুনে আসছেন যে আপনাকে এখন থেকে দুইজনের খাবার খেতে হবে! কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে ৩০০ কিলোক্যালোরি বেশি খেতে হবে কেবল। স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করুন এবং খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর তাজা ফল ও শাকসবজি রাখুন। প্রক্রিয়াজাত, চর্বিযুক্ত ও নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ভিটামিন ডি
আমরা সাধারণত সূর্যের আলো থেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাই। বাইরে যাওয়া না হলেও চেষ্টা করুন বারান্দা বা জানালার পাশে বসে গায়ে নিয়মিত রোদ লাগাতে অন্তত পনের থেকে ত্রিশ মিনিট।
পেলভিক ফ্লোর ও অন্যান্য ব্যয়াম
হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় বা জোরে হাসার সময় প্রস্রাব বের হয়ে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়েছে কি? এর কারণ মূলত গর্ভাবস্থায় পেলভিক ফ্লোর পেশী শিথিল হয়ে আসা। তবে এই পেশী ব্যয়ামের প্রতি অতি দ্রুতই সাড়া দেয়। এই পেশী দৃঢ় ও মজবুত থাকলে স্বাভাবিক প্রসব ও প্রসবোত্তর সময় আপনার জন্য তুলনামূলক সহজ হবে ইনশাল্লাহ। এছাড়াও নিয়মিত অন্যান্য গর্ভকালীন ব্যয়াম করতে থাকুন। এমনকি আপনার যদি সিজারিয়ান ডেলিভারী হয় তাহলেও এই ব্যয়ামগুলো আপনার শরীরকে সুগঠীত রাখতে সাহায্য করবে। তবে গর্ভকালীন ব্যয়াম করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।
সাইয়াটিকা (Sciatica) প্রতিরোধে ব্যয়াম
শরীরের সবচেয়ে বড় নার্ভ হচ্ছে সাইয়াটিকা নার্ভ যা কোমর থেকে নিচের দিকে পায়ের পাতা পর্যন্ত নেমে গেছে। মোটা হওয়া, ডিস্ক সরে যাওয়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, আর্থ্রাইটিস বা স্পাইনাল ক্যানেল সরু হয়ে যাওয়ার ফলে এই নার্ভে ব্যথা হয় যা অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ব্যথা ও অবশ করা অনুভূতি এনে দেয়। এই ব্যথা কোমর বা নিতম্ব থেকে শুরু করে পায়ের পেছন দিক পর্যন্ত অনুভূত হয়। এ থেকে আরাম পেতে গরম শেঁক বা পিঠের ব্যয়াম করতে পারেন।
দাঁতের কোন পরিবর্তন
হরমোনের কারণে আপনার মুখের ভেতরের মাড়ী, লিগামেন্ট ও হাড় প্রভাবিত হতে পারে,এমনকি দাঁত নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে এবং পড়েও যেতে পারে। এটা প্রসবোত্তর সময়ে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আপনার যদি পেরিওডনটাইটিস থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
ডেইরী খাবারের বাইরে ক্যালশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার
আপনার যদি দুধ বা অন্যান্য ডেইরী সামগ্রী খেতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনাকে অন্য কোন খাবার থেকে ক্যালশিয়াম গ্রহণ করতে হবে। ডেইরী সামগ্রীর বাইরেও আরও যেসব খাবার থেকে ক্যালশিয়াম পাওয়া যায় তা হচ্ছে সবুজ শাক, ব্রোকলি, তিলের বীজ (তবে এটা গর্ভধারণের প্রথম তিন থেকে চার মাস না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় কারণ এটা জরায়ুর পেশিকে উদ্দীপিত করে ফলে নিষিক্ত ডিম্বাণু বের হয়ে যেতে পারে), কাঠবাদাম এবং ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ সয় সামগ্রী।
গর্ভাবস্থা নিয়ে জানা
প্রত্যেক গর্ভবতী নারীর উচিত তার গর্ভাবস্থা, প্রসব ও প্রসবোত্তর সময় নিয়ে জানতে চেষ্টা করা। এই জানা আপনাকে নিজের শরীরের সাথে কী হচ্ছে তা নিয়ে অন্ধকারে রাখবে না, আপনি নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারবেন। ইংরেজিতে এই সংক্রান্ত প্রচুর নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবেন। যদি আপনি ইংরেজিতে দক্ষ হন তাহলে এই সুযোগকে কাজে লাগান। যদি বাংলায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাহলে মাতৃত্ব সাইটের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখুন নিয়মিত। ইমেইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন যেন কোন নতুন প্রকাশিত প্রসব অভিজ্ঞতা পড়তে বাদ পরে না যায়! গর্ভাবস্থা নিয়ে বই থেকে পড়তে চাইলে দেরী না করে এখনই কিনে ফেলুন পছন্দের বই।
তথ্যসূত্রঃ
১। What to expect.
২। Start 4 life
৩। the BUMP
৪। Parents
৫। NDTV FOOD
লেখাটি রিভিউ করেছেন –
ডাঃ সাবরিনা আফরোজ
MBBS, MPH
লেকচারার, ঢাকা কমিউনিটি মেডিসিন কলেজ
ছবি কৃতজ্ঞতা: Pinterest, Clipdealer, Asima Tasnim