আগের পর্ব পড়ে অনেকেই ধারণা করেছেন যে আমি বাচ্চাদের সব কাজ কর্ম বাদ দিয়ে পুরো শৈশব শুধু বই নিয়ে পড়ে থাকতে বলছি। ব্যাপারটা আসলে মোটেও এরকম না। বাচ্চাদের সাত বছর বয়সের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হলো, খেলাধুলা, প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে থাকা, বিভিন্ন সুঅভ্যাস তৈরি যেমন দায়িত্বশীলতা, বাবা মায়ের বাধ্যতা, মনোযোগ, পর্যবেক্ষণের স্কিল তৈরি ইত্যাদি যা পরবর্তী জীবনে তার চরিত্র ও ব্যাক্তিত্ব গঠনে সহায়ক হবে, এবং টুকটাক বই পড়া, বিশেষত গল্পের বই।

আমার ধারণা যা যা বললাম এর মধ্যে অন্য কোনটাতেই এখনকার ইসলামমনস্ক অভিভাবকেরা এত বেশি অনাগ্রহ দেখান না যতটা দেখান এই গল্পের বই পড়ার প্রতি। এজন্যই এটার গুরুত্ব নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা প্রয়োজন।

সব বাচ্চার স্কিল এবং আগ্রহের জায়গা এক না। কোন কোন বাচ্চা ছোটাছুটি করতে হয় এরকম খেলাধুলা একটু বেশিই ভালোবাসে, কেউ খেলার চেয়ে বরং বেশি ভালোবাসে ছবি আঁকতে, কেউ পাযল মেলাতে, বিভিন্ন ধরণের ‘বুদ্ধির খেলা’, ধাঁধা এগুলোতে কারো কারো বেশি আগ্রহ। কেউ আবার খুব কম বয়সে বেশ ভালো কথা বলতে শিখে যায়, আর ভালোবাসে গল্পের বই পড়তে বা শুনতে। আমাদের কর্তব্য হলো বাচ্চাকে প্রথম দিকে সবগুলোতেই সুযোগ করে দেওয়া।

সময়ের সাথে খেয়াল করতে থাকা যে তার আগ্রহ ও পারদর্শীতার জায়গা কোনগুলো। সেই অনুযায়ী তার পরবর্তী জীবনের সম্ভাব্য রূপরেখা অনুমান করে সেভাবে তার কারিকুলাম প্রণয়ন করা। তুখোড় খেলোয়াড়কে খেলার মাঠ বা ছাদ থেকে জোর করে ধরে এনে দিন রাত গল্পের বই নিয়ে বসিয়ে রাখা অন্যায় এটা আমরা বুঝতে পারলেও একজন গল্পের বইয়ের পোকা বাচ্চার যদিও আমরা প্রশংসা করি ‘পড়ুয়া’, ‘জ্ঞানপিপাসু’ ইত্যাদি বলে (যদিও খেলোয়াড় বা আঁকিয়ে বাচ্চাটার জ্ঞানপিপাসা মোটেও তার চেয়ে কম না), কিন্তু আমরা খেলোয়াড় বাচ্চাটাকে খেলার সব উপকরণ দিলেও, রোজ খেলার জন্য ছাদে যেতে দিলেও বা চিত্রশিল্পী বাবুটাকে শেষ হবার সাথে সাথেই আবারো খাতা, রঙ কিনে দিলেও পড়ুয়া বাবুটাকে অল্প কিছু ইসলামী গল্পের বই দিয়ে বলি, এগুলোই ‘আস্তে আস্তে’ পড়ো, বাচ্চারা নিমেষেই সেগুলো শেষ করে নতুন গল্প চাইতে গেলে বলি, গল্প পড়া ঢের হয়েছে, এবার ছোটদের আক্বিদাহ বা হাদীসের বই নিয়ে বসতে হবে।

অথবা বাকপটু দুই বা তিন বছরের যে বাচ্চা ইসলামী গল্পের প্রায় কিছুই ধরতে পারে না, তাকে দরকার হলে না পড়িয়ে আরো কয়েক বছর বসিয়ে রাখি, এ কয় বছর শুধু অক্ষর শেখা, সুরাহ বা দোয়া কালাম মুখস্থই তার একমাত্র কাজ হয়ে যায়। তবুও ভুলেও আমরা তাকে বাঘ শেয়ালের গল্প বা ছোট্ট পরীর গল্প বলে ‘সময় নষ্ট’ করি না। এতে করে তার নিজস্ব পারদর্শিতার জায়গাটা, অর্থাৎ ভাষা ও সাহিত্য শেখার ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকার সুযোগটা আমরা নষ্ট করি। তার মেধাকে আমরা বিকশিত হতে দেই না।

বাচ্চারা কীভাবে শেখে? যার যেখানে আগ্রহ সে সেখান থেকে শেখে। বইপোকা মূলত বই থেকে শেখে, যদি তাকে বই দেয়া হয়। কিন্তু বইপোকার যেমন অল্প খেলাধুলা করা খুবই দরকার, তেমনি খেলোয়াড়েরও টুকটাক বই পড়া আবশ্যক। সে হাজার খানেক বই না পড়লেও, সব ধরণের বই দু চারটা বা পাঁচ দশটা করে পড়তেই পারে। সব ধরণের বাচ্চার কারিকুলামে আমরা পারতপক্ষে অল্প হলেও খেলাধুলা, হাতের কাজ, সাধারণ বিজ্ঞান, গণিত এগুলো রাখি। শুধু সেক্যুলার সাহিত্যের কথা আসলেই গড়িমসি করি আমরা।

সাহিত্য এমন অনেক কিছু শেখাবে যেগুলো খেলাধুলা শেখাবে না। আবার বিপরীতটাও সত্য। এমনও অনেক কিছু আছে যা সাহিত্য বা খেলাধুলা, দুটো থেকেই শেখা যায়। তবে বাচ্চার ছোটবেলায় আগ্রহের জায়গা এবং পারদর্শীতার ক্ষেত্রে বিচরণ করতে দিলে পরবর্তী জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষে আগানো তার জন্য সহজ হয়।

আমি ছোটবেলায় ছবি আঁকতে বেশি ভালোবাসতাম। আমার মেয়ের বাবা ভালোবাসতো প্রচুর বই পড়তে। আমি কোনকালেই তেমন পড়ুয়া ছিলাম না। পরবর্তীতে চোখের পানি নাকের পানি এক করে ছবি আঁকাটা আমার ছেড়ে দিতে হয়েছিল পরীক্ষায় ‘ভালো রেজাল্ট’ করার জন্য। আমার মেয়ের বাবাকে বই পড়া কখনও ছাড়তে হয়নি। পাঠ্যবইয়ের মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে তিন গোয়েন্দা পড়েছে। আমার মত ‘টিপিকাল ভালো ইশটুডেন্ট’ সে কখনই ছিল না, কিন্তু ঐ যে তার ডানা কেটে ফেলতে হয়নি, এখন দুজনেই আমরা আরবী সাহিত্য পড়ার চেষ্টা করি আল্লাহর কালামকে বোঝার জন্য। কিন্তু আমি প্রতি পদে পদে দেখি, অতীতের ভালো স্টুডেন্ট আমার ক্যাপাসিটি এবং স্কিল কত কম, আর ‘ডানপিটে’ ফাঁকিবাজ উনার শেখার ক্যাপাসিটি কত বেশি।

আমার এখনও রঙ তুলি দেখলে আগের মতই হাত নিশপিশ করে। কিন্তু আজকে না আমি ভালো ছবি আঁকতে পারি, না পারি শিখতে ভালো আরবী সাহিত্য। আমাদের মেয়ে যদি বিজ্ঞান ভালোবাসে কোনদিনও তাকে ‘মুহাদ্দসিস বা মুফাসসির’ হতে বলবো না। পারলে ইবনু সিনার মতো হোক। আর যদি দেখি তার বই পড়া, ভাষা-সাহিত্যে আগ্রহ, ছোটবেলায় তার হাত থেকে গল্পের বই কেড়ে নেব না ইন শা আল্লাহ। কবিতাসহ সাহিত্যের সব অঙ্গনের সাথে তাকে পরিচয় করাবো।

সাহাবী, তাবেঈ এবং উলামাদের মধ্যে খুব কমই আছেন যাঁদের একদম ছোটবেলার বিবরণ আমাদের হাতে এসেছে। ঈমাম শাফেঈ(রাঃ) তাঁর ছেলেবেলার একটা বড় সময়(আট, দশ মতান্তরে বারো বছর) হুযাইল গোত্রের সাথে কাটিয়েছেন, তাদের সবগুলো কবিতা হুবহু মুখস্থ করেছেন (বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত যত কবিতা লেখা হয়েছে তার অনেক গুণ বেশি কবিতা)। এরপর তিনি পড়তে গেছেন ইসলামী জ্ঞানের অন্যান্য শাখা। ঊমার(রাঃ) বলেছেন, “তোমাদের সন্তানদের তৃষ্ণা মেটাও কবিতা দিয়ে”। উনিসহ অন্যান্য সাহাবীরা, রাসূল(সাঃ) স্বয়ং সুন্দর কবিতার প্রশংসা করতেন। নিজে থেকে অনেক সময় কবিতা শুনতে চাইতেন।

পূর্ববর্তী উলামাদের ব্যাতিক্রম বাদে সবাই প্রচুর আরবী কবিতা মুখস্থ করার আগে অন্যান্য ইসলামী শাস্ত্র পড়া শুরু করতেন না। এমনকি যাঁরা ইলম চর্চা শুরু করেছেন যুবক বয়সে, তাঁরাও আগে সাহিত্যে ভালো দখল এনে তারপরেই অন্য শাস্ত্র পড়তেন। উলামাদের অভিজ্ঞতা, বিজ্ঞান ও বর্তমান বাস্তবতা প্রমাণ করে যে, কবিতা ও সাহিত্যে রুচি ট্রেইনিং এর উপর অনেকটা নির্ভর করে। কাজী নজরুল ছোটবেলায় স্কুলের কারিকুলাম পালিয়ে বের হয়েছিলেন বলেই হয়তো তিনি কালজয়ী নজরুল হতে পেরেছিলেন। রুটির দোকানে কাজ করে জীবন চিনেছেন, ডুবে যেতে পেরেছেন কলের গান শোনায়, কবিতা শোনায়। নজরুলের জীবনের এই এডভেঞ্চার প্ল্যান করে কারো হয় না। যার কপালে আল্লাহ রেখেছেন তার এমনিই হয়।

এডভেঞ্চার থেকে বড় বড় কালজয়ী কীর্তিমানের জন্ম হয়। ইসলামের অঙ্গনেও এমন উদাহরণ অগণিত। রাসূল(সাঃ) এর ছোটবেলায় মা, বাবা, চাচা, দাদাকে হারানো উনাকে কী রকমের মানসিক ট্রেইনিং এর মধ্য দিয়ে নিয়েছে সেটা অন্তত মা বাবার একজনকে হারিয়েছে এরকম শিশু ছাড়া আর কেউ কি কিছুটা হলেও বুঝবে? কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই আমাদের বাচ্চাদের সাথে এরকম কিছু ঘটুক এটা কামনা করি না। তাদের নজরুল হওয়ার জন্য রুটির দোকানে দিয়ে আসতে পারি না। এডিসন হওয়ার জন্য রেল স্টেশনে ফেলে আসতেও পারি না। তাহলে তারা কোথা থেকে শিখবে?

রাসূল(সাঃ) এর ছেলেবেলার ট্রেইনিং, যেটা আল্লাহ সুনিপুণভাবে প্ল্যান করে তাঁকে তৈরি করেছেন, সেটা আমাদের বাচ্চারা কোথায় পাবে? সীরাহ পড়ে? নাহ। বাচ্চাদের সীরাহর বই তো বটেই, এমনকি বড়দের জন্য লেখা বিশালাকৃতির সীরাহর বইতেও রাসূলের বাবা মা দাদা মারা যাওয়ার বর্ণনা মোটে দু’ লাইনে শেষ হয়। আবু তালিব আর খাদীজা(রাঃ) এর মৃত্যুকে নিয়ে ছোটদের সীরাহর বইয়ে লাইন থাকে মোটে দু’ তিনটা। এই জায়গাটার গভীরতা, নিজে প্রিয়জনকে হারায়নি এরকম একটা বাচ্চা বুঝবে কিভাবে, যদি না সে একটা তার নিজের সমাজের সাজানো গোছানো সুখি সংসারের গল্প পড়ে, যেখানে মা মারা যাওয়ার পর গল্পের শিশুটার জীবন কিভাবে তছনছ হয়ে গেল তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম চিত্র তুলে ধরা হয়?

একটা বাচ্চার বাস্তব জীবনে এত এডভেঞ্চার, দুঃখ, সুখ, উত্থান পতন আশা করা যায় না। সন্দেহ নেই, নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ সবচেয়ে বেশি শেখে। কিন্তু শহরে চার দেয়ালের মাঝে বেড়ে ওঠা যে শিশু সেই সুযোগ পায় না, তার ট্রেইনিং এর সবচেয়ে চমৎকার পদ্ধতি দক্ষ সাহিত্যিকের কলমে ফুটে ওঠা বিভিন্ন পটভূমির এডভেঞ্চারের গল্প, যার মধ্যে আসলেই পুরো সত্ত্বা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া যায়। আর এই ট্রেইনিং এর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ছোটবেলা।

অনেক সময় বাচ্চারা সাহিত্য বিশেষত কবিতা সাথে সাথেই বোঝে না, কিন্তু আগ্রহ নিয়ে ছন্দটা খেয়াল করে, ছোটখাটো কবিতা মুখস্থ করে ফেলার চেষ্টা করে। ছোট্টবেলায় মুখস্থ করা অনেক কবিতার আগামাথা তখন না বুঝলেও, বড় হয়ে মানুষ বোঝে। টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার আমাকে প্রথমবারের মত গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে মেয়েকে নিয়ে সত্যিকারের তারা দেখতে দেখতে আবৃত্তি করার সময়। যেই সুযোগ আমার ছেলেবেলায় আমি কোন দিনও পাইনি। আকাশ ভরা ঝিকিমিকি তারা সম্ভবত প্রথম দেখেছিলাম কৈশরের কোন এক সময়ে গ্রামের বাড়িতে, আবৃত্তি করার সময় কৈশরে দেখা সেই আকাশের কল্পনা আমার অনুভুতিকে পূর্ণতা দিলেও আমার মেয়ে সেই অনুভূতি পায়নি, কারণ আমাদের শহরে রাতে যে আকাশ দেখা যায়, সেখানে একটা মাত্র তারা জ্বলজ্বল করে। তাও ওকে নিয়ে টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার গাওয়া থামাই না। আজকে না বুঝলেও আকাশ ভরা তারা যদি কোনদিন দেখার সুযোগ ওর জীবনে আসে, সেদিন সে ঠিকই কবিতাটা থেকে শিখবে, যেই শিক্ষা এই কবিতা ছাড়া আর কোথাও সম্ভবত নেই। (উল্লেখ্য, কবিতাটা ইংরেজি না জানা বাচ্চার জন্য একবার হলেও শব্দে শব্দে তরজমা করে বুঝিয়ে দেয়া আবশ্যক, নাহলে কল্পনা না, শুধুই টেপরেকর্ডার বিকশিত হবার সম্ভবনা আছে।)

কল্পনার ডানা মেলার জন্য আকাশ লাগে। আকাশ না দিয়ে তাকে খাঁচায় বন্দি করলে সে মরিয়া হয়ে ডানা ঝাপটায়। হোমওয়ার্কের চাপে পিষ্ট স্কুলফেরত ছোট্ট ছেলেটা বাসায় ফিরে মাকে বলে, কিভাবে স্কুলে ডাকাত এসেছিল আর সে একা পিটিয়ে তাদের সবাইকে কাবু করেছে। মা মিথ্যা বলার জন্য শাস্তি দেন বটে। কিন্তু মিথ্যা কেন বলতে সে বাধ্য হয় তা বোঝেন না।

পাঠ্যবই আর দু ছটাক নীতিশিক্ষার গল্পে আটকে থাকা কল্পনাপ্রবণ শিশুর মনটাকে খাঁচায় আটকানো হয় তার বুকশেলফ থেকে রূপকথা আর বাঘ ভালুকের বইগুলো সযত্নে সরিয়ে। কল্পনার টুটি চেপে ধরা বাচ্চাটা নিঃশ্বাসের হাহাকার থেকে বাস্তব জীবনের সাথে হাজারটা মিথ্যা মিশিয়ে বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে, মার খায়। ডানা ঝাপটানো দম বন্ধ হয়ে আসা পাখিটার খোঁজ কোনদিনও মা পান না।

রাতে আকাশভরা তারার নিচে মাদুর বিছিয়ে দাদা দাদুর মুখে গল্প শুনে শৈশব কাটানোর সংস্কৃতি শুধু আমাদেরই না, অনেক সভ্যতাতেই দেখা যায়, যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ঠাকুরমার ঝুলি আর ঠাকুরদার ঝুলিতে তখন আসলেই গল্পের শেষ ছিল না। সারাদিন কাদা মাটি ঘাসে খেলে বেড়ানো দুরন্ত ছেলেটাও রাত হলে চুপচাপ গল্প শুনতে বসে যেত। তখন বাচ্চারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে উঠতো, কেচ্ছা কাহিনী শুনে বেড়ে উঠতো, গাজী কালু, চম্পাবতী। কল্পনার ডানা মেলার জন্য আকাশ ছিল এক টুকরো। সেই আকাশ কেড়ে নিয়ে, বোঝার বয়স আসার আগেই নীতিশিক্ষার কঠিন কঠিন কথা তাদের ছোট্ট খাঁচার মধ্যে জোর করে ঠেসে দিয়ে আমরা ভুল করছি না তো?

(পুনশ্চঃ বাংলা সাহিত্যে শিশুদের উপযোগি কিছু ক্লাসিকের নাম, প্রাপ্তিস্থান কারো জানা থাকলে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ। উদাহরণস্বরূপঃ ডালিম কুমার, গাজী কালু, ভেলুয়া সুন্দরীর পুঁথি, নকশি কাঁথার মাঠ, সুকুমার রায়, নজরুলের শিশুতোষ কবিতা ইত্যাদি। বয়সসীমাঃ ২-১০বছর।)

লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
হ্যানা