
বার্থ বল কী ?
লেবার বা প্রসব প্রক্রিয়ার সাথে হবু মায়েদেরকে মোকাবিলা (cope up)করতে সাহায্য করার জন্য ব্যবহৃত একটি অ-ফার্মাকোলজিক ব্যথা উপশম পদ্ধতি হলো বার্থ বল (Birth ball)। গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় এই বল ব্যবহার করে একজন হবু মা প্রেগন্যান্সিতে নিরাপদ এরকম বিভিন্ন ব্যায়াম করতে পারেন এবং লেবার ও ডেলিভারির সময় নিচের সুবিধামত পজিশন এ এই বল ব্যবহার করে উপকার ও আরাম পেতে পারেন। এই বল “লেবার বল” বা “বার্থিং বল ” নামেও পরিচিত।
এই বলটি একটি ব্যায়ামাগারে ব্যবহৃত জিম বলের সামান্য বড় সংস্করণ। তবে হাতের কাছে যদি বার্থ বল না থাকে তবে উন্নত মানের জিম বল ব্যবহার করেও আপনি উপরের কাজ গুলো করতে পারবেন।
একটি বার্থ বল এবং একটি জিম বলের মধ্যে পার্থক্য কী?
বার্থ বল এবং একটি জিম বল মূলত একই জিনিস। অনেকক্ষেত্রে সস্তা জিম বলগুলোর বাতাস বিশেষভাবে বানানো বার্থ বলের তুলনায় তাড়াতাড়ি বের হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে দুটো বিষয় ভাল মতো চেক করে নিবেন। প্রথমত, বলটি সম্পূর্ণভাবে বাতাস দ্বারা স্ফীত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আপনার দেয়া চাপ বলটি নিতে পারবে এবং ব্যায়ামের মাঝে হঠাৎ করে বলটি বাতাস ছেড়ে দিবে না। কিছু বার্থ বলে নন-স্লিপ ফিনিশ থাকে, যা গর্ভবতী মায়েদের পিছলে পড়া প্রতিহত করে। এটা ব্যবহারকারি মায়েদের সুরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের জন্য সঠিক আকৃতির বার্থ বল কিভাবে চিনবেন?
যারা দোকানে সরাসরি গিয়ে কিনবেন তারা বার্থ বল এর উপর বসে পরীক্ষা করে দেখে কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন।
বল এর উপর বসার পর সমান্তরাল দুই পায়ের পাতার সাথে হাঁটু যদি ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে থাকে তাহলে বুঝবেন এই বলটির আকৃতি আপনার জন্য সঠিক।

আর যারা অনলাইনে কিনবেন তারা নিজের উচ্চতার উপর নির্ভর করে কিনতে পারেন এবং পরে উপরের নিয়মে যাচাই করে নিতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
নিচে বিস্তারিত দেয়া হল :
১. যার উচ্চতা ৫ফুট বা তার কম, তারা ১৮ইঞ্চি বা ৪৫সেমি বল কিনবেন।
২. যার উচ্চতা ৫ফুট ১ইঞ্চি থেকে ৫ফুট ৭ইঞ্চি, তারা ২২ইঞ্চি বা ৫৫সেমি বল কিনবেন।
৩. যার উচ্চতা ৫ফুট ৮ইঞ্চি থেকে ৬ফুট ১ইঞ্চি , তারা ২৬ইঞ্চি বা ৬৫সেমি বল কিনবেন।
৪. যার উচ্চতা ৬ফুট ২ইঞ্চি বা তার বেশি, তারা ৩০ইঞ্চি বা ৭৫সেমি বল কিনবেন।
তাছাড়া কারো যদি ব্যাক পেইন এর সমস্যা থাকে বা পায়ের দের্ঘ্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তারা প্রয়োজনে এক সাইজ বড় বল কিনতে পারেন।
বার্থ বল নিজেরটা নিজেই কেনা ভালো,সাথে রাখা ভালো কারণ প্রেগন্যান্সি ও লেবার এর সময় এই বল ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন প্রেগন্যান্সি সেইফ ব্যায়াম করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। তাছাড়া সবসময় সঠিক সাইজ এর বার্থ বল হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে সংরক্ষিত নাও থাকতে পারে। তাই নিজের বার্থ বল সঙ্গে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বার্থ বল ব্যবহারের উপকারিতা কী ?
বার্থ বল একজন গর্ভবতী মাকে নিরাপদ প্রেগন্যান্সি ব্যায়াম করতে, আরামে বসতে এবং লেবার প্রক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন অবস্থান অনুশীলন ও সেগুলো আসল লেবারের সময় ব্যবহার করতে সহায়তা করে।
ডেলিভারি এর পরেও কিভাবে বার্থ বল ব্যবহার করবেন?
প্রসবেই বার্থবল এর ব্যবহার এখানেই শেষ নয়!!
আপনার যদি নরমাল ডেলিভারি (vaginal birth) হয়ে থাকে তাহলে প্রসব পরবর্তী সময়ে যোনি (vagina) এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী জায়গায় ব্যথা বা চাপ অনুভব করা বা অনেক্ষন বসে থাকলে কিছু অস্বস্তি হতে পারে। এই ব্যথা উপশমের জন্য আপনি আপনার বার্থ বলটিকে সামান্য বাতাস বের করে নিয়ে এতে আরাম করে বসতে পারেন। এতে আপনার অস্বস্তি কিছুটা কম হবে।
Good writeup! I hope birth balls get easily available here in Bangladesh