হঠাৎ করে ছোট বাচ্চাদের মতো আনন্দে লাফাতে ইচ্ছা করছে আবার হয়তো একটু পরেই বিষণ্ণ হয়ে গেলেন? কারণ ছাড়াই কারো উপর বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন? প্রিয় মানুষটা থেকেও মাঝে মাঝে দূরে থাকতে ইচ্ছা করে? গর্ভাবস্থায় যদি এরকম বিভিন্ন ধরণের অনুভূতি আপনার হয়ে থাকে, তবে বলি, আপনি একা নন এবং এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার যাকে বলা হয় মুড সুইং (Mood swing)।

গর্ভাবস্থায় মুড সুইং এবং এড়াতে ০৫ টি কারণীয়

গর্ভাবস্থায় মুড সুইং কেন হয়?

মুড সুইং মূলত হয় কারণ গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে বিভিন্ন হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায় বিশেষ করে এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টোরন।

এস্ট্রোজেন হরমোন মুলত কাজ করে সেরোটোনিন নামক আরেকটা হরমোনের সাথে। সেরোটোনিনকে বলা হয় Happy hormone বা যেই হরমোন সুখের অনুভূতি দেয়। গর্ভাবস্থায় প্রথম ১২ সপ্তাহে এস্ট্রোজেনের উৎপাদন ১০০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এতো বেশি বেড়ে যাওয়াতে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। সেরোটোনিনের কাজেও তা ব্যাঘাত ঘটায়৷ ঠিক কি কারণে এমনটা হয় না জানা গেলেও এটা বোঝা যায় যে এস্ট্রোজেনের পরিমাণের সাথে তা সম্পর্কযুক্ত। এই ভারসাম্যহীনতার ফলে উদ্বিগ্নতা, বিরক্তবোধ, সহজেই রেগে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষ্মণ দেখা যায়।

গর্ভের প্রথম ৩ মাস প্রজেস্টোরন হরমোনও বাড়তে থাকে৷ প্রজেস্টোরন হলো relaxation hormone অর্থাৎ তা স্বস্তি বা আরামের অনুভূতি দেয়৷ কিন্ত এর অধিক উৎপাদন ক্লান্তিবোধ, দুঃখবোধ অনুভূতির সৃষ্টি করে৷

গর্ভাবস্থায় এই হরমোনগুলোর অধিক উৎপাদন মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য এবং নিরাপদ সন্তান প্রসবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে একইসাথে এই হরমোনগুলোকে মোকাবিলা করার ফলে মনোজগতে উথাল পাথাল বন্যা বয়ে যায়।

মুড সুইং সব ট্রাইমেস্টারে এবং এমনকি পোস্ট পারর্টামেও হয়৷ স্বাভাবিকভাবেই অনাগত সন্তানের আগমনের দিনটা নিয়ে মায়েদের মনে কম বেশি ভয় ও উদ্বিগ্নতা কাজ করে৷ এর পেছনে রয়েছে সন্তানের প্রতি মায়ের সহজাত ভালবাসা এবং প্রতিরক্ষাপ্রবণ মানসিকতা। এসময় মায়ের শরীরে বাহ্যিকভাবে বিশাল পরিবর্তন ঘটে। এসকল পরিবর্তন এর সাথে হরমোনের তারতম্য মিলিয়ে একজন গর্ভবতী নারী অনেক সময় মানসিক গোলকধাঁধায় ঘুরতে থাকে। সবকিছু একসাথে গুছিয়ে উঠতে হিমশিম খায়। তবে এ ব্যাপারে ভাল করে জানা থাকলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে ওঠে। কাটিয়ে ওঠা সম্ভব অনেকটুকু ভয় আর উদ্বিগ্নতা।

প্রথম ট্রাইমেস্টারে মুড সুইং

এই সময়টা সাধারনত প্রথম ১২-১৩ সপ্তাহ। মুডের উপর হরমোনের প্রভাবের সাথে শরীরেও থাকে অনেক প্রভাব৷ শরীরে এর প্রভাব আবার সৃষ্টি করে মানসিক স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা৷ অর্থাৎ দুইটা ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত৷ মর্নিং সিকনেস বা বমি করা, কিছুই খেতে না পারা, প্রচন্ড ক্লান্তি এ সময়ের কিছু সাধারণ উপসর্গ। মর্নিং সিকনেস নিয়েও উদ্বেগ কাজ করে৷ না জানি কখন বমি হয়ে যায়! এভাবে খেতে না পারলে শরীর পুষ্টি কীভাবে পাবে? এরকম অনেক চিন্তা দেখা দেয়৷ কোনো কিছু ঠিক মতো খেতে না পারায় শারীরিক ও মানসিক প্রভাব দেখা দেয়। এ সময় ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে৷ ঘুম পর্যাপ্ত হলেও দেখা যায় সারাদিন জুড়েই ক্লান্তিভাব থাকে৷ এ সময়টায় অনেক নারীর মনে মিসক্যারেজ নিয়ে ভয় থাকে। নতুন মায়েদের মনে চলমান থাকে ঠিক মতো খাওয়া হচ্ছে কিনা, পানি পান করা হচ্ছে কিনা, এক্সারসাইজ করা হচ্ছে কিনা! ধীরে ধীরে জরায়ুর বেড়ে ওঠা শরীরের অভ্যন্তরের অঙগগুলোতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে৷ এভাবে শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে নারী মনে উৎকন্ঠা কাজ করে৷ সাথে হরমোনের প্রভাব যোগ করে নতুন মাত্রা৷

দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে মুড সুইং

সাধারণত, আল্ট্রা করিয়ে এ সময়টা মায়েদের মনে তুলনামূলক কম ভয় কাজ করে৷ তারপরও তাদের মনে বিভিন্ন ধরণের চিন্তা চলমান থাকে৷ এই সময়ে শরীরের পরিবর্তনটা বাহ্যিকভাবে বেশি প্রকাশ পায়৷  মায়েদের মনে নিজের শরীরকে নিয়ে এক ধরনের হীনমন্যতা কাজ করতে পারে৷ এছাড়াও তাদের চিন্তা থাকে পেট কি বেশি বড় হয়ে আছে বা বা বেশি ছোট হয়ে আছে? বাচ্চার গ্রোথ কি ঠিক আছে? এমন নানান প্রকারের দুশ্চিন্তা কাজ করে৷ 

দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের শেষের দিকে অনেকে বাচ্চার নাড়াচাড়া অনুভব করতে পারে। বাচ্চার নাড়াচাড়া ঠিক সময়ে অনুভব করছি কিনা, কখন করা উচিত, দেরি হচ্ছে নাকি – এসব বিভিন্ন ব্যাপারেও মায়েদের মন চিন্তাগ্রস্ত থাকে৷ এসকল চিন্তাভাবনা তাদের মনে উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি করে৷ হরমোন এই উদ্বিগ্নতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়৷ 

এ সময়ে রিল্যাক্সিন হরমোন পেলভিস, সারভিক্স ও জরায়ুর মাংসপেশিকে রিল্যাক্স করে ও প্ল্যাসেন্টার বিকাশে সাহায্য করে। পেলভিক এরিয়াতে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়ায় কিছু মায়েরা শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভাল অনুভব করতে শুরু করে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং হরমোনের তারতম্যের নেতিবাচক প্রভাবকে কিছুটা কমাতে সাহায্য করে৷ 

তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মুড সুইং 

এই সময় অনেকেরই ঘুমের সমস্যা শুরু হয়, ক্লান্তিবোধ বাড়তে থাকে৷ সন্তান প্রসবের চিন্তাভাবনা এবং এ নিয়ে ভয় ও উদ্বিগ্নতা কাজ করে৷ এছাড়াও মা হিসেবে সে নিজে কেমন হবে, সন্তানের ঠিক মতো যত্ন নিতে পারবে কিনা এসব অনেক চিন্তা ও সন্দেহ ঘুরপাক খেতে পারে। 

তবে অনেক মায়েরই এই সময়ে সহজাত মাতৃত্ববোধ বা নেষ্টিং (Nesting) যাকে বলে তা জেগে ওঠে৷ হঠাৎ করেই নতুন শিশু আগমন উপলক্ষে সংসারকে তার জন্য প্রস্তুত করার একটা ইচ্ছা জেগে ওঠে৷ শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে মা হিসেবে প্রস্তুত করার সহজাত একটা ইচ্ছা কাজ করে৷ এই সহজাত অনুভুতি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং হরমোনের উথাল পাথাল ঢেউকে শান্ত করতে সাহায্য করে। 

তবে অনেক মায়েরই প্রসব নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও দুশ্চিন্তা কাজ করায় নেস্টিং তাদের জন্য আরো উদ্বেগের কারণ হয়ে আসতে পারে৷ এই সময়ে কন্ট্রাকশন এবং লেবার পেইন নিয়েও অনেক উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মা অনেক ক্ষেত্রেই বিরক্ত বা অস্থির হয়ে থাকতে পারেন। 

এছাড়াও গর্ভাবস্থায়  বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে পুরো গর্ভকালীন সময় জুড়েই উদ্বিগ্নতা, ভয়, বিরক্তিবোধ, সহজেই রেগে যাওয়া, সহজেই ভুলে যাওয়ার মতো অনেক লক্ষ্মণ কম বেশি সবার মধ্যেই দেখা দিতে পারে৷ গর্ভাবস্থায় একজন মাকে নিজের ও নিজের অনাগত সন্তান ছাড়াও সংসার, পড়াশোনা, চাকরিসহ অনেক ব্যাপারেই খেয়াল রাখার প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে এই সময়টা সবকিছু সামাল দেয়া মায়েদের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। তবে সঠিক জ্ঞান থাকলে বিষয়গুলো গুছিয়ে এনে গর্ভাবস্থায় ইতিবাচক শক্তি ও অনুপ্রেরণা জোগাড় করা সম্ভব। 

মুড সুইং এ করণীয়

১. নিজের যত্ন নিন

সুষম খাবার, শাকসবজি এবং অধিক পরিমানে পানি খান। গর্ভাবস্থায় অনেকের একটু পর পর ক্ষুধা লাগে। পেট খালি রাখবেন না৷ অল্প অল্প করে সারাদিন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার খেতে পারেন যেমনঃ ফলমুল, ডিম, শসা, গাজর, বাদাম, স্যুপ, টক দই, বিস্কিট, চিয়া সিডের পানীয়, শরবত, স্মুদি ইত্যাদি। এই খাবারগুলোতে অধিক পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেল আছে এবং অনেক ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। শরীর সঠিক পুষ্টি পেলে মন ভাল রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।

মাঝে মাঝে মুখের যত্ন নিতে পারেন। মুখে হয়তো ফেস প্যাক লাগালেন, চুলে তেল দিলেন ইত্যাদি৷ এতে নিজের মধ্যে তৎক্ষণাৎ একটা উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে যা আপনার মনকে উৎফুল্ল করে দিবে। আয়নায় নিজেকে দেখে ভাল লাগলে মনটাও খুশি হবে৷ 

কুরআন পাঠ বা শোনা, যিকির করা, ইন্টারনেটে  ইসলামিক বা মোটিভেশনাল লেকচার শোনা, বই পড়া ইত্যাদি মায়ের মনকে শান্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে৷ 

এছাড়াও নিজের বিশ্রামের দিকে খেয়াল করুন। 

২. শারীরিক ব্যায়াম

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্টেজে অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে যা মাকে সবদিক দিয়ে ফিট রাখতে এবং সহজ প্রসবে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে গুগল ইউটিউবে যেকোনো কাউকে অনুসরণ না করে বিশেষজ্ঞ কারো পরামর্শ নিন। তবে ইন্টারনেটের মেডিটেশন, ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন৷ সাধারণভাবে হাঁটাচলার অভ্যাস বজায় রাখুন। মাঝে মাঝে কাউকে সাথে নিয়ে বাইরে হাঁটতে বের হতে পারেন৷ এতে স্বাস্থ্য এবং মন দুইটোই ভাল থাকবে। 

৩. প্রিনাটাল কোর্স করুন

সুযোগ সুবিধা থাকলে প্রিনাটাল কোর্স করুন। এতে গর্ভাবস্থা নিয়ে আপনি জানতে পারবেন, এসময়ের করনীয় কি কি, আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন হচ্ছে এবং কেন হচ্ছে, নিজের এবং সন্তানের যত্ন ও পুষ্টি, প্রসবকালীন করনীয়, প্রসব পরবর্তীকালীন করনীয় অনেক কিছু আপনি জানতে পারবেন৷ এতে করে আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। অমূলক শঙকা দূর হবে।

অনেকে নিজের বিভিন্ন লক্ষ্মণ গুগল করে ভড়কে যায়, কারণ গুগলে নির্দিষ্ট করে কিছু লিখা থাকেনা বরং ভাল খারাপ মিলিয়ে এমনভাবে লিখা থাকে মানুষ সন্দেহে পড়ে যায়৷ গর্ভাবস্থায় এ থেকে আরো দূরে থাকতে হবে। কোনো বিষয়ে সন্দেহ বা দুশ্চিন্তা দেখা দিলে অভিজ্ঞ চাইল্ড বার্থ এডুকেটর, দৌলা বা ধাত্রী, ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ কারো অভিমত নেয়া উচিত। এছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন কমিউনিটি আছে সেগুলোয় প্রশ্ন করতে পারেন। মাতৃত্ব ফেসবুক গ্রুপ বা টেলিগ্রাম গ্রুপ এরকমই কমিউনিটি, যেখানে প্রশ্ন করলে সহজেই উত্তর পাবেন।

৪. প্রিয়জনকে খুলে বলুন

মাতৃত্বের জার্নিতে আপনার স্বামীকে অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনার শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন অনুভুতি তাকে খুলে বলুন। কি করতে ইচ্ছা করছে, কি করলে মনটা ভাল লাগবে, প্রসব পরবর্তী আপনার এবং শিশুর প্রতিপালন ইত্যাদি বিষয়ে একসাথে আলোচনা করুন এবং একসাথে জানার চেষ্টা করুন। স্বামীর সাথে আলোচনা করলে মা হিসেবে আপনার ভয় ও উদ্বেগ অনেকাংশেই কমে যাবে। সাহস এবং শক্তি পাবেন। 

এছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্য যেমন: মা, বোন বা কাছের বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর কাছে নিজের অনুভূতিগুলো বলতে পারেন বা মানসিক ক্লান্তি দূর করতে তাদের সাথে দেখা করতে পারেন।

এছাড়াও অন্যান্য পরিচিত মায়েদের সাথে কথা বলতে পারেন৷ বিশ্বস্ত মাতৃত্ব বিষয়ক অনলাইন আলোচনা প্ল্যাটফর্মে যোগ দিতে পারেন। 

৫. নিজেকে দোষ দিবেন না

গর্ভাবস্থায় হরমোনাল কারণেই হোক বা সামগ্রিক পরিবর্তনের কারণেই হোক, মায়ের অনেক ধরণের আবদার চাহিদা থাকতে পারে যা হয়তো আগে ছিলনা৷ যেহেতু এটা সংবেদনশীল  সময়, তাই নিজের প্রতি বা অন্যের প্রতি অনিচ্ছাকৃত বিরক্তভাব প্রকাশ পেতে পারে৷ নিজের সক্ষমতা এবং গুনাগুন নিয়ে মা সন্দেহে ভুগতে পারেন বা আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারেন৷ নিজেকে কখনো এই পরিবর্তনগুলোর জন্য দোষ দেয়া যাবেনা। বরং এই অনুভূতিগুলোকে কীভাবে জয় করা যায় এ ব্যাপারে পড়াশোনা করা উচিত বা অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নেয়া উচিত।

কখন অভিজ্ঞের পরামর্শ নিবেন?

গর্ভাবস্থায় মুড সুইং সাধারণ একটা ব্যাপার। তবে এ ব্যাপারেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন৷ কিছু সময় আছে যখন একজন অভিজ্ঞ মানুষের শরণাপন্ন হওয়া দরকার যেমন: ডাক্তার, থেরাপিস্ট, চাইল্ড বার্থ এডুকেটর, দৌলা।  যেই লক্ষ্মণগুলো হলে তাদের জানাবেন:

  • Chronic anxiety বা অনরবত উদ্বিগ্ন থাকা। 
  • অস্থিরতা অথবা কোনো কিছুতে একেবারেই মনোযোগ না দিতে পারা
  • ক্ষুধামন্দা
  • বুক ধুকধুক করা, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস অথবা মাংসপেশিতে টান অনুভব করা
  • নিজেকে নিয়ে এবং প্রেগ্ন্যাসি নিয়ে অতিরিক্ত ভয় অথবা হতাশা
  • নিজের প্রতি বা অন্যের প্রতি সহিংস আচরণ করার ইচ্ছা
  • ভয়, হতাশা এবং উদ্বিগ্নতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া
  • সাধারণত যেসব কাজ করতে পছন্দ করেন তার প্রতি ইচ্ছা না থাকা
  • অনুভুতিশূন্যতা
  • যৌনতায় অনিচ্ছুক

মাতৃত্ব নারীজীবনের অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি অধ্যায়। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার সক্ষমতা সব নারীর মধ্যে সহজাতভাবে বিদ্যমান। মাতৃত্ব নারীকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে সাহায্য করে। ভয় না পেয়ে আত্নবিশ্বাসের সাথে এই অধ্যায়ে পদার্পনের মাধ্যমে আমরা আমাদের যাত্রা সহজ করতে পারি ইনশাআল্লাহ। 

তথ্যসূত্র

  1. https://www.verywellfamily.com/mood-swings-during-pregnancy-4159590
  2. Kumar P, Magon N. Hormones in pregnancy. Niger Med J. 2012;53(4):179-183. doi:10.4103/0300-1652.107549
  3. https://www.healthline.com/health/pregnancy/pregnancy-mood-swings#causes
    https://greatist.com/health/pregnancy-mood-swings#dealing-with-pregnancy-mood-swings
  4. Psychological Problems during Advance Stage of Pregnancy Dr. Sanjay Kumar Nayak, Rinku Poddar, Dr. Masroor Jahan
    The International Journal of Indian Psychology | ISSN 2348-5396 Volume 2, Issue 2, Paper ID: B00313V2I22015
    http://www.ijip.in | January to March 2015
  5. https://www.whattoexpect.com/pregnancy/ask-heidi/week-15/mood-swings.aspx
  6. https://www.livescience.com/51043-pregnancy-emotions.html
  7. https://www.babycentre.co.uk/a253/mood-swings-in-pregnancy

লেখাটি রিভিউ করেছেন –

ডাঃ সাবরিনা আফরোজ
এমবিবিএস, এমপিএইচ
লেকচারার, ঢাকা কমিউনিটি মেডিসিন কলেজ

লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
হ্যানা