আলহামদুলিল্লাহ আমরা জানি মুসলমানদের জন্য উৎসব হচ্ছে দুই ঈদ! এর বাইরে কোন প্রকার জন্মদিন, নতুন বছর উদযাপন, ভিন্নধর্মীয় উৎসব উদযাপন বিদাআত ও শিরকের শামিল। আমরা আমাদের বাচ্চাদের এইসব উৎসব অনুষ্ঠান পালন করতে দিই না।

তাই বলে কি বাচ্চাদের আনন্দ বলে কিছু নেই! তারা কি ঈদের উপহারের বাইরে আর কোন উপহার পেতে পারে না!

আলহামদুলিল্লাহ আমরা চাইলেই আমাদের বাচ্চাদের নির্মল আনন্দ দিতে পারি! কিছু বিশেষ কাজকে এবং বিশেষ দিনকে আনন্দ উদযাপনের উসিলা করতে পারি আলহামদুলিল্লাহ।

➤ শুক্রবার আমাদের সাপ্তাহিক ঈদ। এই দিনকে আমরা সপ্তাহের বাকি দিনগুলো থেকে আলাদা করতে পারি।

– সামর্থ্য অনুযায়ী বাচ্চাদের পছন্দ মতো ভালো রান্না করতে পারি।
– পরিবারের সবাই তুলে রাখা ভালো জামা পরে বাচ্চাদেরকে সাথে নিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যেতে পারি।
-আত্মীয় স্বজনদের দেখতে যেতে পারি অথবা তাদের দাওয়াত দিতে পারি।
– বাচ্চাদেরকে সাথে নিয়ে কোন অসুস্থ রোগীকে দেখতে যেতে পারি।
– মাদ্রাসা বা এতিমখানায় রান্না করা খাবার বা অন্য কোন সাদাকাহ বাচ্চাদের হাতে দিতে পারি।
– কয়েক সপ্তাহ পর পর পার্ক বা দর্শনীয় কোন স্থানে ঘুরতে যেতে পারি।
– মাঝে মাঝে বাচ্চাদেরকে এবং তাদের কাজিনদের সঙ্গে নিয়ে পিকনিক করতে পারি। আগে থেকেই বাচ্চাদের নিয়ে এইসব প্ল্যান করে রাখলে তারাও অধীর আগ্রহ নিয়ে শুক্রবারের জন্য অপেক্ষা করবে!

➤ আরবি সাল অনুযায়ী ৭ বছর বয়স হলে বাচ্চাদের নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুত করতে হয়। এই নামাজের সবক দেয়ার ব্যাপারটাকে আমরা উৎসবে পরিনত করতে পারি।

– বাচ্চাদের জন্য টুপি/ নামাজের হিজাব, মুসল্লা, জামা উপহার হিসেবে দিতে পারি। অন্যান্য ভালো আয়োজন করতে পারি।
– ঘরোয়া পরিবেশে দাওয়াতের আয়োজন করে ঘরের বয়োজ্যেষ্ঠ মুরুব্বি দ্বারা বাচ্চাকে নামাজের সবক দেয়া যায়।

➤ বাচ্চারা কুরআনের কোন সুরা, পৃষ্ঠা বা পারা নাজেরা বা মুখস্থ করলে, কোন পরীক্ষায় আশানুরূপ রেজাল্ট পেলে তার জন্য কোন উপহারের ব্যবস্থা করতে পারি। তা হতে পারে পছন্দের কোন খাবার/ বাইরে ঘুরতে যাওয়া/ ভালো গল্পের বই/ ছবি আঁকার সরঞ্জাম অথবা কোন খেলনা।

➤ বাচ্চারা ঈদে বা অন্য কোন উপলক্ষে টাকা উপহার পায়। শরিয়তের বিধান অনুসারে এই টাকা বাবা-মা এর নিজের জন্য খরচ করা জায়েজ না, কিন্তু বাচ্চাদের জন্য খরচ করা বা তাদের ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখা যায়। ভালো হয় বাচ্চাদের উৎসাহ দেয়া টাকা জমানোর জন্য। যাতে এই টাকা সে তার পছন্দের খেলনা, বই বা অন্য কিছু কিনতে পারে। এই টাকা থেকে সে সাদাকাহ করতে পারে। আল্লাহ যদি কবুল করে হজ্জ বা উমরাহ করতে টাকা জমানোর জন্য বাচ্চাকে উৎসাহ দিতে পারেন।

➤ সময় যেমন থেমে থাকেনা তেমনি বাচ্চারাও সময়ের সাথে সাথে বড় হয়ে যায়। একটা সময় আমরা চাইলেও বাচ্চাদেরকে কাছে পাবোনা, তাদের নিজেদের আলাদা সার্কেল তৈরি হবে ইন শা আল্লাহ। তাই যতো বেশি পারা যায় বাচ্চাদের সাথে সময় কাটান, ওদের কথা মন দিয়ে শুনুন, বাচ্চাদের প্রশ্নের গ্রহনযোগ্য সহজবোধ্য জবাব দিন। আপনার বাচ্চার সাথে কাটানো সময়ও অনেক বড় উপহার আপনার এবং আপনার বাচ্চা উভয়ের জন্যই।

ইন শা আল্লাহ আমরা ভিন্নধর্মীয় উৎসব পালন না করেও বাচ্চাদের সুন্দর কিছু মুহুর্ত দিতে পারি।

লেখাটি কি আপনার উপকারে এসেছে?
হ্যানা