উনাইসার তখন ১৮ মাস, যখন উমাইমাকে আল্লাহ আমার পেটে দিলেন। উনাইসা আমার প্রথম সন্তান। প্রথম সন্তান হওয়ার আগে মা এর অনেক যত্ন হয়। প্রথম একটা কিছু আসছে দুনিয়াতে। কিন্তু দিনকে দিন জিনিসটা কমতে থাকে। প্রথমবার যেমন বেবিসেন্টার এ্যাপ ঘেটে, লিস্ট করে সব করছিলাম, নিজের যত্ন নিচ্ছিলাম, এবার আর তা হলো না। এবার আমার সামনে ১৮ মাসের একটা বাচ্চা, যার পেছনে ঘুরে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, সব করতে হচ্ছে। মাথাতেই থাকতো না, আমি আবার মা হতে চলেছি। সারাদিন “উনাইসা, উনাইসা” করে, আবার আরেকটা বাচ্চা আসলে বাচ্চা কিভাবে সামলাবো, এটাই ভাবতাম।

আসলে ব্যাপারটা এমন না। বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহ মাকেও সেই শক্তি দিয়ে দেন আলহামদুলিল্লাহ। যাই হোক, মূল কথায় আসি। উমাইমার বার্থ স্টোরি লিখতে বসেছি।

উমাইমা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। শিখাটা নিজের জন্য লিখে রাখা দরকার। দিন দিন সব ভুলে যাই। কিন্তু আমি উমাইমার বার্থ স্টোরি একদম ভুলতে চাই না। মেয়েটা আমাকে মিরাকেল দেখিয়েছে। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা দেখিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

উমাইমা যখন পেটে আসল, তার কিছুদিন পর আবু উনাইসা বললো, ওর একটা স্কলারশিপ এক্সেপ্ট হয়েছে এবং ও কানাডাতে এ্যাপ্লাই করতে যাচ্ছে। এবং ওকে যেতে হবে। আমরা সাথে যাবো কিনা, এই নিয়ে চিন্তা করে শেষমেশ আল্লাহর নাম নিয়ে ফুল ফ্যামিলি একসাথে রওনা দিলাম। তখন আমার ৩২ সপ্তাহ শুরু হবে। প্লেনে ৩৪ থেকে আর ভ্রমণ করতে দেয় না

বিশাল বড় পেট। সাথে ২৬ মাস এর উনাইসা। আল্লাহ যে কিভাবে সহজ করেছিলেন এই লম্বা পথটা, এক মাত্র আমার রব জানেন। আমি শুধু চেয়েছি, ইয়া রব আমার জন্য সহজ করো! হিসনুল মুসলিম থেকে সব কাজ সহজ হওয়ার দুয়াটা* প্রত্যেকের মুখস্থ করা উচিত। এটা যে কী Gem সুবহান আল্লাহ!

যাই হোক, আমার উনাইসা হওয়ার আগে প্রচুর বেবি সেন্টারে বেবি এবং প্রেগন্যান্সি নিয়ে পড়েছি, ন্যাচারাল বার্থ নিয়ে পড়েছি। “আমানি বার্থ” নামে আইশা আল হাজারের লেখা ন্যাচারাল বার্থের ওপর একটা বই আছে, ওটা পড়েছি। মোটামুটি ন্যাচারাল বার্থ নিয়ে সব কিছু আমার নলেজে ছিলো। প্রথমবার খুবই ডেডিকেটেড ছিলাম। খুব চেয়েছি, আল্লাহ আমাকে নরমাল ডেলিভারি দাও, আমি মিরাকেল দেখতে চাই আমার জন্য সহজ করো। অনেক পড়াশুনা করার কারনে Natural Birth নিয়ে খুবই Dedicated ছিলাম। অনেক চেষ্টাও ছিলো কিন্তু আমার জন্য সবচে ভালো ছিল তখন সি-সেকশন হওয়া তাই হয়ে ছিল। দুয়া কবুল না হওয়া একটা অশেষ রহমত কারন আমার রবই জানেন আমার জন্য কোনটা সবচে ভালো।

আমার প্রথম বাচ্চা, আমার উনাইসা, সিজার হয়। এইটাই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো ছিলো, আলহামদুলিল্লাহ! উনাইসা ব্রিচ ছিলো। ৩৮ সপ্তাহ ৫ দিন এ সি-সেকশন এ যেতে হয়। বাচ্চার পজিশন চেঞ্জ হয় নাই। আর ওইদিনই পানি ভেঙে গিয়েছিলো।

উমাইমার সময় গল্পটা অন্যরকম। আমি তখন কানাডাতে। ফ্যামিলির সবার থেকে দূরে, নতুন দেশে। আসার পর সব টেস্ট এবং অন্যান্য ফরমালিটি ফিল আপ করে, ডক্টর দেখাই, ডক্টর ৩৮ সপ্তাহে আল্ট্রা করতে দেয়।

গেস ওয়াট, আমার বেবি আবারো ব্রিচ! আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম, দুয়াও করছিলাম, VBAC যেনো হয়, আল্লাহ যেনো নরমাল ডেলিভারি দেন। কিন্তু ডক্টর বললো, “If you have breech upto last moment then we have to go for c-section but don’t worry baby can move her position any time.” উনি খুবই পজিটিভ ছিলেন। বারবার বলছিলেন, “Don’t worry baby will move.” আমি জানতাম বাচ্চারা লাস্ট মোমেন্টে পজিশন খুব কমই চেন্জ করে। আল্লাহ চাইলে হবে, এটাই কথা। ডক্টর বললো, আবার পরের সপ্তাহে যেতে।

৩৯ সপ্তাহে গেলাম। ডক্টর বললো, “Oh Yess baby moved, her head is down! We would cancel your c-section!” বেবি যেহেতু ব্রিচ ছিলো, ওরা সি-সেকশন এর একটা এ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে রেখেছিলো। এখন পজিশন চেন্জ হওয়াতে সেটা ক্যানসেল করাতে আমিও খুব খুশি। আল্লাহ যেনো এখন বাকি রাস্তা সহজ করেন।

৩৯ সপ্তাহ থাকায় ব্যথা শুরু হলো অল্প অল্প। যেহেতু প্রথমবার লেবার পেইন বুঝছি, কোনটা ফলস কোনটা ট্রু কিছু বুঝছিলাম না। ফলস লেবার নিয়ে গেলাম হাসপাতালে। ওরা সারভিক্স চেক করে বললো, “Go get rest sleep, walk, your body is not prepared yet.” সারভিক্স মাত্র ২ সেমি খুলেছিল তখন।

আরেকদিন খুব ভালই ব্যথা, সকাল ১১টা থেকে। রাত ৮টায় গেলাম। এই ব্যথাও ফলস ছিলো। ব্যথাটা আসলে আসছিলো, আবার চলে যাচ্ছিলো। কন্ট্রাকশনের মাঝে লম্বা গ্যাপ ছিল। কিন্তু আমার তো ব্যথায় বাসায় থাকতে অস্থির লাগছিলো। এর মধ্যে আবু উনাইসাকে খুব জরুরি একটা পেপার সাইন করতে বাংলাদেশে যেতে হবে এক সপ্তাহের মাঝে। এখন খুব করে চাচ্ছি যেন পেইন ওঠে এবং ডেলিভারি হয়ে যায়। ডক্টরের কাছে রুটিন চেকআপে গেলাম। উনি আমাকে রুমে ঢুকিয়ে Membrane sweep করে দিলেন। অবশ্যই এই পার্টটা কষ্টের ছিলো কিন্তু এটাই আমার লেবারটা স্টার্ট করে দিলো, আলহামদুলিল্লাহ! কান্না আসছিলো।

উনি বললেন, “বাসায় যাও। রাতে আমি ডিউটিতে থাকবো। তুমি রাতে লেবার ওয়ার্ডে চলে এসো।”

তখন থেকে হালকা ব্লিডিং স্টার্ট, ওটা নিয়ে বাসায় গেলাম। অস্থির লাগছিল। বাসার উল্টোদিকে পার্কে ৪/৫ চক্কর দিলাম। হাঁটলাম আর কাঁদলাম, “আল্লাহ তুমি দাও, তুমি সহজ করে দাও। তুমি দাও আল্লাহ। তুমি সহজ করলেই সহজ।”

রাত ১১ টায় উনাইসাকে ঘুম পাড়ালাম। আবু উনাইসাকে বললাম, তুমি উনাইসাকে নিয়ে বাসায় থাকো, আমি যাই। খালি দুয়া করো, আল্লাহ যেন সহজ করেন। একটা ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিলাম ডেলিভারির জন্য। জমজম পানি, খেজুর নিয়ে রওনা দিলাম। সাথে দুয়া লিস্টের একটা খাতা। একজায়গায় পড়েছিলাম লেবারের সময় দুয়া কবুল হয় কারন মা অনেক ব্যথার ভিতর দিয়ে যান। পাশের বাসার আপুকে বললাম, আপু ইমারজেন্সি ইউনিটে একটু নামিয়ে দেন। রাত ১২টায় আপু ইমারজেন্সি ইউনিটে নামিয়ে দিলো। ব্যথায় হাঁটতে পারছিলাম না, পা কাঁপছিল। ওদের বললাম, “I am in labor, please, take me in labor room.”

ওরা কয়েকজম এসে হুইল চেয়ারে নিয়ে গেলো, আলহামদুলিল্লাহ! আমি লেবারে যাওয়ার পর সারভিক্স চেক করলো, ৩ সেমি খুলেছে। ওরা এপিডিউরাল দিতে রাজি না এখনো। আরো পরে নিতে বলছে। কনট্র্যাকশন আসছে, যাচ্ছে। গ্যাপটা কমছে। আস্তে আস্তে রাত ২টায় এপিডিউরাল দিলো, সারভিক্স ৪সেমি তখন। এপিডিউরাল নেওয়ার পর শুয়ে থাকতে হয়। এটাই প্রবলেম। অস্থির লাগছিলো খুব ব্যথায়।

সকাল হলো,সকাল সাতটায় ডক্টর সারভিক্স চেক করে বললো, “Still 4 cm!” ডক্টর বললো, ওয়াটার ব্রেক হয়েছে কিনা, নার্সকে জিজ্ঞেস করল। যখন চেক করতে আসলো তখনই ওয়াটার ব্রেক হলো, সুবহান আল্লাহ! আমি তো কেঁদেই যাচ্ছি আমার রব এর কাছে। ডক্টর বললো, “We may go for C-section.” ইম্প্রুভমেন্ট হচ্ছে না।


সকাল নয়টায় তখন সারভিক্স ৪ সেমি। আর তো পারি না! ব্যথা ঠিকই আছে কিন্তু সারভিক্স ইমপ্রুভমেন্ট নাই। কী যে একটা সিচুয়েশন ছিলো! সুবহান আল্লাহ! এপিডুরাল অনেক সময় অনেকের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ করে না। আমার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল। এপিডুরাল নেয়ার পরও আমার অস্থির লাগছিল।

সকাল ১১টা থেকে নার্স আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করছে, “Mommy c sec or NVD doesn’t matter! You are a mother!” আমার ইমপ্রুভমেন্ট নাই দেখে নার্স বললো, “I will come back within a minute.” ডক্টর ও ছিলো না, উনি আরেক ডিউটিতে গেলো। নার্স বলে গেলো, “As its your first labor, it takes time. Because your first baby didn’t came vaginally, right? Don’t worry!” এটা বলে, চলে গেলো। কেউ নাই রুমে। আমি আল্লাহকে বলছি, “আল্লাহ! আর যে পারতেসি না!” শরীর ক্লান্ত। সুরা ইনশিকাক, আম্মু খুব করে বলতো, প্রেগন্যান্সি সহজ করে। সুরা ইনশিকাক পড়ছি, শরীর কাঁপছে আমার ব্যথায়। কাঁদতে কাঁদতে সুরা ইনশিকাক পড়ছিলাম।

কেন জানি মনে হলো প্রেশার আসছে অনেক। সাথে সাথে নার্সকে কল করলাম। নার্স আসলে আমি বললাম, I am gonna poop! উনি সারভিক্স চেক করে বললো, “Oh! Baby is right there!” সাথে সাথে সারভিক্স ৬, তারপরে ৮। উনি চেক করলো তারপরে ডক্টর আসলো। আমার আর শক্তি নাই শরীরে। ডক্টর, “Take a deep breath and push..push..Yaaaaaaaaa baby!!!”

আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ!

প্রচন্ড অসহায় একটা মুহূর্ত থেকে কিভাবে আমার রব আমাকে রক্ষা করলেন, সেটা দেখেছি। আমার রবের কালামে অনেক অনেক শক্তি সেটা দেখেছি।

চোখের সামনে দেখেছি আল্লাহ আমাকে উদ্ধার করেছেন কিভাবে।

নাহ, বাচ্চাটা বের হওয়ার পর সব ভুলে গিয়েছি।

আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই, সি-সেকশন/ নরমাল, কোনো ফ্যাক্টর না। কিন্তু হাল ছাড়বেন না! ন্যাচারাল বার্থ হচ্ছে বেস্ট উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চাকে দুনিয়াতে আনতে পারেন। আপনার শরীরের জন্য এটাই সেরা। অন্তত চেষ্টা করুন, হাল ছাড়বেন না!      

অনেকে মন খারাপ করে, NVD হয় নাই দেখে। আমরা জানি না কার জন্য কোনটা ভালো। একটা NVD দিয়ে আমরা কী করবো যদি সুস্থ বাচ্চা না হয়? আমরা শুধুই চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু দয়া করে প্রেগন্যান্সী পিরিয়ডে অনেক স্টাডি করবেন। বেবি সেন্টার খুবই ভালো একটা এ্যাপ। এছাড়াও ইন্টারনেটে অনেক রিসোর্স আছে। ন্যাচারাল বার্থ নিয়ে স্টাডি করলে কনফিডেন্স বাড়বে। সহজে দূর্বল হবেন না। পুরো প্রেগন্যান্সির পিরিয়ড যত বেশি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ভালো হবে, দেখবেন ডেলিভারি আল্লাহ তত বেশি সহজ করবেন। আপনি মিরাকেল দেখবেন! প্রেগন্যান্সির অবস্থায় মা যা আমল করবে তার প্রভাব অবশ্যই পরবে। প্রেগন্যান্সির পিরিয়ডে বেশি বেশি কুরআন শোনানো, বাচ্চাকে জিকির করে শোনানো, তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, প্রত্যেকটা আমল খুব যত্নের সাথে করা – কারণ আপনি আর একা নন। একটা ছোট্ট বাবু সব শুনছে, আপনি যা করছেন। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ দেন। আমার উমাইমা আমাকে এটাই শিখিয়েছে। আমি এই লাইফ লেসন সব সময় মনে রাখতে চাই।

VBAC ও প্রেগন্যান্সী নিয়ে কিছু কথা:

  • প্রথম সিজারের কাটা আড়াআড়ি হলে ইউটেরাইন র‍্যাপচার হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং vbac এর চেষ্টা করা নিরাপদ। বাইরের দেশে ডাক্তাররা আগের সিজারের কাটা কিভাবে হয়েছিল তার ডকুমেন্ট দেখতে চায়। আমি এটা জানতাম ও বাংলাদেশে আমার প্রথম সিজার করেছিলেন যে ডাক্তার উনার থেকে ডকুমেন্ট নিয়ে গিয়েছিলাম। কাটা উপর-নিচ হলে ইউটেরাইন র‍্যাপচার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি এবং vbac এর পরামর্শ দেয়া হয় না। এখন সাধারণত ডাক্তাররা আড়াআড়িভাবেই সিজারের জন্য কাটেন। (এই নিয়ে আরও জানতে দেখতে পারেন আর্টিকেল নরমাল না সিজারিয়ান প্রসব কোনটা ভালো হবে?)
  • Vbac এর আরেকটি শর্ত হলো আগের বাচ্চার সাথে ১৮ মাস গ্যাপ থাকতে হবে, তাহলে ওখানের ডাক্তাররা vbac চেষ্টা করেন।
  • মিডওয়াইফ বলছিলেন যে সিজারের পর যত স্বাভাবিক প্রসব হবে শরীরের জন্য সেটা তত ভালো যেহেতু এতে অপারেশন লাগে না এবং শরীর সিজারের চেয়ে দ্রুত সেড়ে ওঠে।
  • ওখানের স্পেশালিস্ট ডাক্তার, মিডওয়াইফদের সাথে কথা বলেছি, উনারা বলেছেন যে vbac ঝুঁকি বাড়ায় এমন কোন স্টাডি পাওয়া যায়নি। এবং ইউটেরাইন র‍্যাপচার যদিও হয় তবে এর হার খুবই কম। এ কারণে vbac হোম বার্থ ওখানে সাপোর্ট করে না।
  • আমার মনে হয়েছে একজন মায়ের শুধু যদি প্রেগন্যান্সী ও প্রসব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব থাকে, আগে থেকে পড়াশোনা করা থাকে, শরীরের সাথে কী হচ্ছে, কী হবে জানা থাকে তাহলে প্রসবের এই ব্যাথা কিছুই না। একদমই কিছু না জেনে লেবারে গেলে আমার মনে হয়েছে প্যানিক হয়ে, ব্যাথা ও স্ট্রেস আরও বেড়ে যায়। মা স্ট্রেস যত কম নিবে তত সহজ হবে ব্যাথা সামাল দেয়া।

*হিসনুল মুসলিম

দোআ: [৪৩] কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দো‘আ

اللّٰهُمَّ لاَ سَهْلَ إِلاَّ مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا شِئْتَ سَهْلاً

হে আল্লাহ! আপনি যা সহজ করেছেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নয়। আর যখন আপনি ইচ্ছা করেন তখন কঠিনকেও সহজ করে দেন।

আল্লা-হুম্মা লা সাহ্‌লা ইল্লা মা জা‘আলতাহু সাহ্‌লান, ওয়া আনতা তাজ্‘আলুল হাযনা ইযা শি’তা সাহ্‌লান

সহীহ ইবন হিব্বান ২৪২৭, (মাওয়ারিদ); ইবনুস সুন্নী, নং ৩৫[১] আর হাফেয (ইবন হাজার) বলেন, এটি সহীহ হাদীস। তাছাড়া আবদুল কাদের আরনাউত ইমাম নওয়াবীর আযকার গ্রন্থের তাখরীজে পৃ. ১০৬, একে সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।

দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম) অ্যাপ

(লিখেছেন: উম্মি উমাইমা)

ছবি কৃতজ্ঞতা: Stocksy United

লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
হ্যানা