“প্রাকৃতিক প্রসব” শব্দটা হয়ত আপনার কাছে নতুন ঠেকছে। আসলে, খুব বেশি দিন হয়নি একজন স্বেতাঙ্গিনী মুসলিম নারীর মাধ্যমে এই ধারণার সাথে আমারও পরিচয় হয়েছে। এই স্বেতাঙ্গিনী বোন নিউযিল্যান্ডের মতো দেশে নিজ ঘরে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, আলহামুদলিল্লাহ। আপনি হয়ত এটা পড়ে অবাক হচ্ছেন। কিন্তু নিউযিল্যান্ড পৃথিবীর অল্প কিছু জায়গার একটি যেখানে মিডওয়াইফ বা ধাত্রীরা স্বাধীনভাবে রেজিস্টার্ড হয়ে কাজ করতে পারে। তাদের জন্য সেখানে ধাত্রীবিদ্যা কলেজও আছে যেখান থেকে তারা ডিগ্রী নিতে পারে।

এই বোন যেই মিডয়াইফকে নিয়োগ দিয়েছিলেন উনার গর্ভাবস্থায় সেই মহিলা নিজ পেশায় এতটাই জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেছেন যে উনি শুধু ঘরে প্রসব করাতে চাওয়া মহিলাদের নিয়ে কাজ করেন। এখানে আমাদের দেশের নরমাল ডেলিভারি করাতে চাওয়া পরিবারগুলোর একটা বিষয় বোঝার আছে; স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ডাক্তারের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীরাই এর জন্য যথেষ্ট। 

আপনার মনে নিশ্চয়ই এতক্ষণে প্রশ্ন আসছে কেন স্বাভাবিক প্রসব (Normal Delivery) না বলে প্রাকৃতিক প্রসব (Natural Birth) বলা হচ্ছে? উপরে যে ঘটনাটা বলা হয়েছে তার চিত্রটা ভেবে দেখুন। যুগ যুগ ধরে মেয়েরা ঘরেই ধাত্রীদের কাছে প্রসব করেছে। তারা কোন ব্যথানাশক ওষুধ বা মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ ছাড়াই এই কাজটা করে এসেছে। মূলত ১৯৩০ এর আগে এই শব্দটা শোনা যায়নি। 

অল্প কথায় প্রাকৃতিক প্রসব হচ্ছেঃ প্রসবব্যথা ও প্রসবকে ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ ছাড়া প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সামলান, যেমন এপিডিউরাল না নেয়া। কৃত্রিম মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ খুব সামান্য ব্যবহার করা বা একদমই না করা, যেমন এপিসিওটমি (যোনিপথ ও মলদ্বারের মাঝামাঝি যে স্থান, পেরিনিয়াম, এখানে বাচ্চা বের করার সুবিধার জন্য জায়গা করার উদ্দেশ্যে কাটা) না করান, অনবরত মেশিনের মাধ্যমে ভ্রুণ পর্যবেক্ষণ না করান (কারণ এর ফলে মায়ের নড়াচড়া করার সুযোগ কমে যায়, হস্তচালিত মেশিন দিয়ে মাঝে মাঝে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে)। মহান আল্লাহ্‌ আমাদের শরীরকে প্রসবের উপযোগী করে যেভাবে তৈরি করেছেন তার ওপর আস্থা রেখে শরীরকে সেভাবে কাজ করতে দেয়া এবং মাকে নিজের স্বস্তিমতো ভঙ্গীতে থাকতে দেয়া ও নড়াচড়া করার সুযোগ দেয়া। 

প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপকারিতা কী?

  • এই পদ্ধতির সমর্থকেরা বলেন এটা মা ও শিশুর জন্য বেশি স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ। আপনি যে ওষুধই গ্রহণ করবেন সেটা ৬০ সেকেন্ডের মাঝে আপনার শিশুর কাছে প্লাসেন্টা পেরিয়ে পৌঁছে যাবে। এপিডিউরাল দেয়ার ফলে বাচ্চার হৃদস্পন্দনের গতি পরিবর্তিত হতে পারে যা সিজারের দিকে নিয়ে যেতে পারে। মায়ের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে কারণ সিজার বা যন্ত্রের সাহায্যে (ফোরসেপ) প্রসবের প্রয়োজন হতে পারে ও মা যথেষ্ট কার্যকরভাবে বাচ্চা বের করার জন্য চাপ দিতে পারে না এবং টিয়ার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেই সাথে মায়ের রক্তচাপ কমে যেতে পারে, প্রসবব্যথা ধীর বা দ্রুত হয়ে যেতে পারে। সিজারিয়ান বাচ্চার তুলনায় স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বাচ্চার বিবিধ মাইক্রোব থাকে, তাদের এলার্জী, স্থুলতা, অ্যাযমা ও শৈশবকালীন ও পরবর্তীতে ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • প্রাকৃতিক প্রসবে মা তার শরীরের ব্যপারে সজাগ থাকে এবং প্রসবের প্রতিটা মূহুর্ত অনুভব করতে পারে। 
  • এটা মায়ের মাঝে কিছু একটা অর্জনের সুখানুভূতি এনে দেয়।
  • প্রসবের পর মায়ের সেরে ওঠার সময়টা ত্বরান্বিত হয় এবং সে সাধারণত প্রসবের অল্প সময় পরই চমৎকার অনুভব করে। 
  • প্রাকৃতিক প্রসব বুকের দুধ খাওয়ানোর সফলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। কারণ এক্ষেত্রে সাথে সাথেই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো সহজ হয়, যেমনটা সিজারের ক্ষেত্রে হয় না, এবং বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোতে ব্যঘাত ঘটায়। 

প্রাকৃতিক প্রসবের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক প্রসব যেটাই আপনি চান না কেন তার জন্য আপনাকেই প্রস্তুতি নিতে হবে গর্ভাবস্থা থেকেই। লক্ষ্য করুন, প্রসবব্যথাকে ইংরেজিতে “labor” বলা হয়, অর্থ্যাত এটা একটা পরিশ্রমের কাজ। শারীরিকভাবে, ম্যারাথন দৌড় দিতে হলে যতটা শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় একজন গর্ভবতী মাকে প্রসবব্যথা ও প্রসবের সময় ততটা শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। আপনাকে যদি কেউ বলে যে কয়েক মাস পর আপনাকে ম্যরাথন দৌড় দিতে হবে তাহলে আপনি কি তার জন্য প্রস্তুতি নেবেন না? আমাদের দেশের স্বাভাবিক প্রসব করাতে চাওয়া পরিবারগুলোর এই ক্ষেত্রেও আরেকটা বিষয় বোঝার আছে, সেটা হচ্ছে আমাদের এই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করে তারপর মাঠে নামতে হবে। অপ্রস্তুত অবস্থায় প্রসবব্যথা তীব্রতর মনে হয় যেটা প্রস্তুতি নিয়ে সামলাতে জানলে অনেকটাই সহনীয় হয়ে আসে। এবং অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার সন্তানকে গর্ভের বাইরে আপনারই আনতে হবে, এই কাজটা আপনাকেই করতে হবে, অন্য কেউ আপনার হয়ে এটা করে দিতে পারবে না।      

  • আপনাকে প্রথমে এমন একজন সেবাপ্রদানকারী খুঁজে বের করতে হবে যিনি আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে প্রসব করাতে আগ্রহী। সেবাপ্রদানকারী বলতে এখানে ডাক্তার বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী হতে পারে। তিনিই আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবেন আপনি প্রাকৃতিক প্রসবের জন্য উপযোগী কি না। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকেন এবং কম ঝুঁকির মাঝে থাকেন তাহলে সহজেই প্রাকৃতিক প্রসবের পথ বেছে নিতে পারেন। মূলত, আল্লাহ্‌ মেয়েদের শরীর সন্তান প্রসবের উপযোগী করে তৈরি করেছেন, কোন মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ ছাড়াই। এক পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা প্রসবব্যথা ভয় পায় তাদের তুলনামূলক দীর্ঘ প্রসবব্যথা হয় এবং যন্ত্রের সাহায্যে প্রসব বা জরুরী সিজারের প্রয়োজন বেশি হয়।  
  • প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও প্রতিদিন ব্যয়ামের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন। প্রাকৃতিক প্রসবে শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজন খুব বেশি আর তাই আপনাকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
  • নিজেকে শিক্ষিত করুন! আপনার কী আশা করা উচিত এবং কী কী সুযোগ আপনার সামনে খোলা আছে তা জানা থাকলে ইতিবাচক ও সফল অভিজ্ঞতা অর্জনে আপনার সুবিধা হবে।  

প্রাকৃতিক প্রসবে কিভাবে ব্যথা মোকাবেলা করা হয়?

আপনি কি জানেন যে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর মেয়েরা প্রসবব্যথা শুরু হলেই হাসপাতালে ছুটে যায় না? সাধারণত, তারা ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করার পর যায় এবং তাদের মাঝে স্বাভাবিক প্রসবের হার বিত্তবান পরিবারগুলোর মেয়েদের তুলনায় বেশি। আপনি জেনে হয়ত অবাক হবেন যে পশ্চিমা দেশের হাসপাতালগুলোও স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক প্রসবে আগ্রহী মায়েদের প্রসবব্যথা শুরু হওয়ার পর যতক্ষণ সম্ভব ঘরেই থাকতে বলে এবং কন্ট্রাকশন অত্যন্ত তীব্র হলে ও ৩-৫ মিনিট পর পর আসতে থাকলে তখনই কেবল হাসপাতালে যেতে বলে। 

এর পেছনে কারণ কী? প্রসব অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি বিষয়। এটা লোকচক্ষুর আড়ালে, নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশে যতটা মসৃণ ভাবে অগ্রসর হবে, পরিবারের মানুষদের উদ্বেগ ও উত্তেজনা, হাসপাতালের অচেনা মানুষ ও পরিবেশে তীব্র আলোর মাঝে ততটাই কঠিন হয়ে পড়বে একে সামলে নেয়া। আল্লাহ্‌ কুরআনে আমাদের মারইয়ামের (আলাইহিস সালাম) প্রসবের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন যে উনি একাকী মানুষের কাছ থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন। কোন মাকে যদি প্রসবব্যথার সময় স্বাধীনতা দেয়া হয় নিজের মতো করে থাকার জন্য তাহলে সে তার ইন্দ্রিয় দিয়ে ঠিকই বুঝে নেয় তাকে কী করতে হবে। মা এই সময় সম্পূর্ণ নিজের মাঝে মনোনিবেশ করে। এর জন্য সে যেই রুমে আছে সেখানে উজ্জ্বল না হয়ে মৃদু আলোর ব্যবস্থা রাখা বেশ কার্যকর। 

আমাদের দেশে যেহেতু ব্যথানাশক ব্যবস্থা এপিডিউরালের প্রয়োগ খুব সীমিত আকারে রয়েছে, তাই যারা স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক প্রসবে আগ্রহী তাদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা মোকাবেলার পদ্ধতিগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী। এমনকি এপিডিউরালের ব্যবস্থা থাকার পরও এটা গ্রহণ করার আগেই মাকে বেশ অনেকটা সময় প্রসব ব্যথা সহ্য করতে হয় তাই ব্যথা মোকাবেলা করার পদ্ধতিগুলো জেনে রাখা নিঃসন্দেহে উপকার বয়ে আনবে। আমেরিকাসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশে প্রাকৃতিক প্রসবের জন্য জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ব্র্যাডলে মেথড (Bradley Method)। এই পদ্ধতি প্রসবের প্রতি প্রাকৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে এবং একজন প্রসব কোচের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর জোর দেয়। মূলত, মা-কে এই সময় সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য এই বিষয়ের ওপর শিক্ষিত একজন কেউ সাথে থাকলে মা বেশ স্বস্তি বোধ করবেন। বাইরের দেশে এই কাজটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিডওয়াইফরা করেন, আবার এই পদ্ধতি স্বামীদেরও প্রশিক্ষণ দেয় প্রসব গাইড হওয়ার জন্য। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে কাছের কেউ, যেমন মা, বোন, বান্ধবী কেউ হতে পারেন যিনি এই বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এবং শান্ত, অবিচলিতভাবে মাকে এই সময় সঙ্গ দিতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার এড়িয়ে চলা হয়। ব্যথার সাথে মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি গর্ভাবস্থায় ভালো পুষ্টি ও ব্যয়াম, সেই সাথে পেশী শিথিলকরণ ও গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের (deep abdominal breathing) প্রতি লক্ষ্য রাখে। তবে এই পদ্ধতিতে সন্তানপ্রসব ক্লাসে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা ও জরুরী সিজারের ব্যপারেও দম্পতিদের প্রস্তুত করা হয়। 

এছাড়াও অন্যান্য আরও কিছু ব্যবস্থা আছে ব্যথা মোকাবেলায় যেসব মায়েরা নিজেদের জন্য চেষ্টা করতে পারেনঃ 

  • হাঁটা, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব
  • ম্যাসাজ
  • নিজের জন্য স্বস্তিদায়ক বিভিন্ন ভঙ্গী চেষ্টা করে দেখা, যেমন হাঁটাহাঁটি করা, গোসল করা, নিতম্ব আন্দোলন করা ইত্যাদি
  • টুকটাক কাজ করে মনকে ব্যথা থেকে সরিয়ে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখা; এটা মূলত বেশ কার্যকর যখন প্রসবব্যথা শুরুর দিকে থাকে
  • কুরআন তিলাওয়াত শোনা
  • যিকির ও দু’আর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করা ও তাঁর সাহায্য চাওয়া  

(প্রসব ব্যথা মোকাবেলা করা নিয়ে আরও জানতে দেখতে পারেন আমাদের আর্টিকেল লেবার পেইন সংক্ষিপ্ত ও সহজ করার একটা পদ্ধতি শিখতে চান?)

প্রসবব্যথা কতটা কষ্টদায়ক?

এর নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই। কারণ একেক জনের কাছে একে একেক রকম মনে হতে পারে। আবার একই নারীর আলাদা সন্তানপ্রসবের ব্যথা ভিন্নভাবে অনুভূত হতে পারে। তবে, প্রাকৃতিক প্রসবে ব্যথা মোকাবেলায় শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক ও আবেগীয় প্রস্তুতি এই যন্ত্রণাদায়ক ও নাজুক সময়ে আপনাকে শান্ত থেকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে। 

তবে মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক প্রসব যতই নিরাপদ হোক না কেন, যে কোন জটিলতা বা জরুরী অবস্থায় আপনার সেবাদানকারীর পরামর্শে অবশ্যই মেডিক্যাল হস্তক্ষেপের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না। বস্তুত, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যদিও মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ কাম্য না কিন্তু তারা আমাদের হাতের কাছে আছেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার জন্য। 

মহান আল্লাহ্‌ আমাদের মেয়েদের শরীরকে সৃষ্টি করেছেন সন্তান ধারণ ও জন্ম দেয়ার উপযোগী করে। আমাদের দায়িত্ব এর জন্য নিজেদের শিক্ষিত করার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নেয়া। সেই সাথে এই বিশেষ সময়ে তাঁর পরিকল্পনার ওপর তাওয়াক্কুল করা। ইনশাল্লাহ তাহলে আশা করতে পারি আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিণতি দেখতে পাব যার অভিজ্ঞতা আজীবন আমাদের জন্য সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে ও নারী হিসেবে আমাদের সক্ষমতায় আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলবে।

তথ্যসূত্রঃ

বই AMANI Birth, লিখেছেন Aisha Al Hajjar

Natural Childbirth

Why Natural Birth Is So Beneficial For Baby & Mama

What does “natural birth” mean?

(এই আর্টিকেল রিভিউ করেছেনঃ ডাঃ সারওয়াত জাবিন আনিকা)

ছবিঃ MomJunction

লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
হ্যানা