সিরিজ ইনডেক্স
১. প্রথম পর্ব
২. দ্বিতীয় পর্ব
৩. তৃতীয় পর্ব
৪. চতুর্থ পর্ব
৫. পঞ্চম পর্ব

ডেলিভারির পরে পেলভিক এরিয়াতে ভারী লাগা, বারবার প্রস্রাব করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা, ঘনঘন মূত্রনালীর প্রদাহ হওয়া, দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা- এমন অভিজ্ঞতা কার কার আছে?

পেলভিক ফ্লোর প্রল্যাপ্স (Pelvic floor prolapse) নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতা /awareness নেই বললেই চলে। গর্ভকালীন বা প্রসব পরবর্তী সময়ে ডাক্তাররাও মায়েদেরকে এই বিষয়ে সচেতন করেন না। অনেকসময় এই প্রল্যাপ্স নিয়েই মায়েরা কষ্ট পান বছরের পর বছর, লজ্জায় কাউকে বলেননা।

আমরা অনেকেই মনে করি প্রল্যাপ্স কেবলমাত্র বয়স্ক মহিলাদেরই হয়। কিংবা প্রল্যাপ্স মানেই জরায়ু বেরিয়ে আসা। এই ধারণা সঠিক নয়- যেকোন বয়সের নারীদের প্রল্যাপ্স হতে পারে।

আর প্রল্যাপ্সের কয়েকটি ধরণ আছে, রয়েছে কয়েকটি ধাপ/স্টেজ। আবার শুধু মাত্র নরমাল ডেলিভারির কারনেই প্রল্যাপ্স হয় ব্যাপারটা এমনও নয়। কখনো মা হননি এমন নারীরও প্রল্যাপ্স হতে পারে। একদম কম বয়সীদেরও হতে পারে, এর জন্যে আছে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর।

একজন মায়ের জন্য গর্ভকালীন আর প্রসবপরবর্তী সময়ে নিজের পেল্ভিক ফ্লোরের যথাযথ যত্ন না নিলে প্রল্যাপ্সের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আবার নরমাল ডেলিভারির পরে অধিকাংশ মা কোন না কোন স্টেজের প্রল্যাপ্সে ভোগেন।

পেলভিক অর্গান প্রল্যাপ্স (Pelvic organ prolapse) নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতা /awareness নেই বললেই চলে।

প্রসব পরবর্তী কিছু সতর্কতা মেনে চললে, লাইফস্টাইলে কিছু চেঞ্জ আনলে কয়েক মাসের মধ্যে ইন শা আল্লাহ সিম্পটম মুক্ত হওয়া যায়, মেনোপোজের পরে এর জটিলতা এড়ানো যায়।

এত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টা নিয়ে আমরা একদম অন্ধকারে আছি। নেই কোন বিস্তারিত আলোচনা বা ডাক্তারের থেকে সতর্কতা। আমরা জানিনা বলে হয়ত অনেকে এতটুকু পড়ে ভয় পেয়ে হয়ে যাবেন। ভয় পাবার কিছু নেই- প্রল্যাপ্স খুবই কমন আর চেষ্টা করলে ম্যানেজেবল বি ‘ইযনিল্লাহ।

লেখাটি রিভিউ করেছেন –

ডাঃ মাশরুরা মাহজাবিন
MBBS
General Practioner, Trained Mental health counselor