আমার ছেলের বয়স তখন ১৫ মাস চলছে। রমাদান মাস। নয়/দশটা রোজা রাখার পর থেকে শরীর খুবই দুর্বল লাগছিলো। কি মনে করে আম্মু একদিন বললো প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে। আজ কাল করতে করতে একদিন টেস্ট করেই ফেললাম, পজিটিভ আসলো। আম্মু তো মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। আমি তো খুশিই…আরেকটা ছোট্ট বেবি হবে, আব্দুল্লাহর সঙ্গী হবে। একটু একটু টেনশন সাথে। এরপর আব্দুল্লাহর বাবাকে জানালাম, উনিও খুশি আলহামদুলিল্লাহ।

কিছুদিন পরই আল্ট্রাসহ টুকিটাকি চেকাপ করে ডক্টর দেখালাম। আল্ট্রা রিপোর্ট হিসেবে তখন ৭+ সপ্তাহ চলছে।

২ মাস পরপর চেকাপে যেতাম। ৩০ সপ্তাহের দিকে হঠাৎ করে জ্বর আর শরীর ব্যাথা। আল্ট্রা, ব্লাড, ইউরিন টেস্ট করে ডক্টর দেখালাম। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে অনেকটা। রক্ত নিতে হলো ২ ব্যাগ। প্রথমবারের মতো একা হসপিটাল ছিলাম, আম্মু, আব্দুল্লাহকে ছাড়া। কারো উপর অভিমান করে একা থেকেছি। প্রেগন্যান্সিতে মান অভিমানে কারণ লাগে কি!

বাড়ি এসে ভাবলাম এবার থেকে ভালো হবো। ভালো আর কই হলাম! আবারো আগের মতো ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিলাম, পেট পুরে ভাত খেয়েছি শুধু। বকা খাওয়ার মতোই কথা যে আমি ঔষধ, খাবারটাও রাগ(অথবা অভিমান) করে খাইনি। দুআ করতাম শুধু, ভয়ও পেতাম… শেষ অবধি নিজের দোষে কিছু উল্টোপাল্টা হয় কিনা।

এর মাঝে একবার ডায়াবেটিস টেস্টে দেখলাম ডায়াবেটিস হবে হবে হাল, হা হা! ডক্টর কিছু না বললেও আমি ভয় পেয়ে ভাত খাওয়া অর্ধেক কমালাম, নিজে থেকে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া অফ করলাম। বাঙালি ঘরে কি আর মিষ্টি, পিঠা, কার্বোহাইড্রেট ছাড়া চলে? আম্মু এটা ওটা আনতো আর বলতো, এট্টু খা! কিছু হবে না। দুআ দরুদ পড়ে দু-চার টুকরো খেতাম, পরের বেলা ভাতের পরিমাণ আরো কমিয়ে দিতাম।

হবু ডায়াবেটিস নিয়ে প্রচুর ভুগতে হয়েছে কারণ আমি মিষ্টি প্রেমী, লোভ সামলাতে না পেরে খেয়ে ফেলতাম তারপর টানা হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম… কাফফারা আরকি😁

৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হলো। আল্ট্রা, ডায়াবেটিস আর ব্লাড টেস্ট করলাম। সব ঠিকঠাক তবে বাচ্চার ওজন অলরেডি ৩ কেজি প্লাস…বাড়ি এসে পুরোদমে হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম শুরু করলাম, একদম নিয়মমাফিক! সকালে ফজরের পর ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে বের হই প্রতিদিন। ছেলেও খুশি, ফজরের আজানের সময়ই উঠে বলবে, “আম্মু! হাঁটি!” আবার বিকেলে ছাঁদে যাই, ২৫/৩০ মিনিট যতোক্ষণ পারি হাঁটাহাঁটি করি। রাতে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করি। আর সারাদিনে যখন সুযোগ পাই স্কোয়াটিং, হিপ রোটিটিং, মাইলস সার্কিট এক্সারসাইজ, ফরোয়ার্ড লিনিংসহ যা যা মনে পড়তো করতাম।

অপেক্ষার শুরু ৩৮ সপ্তাহ থেকে। প্রতিটা দিন গুণতে থাকি, মাঝেমধ্যে ফলস পেইন হয়, একদিন তো শিউর হয়ে নিলাম যে লেবার পেইন উঠেছে। ধোঁকা!
৩৯ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ফলস পেইন হয়। ইডিডি এর আগের দিন আল্ট্রা করি। বিপিডি তুলনামূলক বেশি ছিলো, ভয় পেয়ে গেলাম। ডক্টরই দেখাইনি ভয়ে। ভাবলাম এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে ডক্টর দেখাবো।

দিন যায়, আমি ছাঁদে একা একা হাঁটি আর কান্না করি। রুমেও কেউ না থাকলেই কান্না শুরু। সারাদিন দরুদ, দুআয়ে ইউনুস, ইসতেগফার যখন যা মনে আসে পড়তাম।

সামনের দিনগুলো আমার কাছে একদম অন্ধকারাচ্ছন্ন লাগছিলো৷ নিজেকে এতো অসহায় লাগেনি কখনো। এর মধ্যে কয়েকজন ডক্টর আপুর সাথে কথা বললাম। ফারহানা পারভীন নিপা ম্যামের সাথেও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলাম। ম্যাম ইনডাকশন এর পরামর্শ দিলেন।

বাচ্চা বড় হয়ে গিয়েছে, মাথাও মোটামুটি বড়, এখন ডক্টর দেখালেই বলবে সিজার করো, ডেট ওভার হয়ে গিয়েছে, এই ভয়ে ডক্টর দেখাচ্ছিলাম না। প্রতিনিয়ত দুআ করে যাচ্ছি যেন ন্যাচারালি পেইন উঠে।

নিপা ম্যামকে দেখানোর ইচ্ছে থাকলেও কাউকে বলার সাহস হচ্ছিলো না, একে তো হসপিটাল অনেক দূর, ছেলেটাকে আম্মুর কাছে রেখে যেতে হবে, আমার সাথে থাকার মতো মহিলা কেউ নেই, খরচও অনেকটা বেশি। খরচের ভয়ের চেয়ে বড় ভয় ছিলো, যদি সিজার লাগে! এতোদূর আব্দুল্লাহর বাবাকে সব করতে হবে, ছেলেটাও বাড়িতে কষ্ট পাবে। দোষারোপ আসবে আমার উপর দিয়ে।

প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত চেঞ্জ হচ্ছে। অনেক বেশি দোটানায় দিন কাটছিলো। আমি শুধু দুআ করছিলাম, আল্লাহ আমি অসহায়, আমাকে সাহায্য করো, সহজ করো। আমার এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার মতো ধৈর্য হচ্ছিলো না। মাঝেমধ্যে এমনটাও বলতাম, আল্লাহ সুস্থভাবে আমার মেয়েটাকে আমার কোলে এনে দাও, যেভাবেই হোক।

৪০ সপ্তাহ ৪ দিন। অপেক্ষার বাঁধ ভেঙে গেলো। সকালেই আবু আব্দুল্লাহকে মেসেজে বললাম যে আগামীকাল মাদার কেয়ার হসপিটাল যাবো। উনি কিছু বললেন না। তখন আমিও অনেক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি, দুপুরে ইসতিখারা করলাম। বিকেলের একটু আগেই ঘটনাক্রমে প্রচন্ড কষ্ট পেলাম, ঘরের এক সদস্যের কথায়। তখন আমি একদম অনড় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে যাই হোক আগামীকাল আমি যাবো ইনশাআল্লাহ। সন্ধ্যার দিকে আবু আব্দুল্লাহ কল দিলেন, উনি গাড়ি ঠিক করেছেন। আমাদের সবার মনে আশা যে হয়তো রাতের মধ্যে পেইন উঠে যাবে।

রাতে ছেলে ঘুমানোর পর হসপিটাল ব্যাগ রেডি করলাম। আগে থেকেই লিস্ট করা ছিলো, লিস্ট অনুযায়ী সব শুধু ব্যাগে ভরলাম। সব কাজ শেষে সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করলাম কিছুক্ষণ, স্কোয়াটিং, মাইলস সার্কিট এক্সারসাইজ করলাম। সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা পেইন আসা যাওয়া করছিলো। ফলস পেইন ভেবে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। ঘুমাতে ঘুমাতে রাত একটার কাছাকাছি। ফজরের সময় উঠলাম। পেইন বাড়েনি, উল্টো কম মনে হচ্ছে। ফলস পেইন ভেবে কাউকে কিছু বলিওনি। গাড়ি আসার কথা ৭ টার সময়, আসলো ৮:৩০ টায়। সব গুছিয়ে গাড়িতে উঠলাম, আম্মুর সাথে একটা শব্দ কথা বলতে পারিনি, প্রচন্ড কান্না আসছিলো। ছেলেটার জন্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছিলো। এক অজানার পথে যাচ্ছিলাম, যেখান থেকে ফিরবো কিনা জানা নেই, কি হবে কেমন হবে কতো শতো আশঙ্কা ভয়

হসপিটাল পৌঁছালাম ১০ টার পর। গিয়ে একজন নার্স আপার কাছে সব রিপোর্ট দেখানো হলো, উনি হালকা বকা দিলেন আর বললেন আসার কথা ছিলো ৮ টায়, এখন কয়টা বাজে? অবাক হলাম এই শুনে যে ম্যাম আমার আসার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছে। সবচেয়ে বেশি খুশি হলাম ম্যাম একটু পর আসবেন শুনে। তখনো ৮/১০ মিনিট গ্যাপে পেইন আসছে। পিভি চেক করা হলো, ৪ সেমি. ওপেন অলরেডি। নার্স/সিস্টার আপা সুওয়াইপ করে দিলেন৷ ডক্টর ম্যাম আসলেন আধা ঘণ্টার মধ্যে। তখন আবার চেক করে জানালেন সার্ভিক্স ৬ সেমি. খুলেছে। ক্যানোলা করে সেলাইন দেওয়া হলো, ব্যাথা বাড়ার ইনজেকশন হয়তো, আমার এসব সম্পর্কে ধারণা কম। ম্যাম বললেন রেস্ট নিয়ে নিয়ে হাঁটাহাঁটি, স্কোয়াটিং করতে, দুধ/স্যুপ/খেজুর খেতে।

রুমের মধ্যেই হাঁটছিলাম, ব্যাথা আসলেই স্কোয়াট পজিশনে বসে ব্রিথিং এক্সারসাইজ করেছি। একটু পর আবার পিভি চেক করে বললেন ৭ সেমি. ওপেন হয়েছে। একজন সিস্টার এসে জিজ্ঞাসা করলেন উনার কি অবস্থা? ডক্টর বললেন সার্ভিক্স ৭ সেমি. খুলেছে। সিস্টার তো অবাক! বললেন, উনাকে দেখে তো বোঝাই যায় না!! আরেকজন নার্স আপু বললেন, আপনার তো সহ্যশক্তি বেশি, পেইন বাড়লে জানাবেন কিন্তু…

আমি লেবার রুমে যাওয়ার আগ অবধি একটু শব্দও করিনি। লেবার রুমে যাওয়ার পর থেকে বাবু হওয়ার পরেও শুধু আল্লাহু আকবার বলেছি অবিরত। বাবু হওয়ার পর ম্যাম বলছিলো, আলহামদুলিল্লাহ বলো, আমার মুখে আল্লাহু আকবর ছাড়া কিছু আসছিলোই না।

৮ সেমি. খোলার পর পানি ভেঙে দিলেন। দু তিন মিনিট পরই লেবার রুমে নেওয়া হলো। এক্সট্রিম লেভেলের পেইন শুরু হলো তখন থেকে। এত্তো অসহায় আমি…আম্মু নেই, পরিচিত কেউ নেই। ৭/৮ জন ডক্টর, নার্স। তবে প্রত্যেকে আপন মানুষের মতোই ছিলেন, এতো অমায়িক ব্যবহার মাশাআল্লাহ ❤️ প্রতিটি মুহূর্তে সাহস দিচ্ছিলেন।

লেবার রুমে বেডে উঠার আগ মুহূর্তে এমন পেইন আসলো আমি ফ্লোরে বসে পড়লাম। পুশিং আর্জ আসছিলো, তাড়াতাড়ি বেডে উঠলাম। এবার ছিলো লেবারের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু সব চাইতে কঠিন স্টেজ। পুশিং! আমার এখন অবধি ভয় লাগে ঐ সময়ের কথা মনে পড়লে। ৩/৪ টা পুশের পরেই আলহামদুলিল্লাহ কন্যা চলে এসেছে। নিপা ম্যামের হাসি হাসি মুখটা অন্নেক মিস করি। এপিশিওটমি লেগেছে, সেলাইয়ের সময় আমার মনকে ডাইভার্ট করার জন্যে অনেক কথা বলছিলেন, গল্প করছিলেন❤️❤️

বাবু হওয়ার পরই মনে হচ্ছিলো আম্মুর সাথে একটু কথা বলি কিন্তু ফোন ছিলো কেবিনে। মেয়েকে পরিস্কার করে আমাকে দেখানো হলো, আমার সে মুহূর্তে শুধুই কান্না আসছিলো। ছেলের কথা মনে হচ্ছিলো, আল্লাহর করুণা! আল্লাহর রহমাহ নি’মাহ এসব ভাবতে ভাবতে চোখের পানিই থামে না।

হসপিটাল আসার পর থেকে বাবু হওয়া পর্যন্ত সময় লেগেছে আড়াই ঘন্টারও কম। আর অসহনীয়, অনেক বেশি পেইন ছিলো ১৫-২০ মিনিট। আল্লাহর কাছে দুআ করতাম, আল্লাহ কল্পনার চাইতেও সহজ করে দাও। আল্লাহ আমার দুআ কবুল করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। আমার হাজবেন্ড, আম্মু কেউই ভাবেনি এতো দ্রুত বাবু হওয়ার সংবাদ পাবে। আমি তো ধরে রেখেছিলাম যে ২ দিনও লাগতে পারে।

এরপরের গল্পটুকু সুন্দর, সহজ আর সবরের! বাড়ি আসার পর থেকে ছেলেকে পাহাড়ায় রাখতে হচ্ছে। সে আদর করতে করতে বোনকে মারছে…ধৈর্য ধরতে হচ্ছে, তাও মাঝেমধ্যে ধমক দিয়ে ফেলি। নিজের কাছেই এতো কষ্ট লাগে, পরক্ষণেই জড়িয়ে ধরে আদর করে দেই। রাত হলেই ছেলেটার জন্যে মন খারাপ লাগে। আল্লাহ সহজ করে দিন। আমার ছেলে মেয়ে দুজনকেই সুস্থতার সাথে নেক, লম্বা হায়াত দিন, উম্মাহর জন্যে কল্যাণকর কাজে অংশ নেওয়ার তৌফিক দিন। আমাদেরকে, আমাদের সন্তানদের সাহাবিওয়ালা আখলাক দিন।

এবারের প্রেগন্যান্সিটা অনেক স্পেশাল ছিলো। এ বছরে এসে আমি ছেলের প্রতি অনেক যত্নশীল হয়েছি। ছেলের খাবারের বিষয়টা পুরো আমিই দেখেছি, নিজের জন্যেও শখে বা কখনো প্রয়োজনে রান্নাবান্না করেছি। মাঝে কয়েকদিন কাঁথা সেলাই করলাম। শেষের কয়েকমাস অনেক এক্টিভ ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, মায়ের কষ্ট কমাতে চেষ্টা করেছি।

আল্লাহ আমাকে কিছু পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে অনেক ম্যাচিউর বানিয়েছেন। মনের জোর ছিলো অনেক বেশি। শরীর খারাপ লাগলেও মনের জোর দিয়েই কতো কিছু করা হয়েছে।

শেষকথা, মাদার কেয়ার হসপিটালে থাকা দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। লেবার পেইনের মতো সময়টাতে একদম একা আমাকে সাহস দিয়েছেন যারা প্রত্যেকের জন্যে দুআ❤️ নিপা ম্যামের জন্যে অফুরন্ত বারাকাহর দুআ, আল্লাহ উনাকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন, মনের সব কল্যাণজনক আশা পূরণ করে দিন।

আমার কিপ্টেমি করে প্রিনেটাল কোর্সে এনরোল করা হয়নি😐 তবে যারা প্রেগন্যান্সির শুরু থেকে শেষ অবধি ক্লিয়ার ধারণা রাখেন না তাদের অবশ্যই উচিত নিজে থেকে পড়াশোনা করা, সুযোগ সামর্থ্য থাকলে প্রিনাটাল কোর্সটা করা। প্রেগন্যান্সির শেষটাতে বিশেষ করে নিজেদের পড়াশোনা জানাশোনা থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। জ্ঞানই শক্তি… হা হা ডায়লগ দেই, আমি নিজেই যে লেভেলের সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম। আসলে ওভারথিংকিং আমার চিরতর সমস্যা। ছেলের বেলায়ও পেইন উঠে না কেন এসব নিয়ে বহু চিন্তা দুশ্চিন্তা করে নিজের ও আশেপাশের সবার মাথা নষ্ট করেছি।

যাকগে বহু কথা বললাম, এখন কি বলবো বলেন তো! দুআ চাইবো। বারাকাহর দুআ, সুস্থতার জন্যে দুআ। আফিয়াত! আমার জন্যে, আমাদের জন্য দুআ করলে আল্লাহ আপনার দুআও হয়তো কবুল করে নেবেন ইনশাআল্লাহ।