মেয়েদের শরীরকে আল্লাহ্ সন্তান ধারণ, প্রসব ও দুধ খাওয়ানোর জন্য নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন। মানবসৃষ্টির শুরু থেকেই এই অলৌকিক বিষয়গুলোর ওপর সবার আস্থা আছে। প্রাকৃতিক, ওষুধবিহীন প্রসবের পর বুকের দুধ খাওয়ানোর বাইরে আর কোন উপায় গত শতাব্দীর আগে বের হয়নি।
এসব নতুন সুযোগের ব্যবস্থা আসার পর নারীরা তাদের শরীর ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে অনাস্থা পোষণ করতে শুরু করেছে। প্রসবব্যথা ও প্রসবের সময় মেডিক্যাল হস্তক্ষেপের সূচনা এমন পার্শব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে যা নারী ও শিশুদের ওপর অপরিবর্তনীয় ক্ষতি বয়ে এনেছে। এর সাথে এসেছে ফিডারের ব্যবহার ও মানবসৃষ্ট বাচ্চাদের দুধ।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে নারীরা সবসময়ই জানত সন্তানপ্রসবের সময় ব্যথা হবে। কিন্তু যখন আমরা প্রসবের আধুনিক সভ্যতার দিকে তাকাই তখন এমন একটা সমাজ দেখতে পাই যেখানে মেয়েরা প্রসবব্যথার অজানা কষ্টকে এতটাই ভয় পায় যে তারা সেটা এড়াতে মেডিক্যাল সাহায্য কামনা করে। দুর্লভ কয়েকজন আছে যারা এখনো তাদের শরীরের নিখুঁত নকশায় আস্থা রাখে এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, ওষুধবিহীন প্রসবের পথ বেছে নেয়। এসব “প্রাকৃতিক মায়েরা” বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের সন্তানদের ফিডারে দুধ খাওয়ানোর বিপরীতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বুকের দুধ খাওয়ানোকে বেছে নেয়।
সৌভাগ্যজনকভাবে, সন্তানপ্রসব নিয়ে শিক্ষাদান সাড়া বিশ্বে সহজলভ্য হতে শুরু করেছে, যদিও মুসলিম সমাজে এখনো বিরল। যেসব নারীরা তাদের শরীর এবং গর্ভাবস্থা, প্রসবব্যথা, প্রসব ও স্তন্যপান প্রক্রিয়ার শারীরবৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করে (এবং কিভাবে সর্বোচ্চ উপায়ে এর জন্য প্রস্তুতি নেয়া যায় তা জানতে চেষ্টা করে) তারা বুঝতে পারে যে ব্যথানাশক ওষুধ ও মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ ছাড়াই তারা প্রসব করতে এবং পরবর্তীতে ফিডার ও ফর্মুলা দুধ ছাড়াও বাচ্চাকে খাওয়াতে সক্ষম।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বেশিরভাগই এখনো অন্ধকারে পড়ে আছে, প্রকৃতির চেয়েও আরও ভালো কিছুর মিথ্যা আশায় অন্ধ হয়ে আছে। তারা যা বুঝতে পারে না সেটা হচ্ছে প্রসবব্যথা ও প্রসবের জন্য ব্যবহৃত মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ এবং ব্যথানাশক ওষুধ শুধুমাত্র সন্তানপ্রসবের ব্যথাকে পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তন করতে পারে, একে দূর করতে পারে না। আরও খারাপ যেটা, সেটা হচ্ছে এসব আধুনিক হস্তক্ষেপ এবং ওষুধপত্র মা ও শিশুর জন্য অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিয়ে আসে। অনেকে তাদের নবজাতক সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব বুঝতেও ব্যর্থ হয়, ফর্মুলা দুধকে বুকের দুধের মতোই ভালো মনে করে ভুল করে।
প্রসবব্যথা ও প্রসবের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নারীদের ভেবে দেখা উচিত এমন কিছু বিষয় নিচে তুলে ধরছি।
- প্রসব একটি অ্যাথলেটিক ঘটনা, যার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি থাকতে হয়। অবস্টেট্রিশিয়ান ডাঃ রবার্ট এ. ব্র্যাডলে “Bradley on Birthing” ভিডিওতে বলেছেন, “বাচ্চা জন্ম দেয়া এক মাইল [১.৬ কিমি] সাঁতার কাটার সমান।” আমার সত্যিই সন্দেহ আছে কোন নারী আগে কয়েক মাস প্রশিক্ষণ না নিয়ে এই সাঁতারে টিকতে পারবে কিনা।
- মেডিক্যাল বা প্রাকৃতিক প্রসব কোনটাই ব্যথাবিহীন না। এর সাথে কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সেটা শেখাই উত্তম।
- যতক্ষণে ব্যথানাশক ওষুধ দেয়া হয় ততক্ষণে মা প্রসবব্যথা নিয়ে যথেষ্ট সময় পার করে ফেলে (যার জন্য সম্ভবত তার কোন প্রস্তুতি নেই)।
- ব্যথানাশক ওষুধ হয়ত সব ব্যথা দূর করে দিবে না বা হয়ত একদমই কাজ করবে না!
- এসব ওষুধ সাধারণত সুঁই দিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর অংশে দেয়া হয় এবং নিজেই ব্যথার সৃষ্টি করে।
- (ব্যথানাশক ওষুধ দেয়ার কারণে) কার্যকরভাবে নড়াচড়া করতে বা অনুভব করতে বা চাপ দিতে না পারার জন্য বাড়তি মেডিক্যাল হস্তক্ষেপ যুক্ত হয় যা শরীরে আরও বড় ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং প্রসবের পরও সেটা অনুভূত হয় (এবং প্রায় সময়ই প্রসবের চেয়েও বেশি ব্যথা করে)।
প্রাকৃতিকভাবে প্রসবকারী মায়েরা, যারা প্রসবের জন্য তাদের শরীরকে আগে থেকে প্রস্তুত করে, প্রসবব্যথার সাথে মোকাবেলা করতে শেখে এবং ব্যথা কমিয়ে আনার জন্য সহজ কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করে, তারা সাধারণত প্রসবের পর চমৎকার অনুভব করে। - ব্যথানাশক ওষুধ নেয়া মায়েদের অনেকসময় বমিভাব, অসুস্থ বোধ হয় এবং মেডিক্যাল হস্তক্ষেপের কারণে অনেক ব্যথার মাঝ দিয়ে যেতে হয় ও প্রসবের পরও শোচনীয় অবস্থা থাকে।
- যে মা চমৎকার অনুভব করবেন তিনি তার বাচ্চার যত্ন বেশি ভালোভাবে নিতে পারবেন এবং তাই তৎক্ষণাৎ বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সম্ভাবনা তার বেশি থাকবে।
“প্রাকৃতিক মায়েরা” যে সাধারণত প্রসবের পর চমৎকার অনুভব করেন, যেখানে ব্যথানাশক ওষুধ নেয়া মায়েরা করেন না, এই বিষয়টার ভীষণ তাৎপর্য আছে। আমরা কি সত্যিই ব্যথাকে প্রসবের কয়েক ঘন্টা ‘আগে’ থেকে কয়েক ঘন্টা/দিন/সপ্তাহ ‘পরে’ নিতে চাই? এক মুহূর্তের জন্য এটা ভেবে দেখুন। আপনি ব্যথাকে দূর করছেন না, শুধুমাত্র একে এক সময় থেকে আরেক সময়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনি কি সেই সময় চমৎকার অনুভব করতে চান না যখন এর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি? যখন আপনার নবজাতক আপনার কোলে থাকবে?
মায়েদের আরও জানা উচিত যে প্রসবব্যথা ও প্রসবের সময় যেসব ওষুধপত্র দেয়া হয় সেগুলো দেয়ার আনুমানিক ষাট সেকেন্ডের মাঝে বাচ্চার কাছে সেটা পৌঁছে যায়। তার আরও জানা উচিত যে ‘কোন’ ওষুধ, এমনকি সন্তানপ্রসবের সময় ব্যবহৃত কোন ওষুধও তার অনাগত সন্তানের জন্য নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়নি।
সেই সাথে, মায়ের বুঝতে হবে এসব ওষুধ তাকে ও তার বাচ্চাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যা প্রসবের পরও স্থায়ী হয়। এমনকি ওষুধের সাহায্য নেয়া একজন মা যার বুকের দুধ খাওয়ানোর পুরো ইচ্ছা আছে এসব ওষুধের স্বল্পমেয়াদী প্রভাবের কারণে সেটা ভালোভাবে শুরু করতে অত্যন্ত বেগ পেতে পারেঃ
- মা ও বাচ্চার জাগ্রত অবস্থার মাঝে বাধা সৃষ্টি করে
- বাচ্চার যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে মায়ের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে
- বমিভাব ও অন্যান্য অস্বস্তি তৈরি করে
- মা ও শিশুর জন্য সেরে উঠতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়
- মা ও শিশুর বন্ধন তৈরির সময়টার সাথে হয়ত আপোষ করা হয় বা সেটা দেরীতে করা হয়
- বাচ্চার দুধ টানার অভিব্যক্তিতে বাধার সৃষ্টি করে যার ফলে দুধ পান করানো কঠিন হয়ে পড়ে
- মায়ের দুধ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে
এসব ওষুধ ব্যবহারের সাথে অসংখ্য মেডিক্যাল ঝুঁকিও রয়েছে। এর বিস্তারিত তালিকা না দিয়ে সন্তানসম্ভবা মায়েদের আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, “আপনার স্বল্পমেয়াদী স্বস্তির জন্য মানবসৃষ্ট যে ওষুধ আপনি নেয়ার কথা ভাবছেন সেটার কোন প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া আপনার বা আপনার সন্তানের ওপর হবে না এই ব্যপারে কি আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত? আপনার নিজের জন্য কয়েক ঘন্টা ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে আপনার বাচ্চাকে কি আপনি ক্ষতির মাঝে ফেলবেন? আপনি যদি শিখতে পারেন কিভাবে ব্যথা কমিয়ে আনা যায় ও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে প্রসব করা যায়, আপনি কি তাহলে সেটা চেষ্টা করবেন?” এভাবে ভাবুন, “কেন ঝুঁকি নিবেন?”
দুঃখজনকভাবে, আমাদের দেশের বেশিরভাগ সন্তানসম্ভবা মায়েদের সন্তানপ্রসবের ওপর ক্লাস করার সুযোগ নেই। সুতরাং, তারা জানে না আসন্ন প্রসবব্যথা ও প্রসবের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রসবব্যথা ও প্রসবের দেহতত্ত্ব নিয়ে তারা জানে না এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস, এই ঘটনার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতে সহজ ব্যয়াম বা ব্যথা সামলানোর জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এই নারীরা অনেকসময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং প্রাকৃতিকভাবে সন্তান প্রসবের জন্য অস্বস্তি ও ব্যথা সহ্য করতে পারে না। না জেনেই তারা প্রসবব্যথার সাথে লড়াই করে এবং ব্যথা আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যায়! এসব নারীরা প্রায় সময়ই হাসপাতালে আসে আতঙ্কিত অবস্থায় এবং ওষুধের মাধ্যমে স্বস্তি খোঁজে। শেষে, তাদের মনে হয় যে তারা “অনেক কষ্ট করেছে” এবং প্রায় সময়ই এতটা অসুস্থ ও ব্যথাতুর থাকে যে নিজের যত্নই নিতে পারে না, নবজাতককে কোলে নেয়া ও যত্ন করা তো দূরের কথা। হাসপাতালের কর্মচারীরা তখন দায়িত্ব নিয়ে নেয় এবং বাচ্চাকে নার্সারীতে রেখে ফিডারে করে ফর্মুলা দুধ খাওয়ায়।
এই মেডিক্যাল পদ্ধতিতে প্রসবকে সামলে নেয়ার যুগে মেডিক্যাল পেশার সাথে জড়িতদের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক প্রসব প্রত্যক্ষ করা বিরল ঘটনা। প্রসবব্যথা থেকে উদ্ধার পেতে চাওয়া আতঙ্কিত রোগীরাই স্বাভাবিক ব্যপার হয়ে গেছে এবং দাদী-নানীদের মায়েদের সময়কার শান্ত আনন্দিত প্রাকৃতিক প্রসব হয়ে গেছে অস্বাভাবিক ব্যপার।
বিষয়টা দুঃখজনক যখন অস্বাভাবিকতাই স্বাভাবিক হয়ে যায় আর স্বাভাবিক ব্যপার অসম্ভব মনে হয়। কিন্তু এমনটা যে হতেই হবে তা না! এখনো আশা আছে। নারীরা যত বেশি মানসম্মত সন্তানপ্রসব শিক্ষার পথ খুঁজে পাবে তত বেশি ডাক্তার শান্ত, আত্মবিশ্বাসী, ওষুধবিহীন,সক্ষম একজন নারীকে প্রত্যক্ষ করতে পারবে যিনি আত্মপ্রত্যয়ের সাথে নীরবে প্রসবব্যথা পার করবেন।
এসব নারীরা যখন ডেলিভারি রুম থেকে বের হয়ে সত্যিকার প্রাকৃতিক প্রসবের আনন্দ নিয়ে কথা বলবে, অন্যরা তখন শুনবে। অবশ্যই তারা প্রসবের কথা বলার সময় ব্যথার কথা না বলে থাকবে না, কিন্তু তারা প্রক্রিয়াটা বুঝতে পেরেছে, একে সামলানোর জন্য পদ্ধতি জেনেছে এবং কার্যকরভাবে তাদের শরীরের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। ব্যথা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং তাদের শরীরের জন্য প্রাকৃতিক পরিকল্পনায় আস্থা রাখতে পেরেছে।
তারা বলবে যে, যেই মুহূর্তে তাদের সন্তান জন্মেছে সেই মুহূর্ত থেকেই তাদের ব্যথা শেষ হয়ে গেছে। তারা বলবে কিভাবে তারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে প্রসব করার জন্য দৃঢ়সংকল্প ছিল, শিরায় পরিচালিত ড্রিপ ছাড়া, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়া, এমনকি এপিসিওটোমি ছাড়া।
তারা তাদের বাচ্চার সমর্থনে কথা বলেছে এবং জোর দিয়েছে যেন ডাক্তার তাদের বাচ্চার নাড়ী আটকাতে দেরী করে এবং যেন ডেলিভারী টেবিলেই, এমনকি প্লাসেন্টা বের হওয়ার আগেই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর অধিকার তাদের দেয়া হয়। তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করেছে, এই জেনে যে তাৎক্ষণিক দুধ পান করানো শুধু সম্ভবই না, বরং তার ও তার বাচ্চা উভয়ের জন্যই উপকারী।
এই নারীরা জানত যে প্লাসেন্টা বের হওয়ার জন্য এবং মাতৃত্বকালীন হেমারেজ প্রতিরোধ করার জন্য তাদের কৃত্রিম হরমোনের প্রয়োজন নেই। তারা জেনেছিল যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে সেই একই হরমোন উৎপন্ন হয়, প্রাকৃতিকভাবে, যা এসব কৃত্রিম ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তারা জানত যে তাদের বুকের দুধ গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে পূর্ণ যা তাদের বাচ্চার সর্বোচ্চ সুস্বাস্থ্য নিয়ে জীবন শুরু করার জন্য প্রয়োজন। নতুন জীবনের প্রারম্ভে দুধ খাওয়ানো ও বন্ধন তৈরির গুরুত্বের প্রতি তারা সাগ্রহে সচেতন ছিল।
যে জিনিসটা এই ”প্রাকৃতিক মায়েদের” আলাদা করে তুলেছে সেটা হচ্ছে তারা সময় করে নিজেদের এই বিষয়ে শিক্ষিত করেছে ও প্রসবের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছে। তারা সম্ভাব্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর, সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং আনন্দময় প্রসব অর্জনে দৃঢ়সংকল্প ছিল। তারা তাদের বাচ্চাদের প্রতি নিবেদিত এবং ওষুধের ব্যবহার ছাড়া, সজাগ সতর্ক অবস্থায়, সুস্থভাবে ও বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য প্রস্তুত অবস্থায় তাদের পৃথিবীতে আনার প্রতি তারা দৃঢ়মনোভাবাপন্ন। তারা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী এবং বোঝে যে শুরুতেই বুকের দুধ খাওয়ানো সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর পথে সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দেবে।
তারাই সেসব নারী যারা প্রসবের ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারায় পরিবর্তন আনবে যা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে হাজার বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে ফলপ্রসূ হওয়া পথের দিকে। নারীরা যত বেশি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে সন্তানপ্রসবের উপকারিতা নিয়ে সচেতন হবে, তারা মানসম্মত সন্তানপ্রসব শিক্ষার চাহিদা তৈরিতে চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে। দিগন্তে পরিবর্তনের ছায়া দেখা যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া, প্রথম ছয় মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়া বাচ্চাদের নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে।
[লেখাটি অনূদিত। মূল লেখকঃ আইশা আল হাজার, মিডওয়াইফ, ফাউন্ডার AMANI Birth ( www.amanibirth.com )]