সিরিজ ইনডেক্স
১. প্রথম পর্ব
২. দ্বিতীয় পর্ব
৩. শেষ পর্ব
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামত
গাইনী ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফাতেমা ইয়াসমিন, কনসালট্যান্ট, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল, আমাদের জানাচ্ছেন –
একজন প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি গর্ভাবস্থায় স্বামীর সহযোগিতা ও সহমর্মিতা স্ত্রীর মনোবল অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়, যা একটি সুস্থ সবল সন্তান জন্মদানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মা’কে তো গর্ভাবস্থা, প্রসব ও সন্তান প্রতিপালন নিয়ে জানতেই হবে। পাশাপাশি যদি তার সংগী, যিনি বাবা হতে যাচ্ছেন, এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন এবং সেই অনুযায়ী মাকে সহযোগিতা করেন, তবে যাত্রাটি অনেক সহজ ও আনন্দময় হয়। যদিও আমাদের দেশে বাবারা তাদের এই অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনও ততটা সচেতন নন, অনেক দেশেই বাবাদের মধ্যে এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। বেশকিছু বিদেশী দম্পতিকে সেবা দেয়ার মধ্য দিয়ে এই পার্থক্যটা আমি খুব পরিষ্কারভাবে অনুধাবন করেছি।
বাইরের দেশে এর উপর বেশ কিছু গবেষণাপত্রও আছে যেখানে দেখা গেছে মাতৃত্বে Paternal Involvement (PI) বা বাবাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ মায়েদের নেগেটিভ স্বাস্থ্যঝুঁকি কমায়, ফলশ্রুতিতে সময়ের আগে লেবার পেইন শুরু হওয়া বা কম ওজনের বাচ্চা জন্ম দেয়ার হার বিশেষভাবে হ্রাস পায়। এমনকি এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশু মৃত্যুর হার কমানোতেও বাবাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে বাবার সাপোর্ট অনেকাংশে মায়েদের স্ট্রেস কমায় যা মাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখে এবং সুস্থ শিশু জন্মদানের হার বাড়ায়। সেই সাথে যেসব বাবারা প্রসব পরবর্তী সময়ে সন্তান প্রতিপালনে ও ঘরের কাজে মাকে সাহায্য করে, সেসব মায়েরা প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতায় কম ভোগে। তাই সুস্থ মা ও সুস্থ সন্তানের জন্য বাবারা এখন থেকেই সচেতন হোন, এই সিরিজের প্রথম পর্বের নির্দেশনা গুলো নিয়ে জানতে সচেষ্ট হোন।
[তথ্যসূত্রঃ : https://bmcpregnancychildbirth.biomedcentral.com/articles/10.1186/1471-2393-13-60]
ল্যাকটেশন কন্সাল্ট্যান্টের মতামত
ল্যাকটেশন কনসালটেন্ট শম্পা মৌ আমাদের জানাচ্ছেন ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় বাবারা কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন।
শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে বাবার জন্যে ৫টি জরুরী নির্দেশনা:





শেষ কথা
পাঠক নিশ্চয় এতক্ষণে গর্ভাবস্থায়, প্রসবোত্তর সময়ে এবং সন্তান লালন-পালনে বাবার ভূমিকার সীমাহীন গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন। এই সকল সময়ে বাবাদের আরো সক্রিয় ভূমিকা শুধু যে মায়েরাই আশা করেন তা নয়, মেডিকেল ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এটা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শারীরিক ও মানসিক ভাবে একটি সুস্থ পরিবার হচ্ছে একটি সুস্থ সমাজের ভিত্তি। আশা করি স্বামী ও বাবা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আগ্রহীরা এই লেখা থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন।
(লেখিকা ‘আমানি বার্থ’ চাইল্ড বার্থ এডুকেটর হিসাবে প্রশিক্ষণরত)
সম্পাদনায়: নেযাম উদ্দীন
You must be logged in to post a comment.